বাংলা-সহ ১২টি রাজ্যে ভোটার তালিকা প্রকাশের সময়সীমা পিছিয়ে দিল কমিশন

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 7 d ago
জ্ঞানেশ কুমার জাতীয় নির্বাচন কমিশনার (ফাইল চিত্র )
জ্ঞানেশ কুমার জাতীয় নির্বাচন কমিশনার (ফাইল চিত্র )
 
কলকাতা ঃ
 
বাংলা-সহ ১২টি রাজ্যে খসড়া ও চূড়ান্ত দুই ভোটার তালিকা প্রকাশের সময়সীমাই পিছিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিল জ্ঞানেশ কুমারের নেতৃত্বাধীন জাতীয় নির্বাচন কমিশন। কমিশন সূত্রে জানা গিয়েছে, ৯ ডিসেম্বরে বদলে ১৬ তারিখ প্রকাশ করা হবে খসড়া ভোটার তালিকা। স্বাভাবিক ভাবেই চূড়ান্ত ভোটার প্রকাশের দিনেরও পরিবর্তন হয়েছে। আগামী বছরের ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশিত হবে সেই তালিকা।
 
 
রবিবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কমিশন জানিয়েছে, এনুমারেশন পিরিয়ড অর্থাৎ ফর্ম দেওয়া-নেওয়া ও তা অ্যাপে আপলোড করার সময়সীমা ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। ১৬ ডিসেম্বর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে। ১৬ ডিসেম্বর থেকে ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে দাবি ও আপত্তি জানানোর প্রক্রিয়া। একই সঙ্গে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ৭ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে হেয়ারিং প্রক্রিয়া। ১৪ ফেব্রুয়ারি প্রকাশ পাবে চূড়ান্ত ভোটার তালিকা।
 
 
কেন কমিশনের এই সিদ্ধান্ত তা জানা যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে অনুমান, বাংলা-সহ বিভিন্ন রাজ্যে গ্রাউন্ড জিরোয় কাজ করা বিএলওদের চাপই রয়েছে নেপথ্যে। কাজের চাপে একাধিক আধিকারিকদের মৃত্যু বা আত্মহত্যা, তাঁদের বিক্ষোভ- সব মিলিয়ে বারবার উঠেছে সময়সীমা বাড়ানোর আর্জি। সেই সঙ্গে রাজনৈতিক দলগুলির চাপ। যার ফলেই কমিশনের এমন সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।

কমিশন সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, এসআইআরের কাজের সঙ্গে যুক্ত প্রশাসনের উচ্চস্তরের আধিকারিকরাও একমাসের মধ্যে তালিকা প্রকাশ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছিলেন। ভুলভ্রান্তির সম্ভাবনার কথা তুলেছিলেন তাঁরা। সব দিক ভেবে তালিকা প্রকাশের দিনক্ষণ পিছিয়ে দেওয়ার এই সিদ্ধান্ত বলেই মনে করা হচ্ছে।

বিএলওরা জানাচ্ছেন, এনুমারেশন ফর্ম বিতরণ ও তা সংগ্রহ করার কাজ প্রায় শেষের দিকে। নতুন সমস্যা দেখা দিয়েছে বিএলও অ্যাপে। ঠিকমতো সার্ভার না থাকায় তথ্য আপলোড করতে গিয়ে নানান সমস্যার মধ্যে পড়ছেন তাঁরা। এত কম সময়ে একজন বিএলওর পক্ষে প্রায় হাজারের বেশি ভোটারের তথ্য আপলোড করা খুব কঠিন। অতিরিক্ত এই ক’দিনের সময় সেই ক্ষতে কিছুটা প্রলেপ দেবে বলে মত তাঁদের। 

উল্লেখ্য, রাজ্যে এসআইআর শুরুর পর থেকেই সময়সীমা নিয়ে প্রবল আপত্তি তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি দাবি করেছিলেন, এত কম সময়ে এসআইআর করলে তা ভুলে ভরা থাকবে। জানিয়েছিলেন, আরও বেশি সময় নিয়ে কমিশন এই কাজ করুক। তিনি সবটুকু দিয়ে সাহায্য করবেন। এসআইআর প্রক্রিয়া স্থগিত করা নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকেও চিঠি দেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, একজন বৈধ ভোটারের নামও বাদ পড়লে আন্দোলন হবে।