গুয়াহাটি
সম্প্রতি নিষিদ্ধ ঘোষিত হিনিউত্রেপ ন্যাশনাল লিবারেশন কাউন্সিল (HNLC)-এর দুই সক্রিয় সদস্য মেঘালয় পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন। তারা জানিয়েছেন, তারা বাংলাদেশে পালিয়ে গিয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছিলেন। এই ঘটনা ভারতের নিরাপত্তা মহলে নতুন করে উদ্বেগের সৃষ্টি করেছে।বাংলাদেশ কি আবারও উত্তর-পূর্ব ভারতের বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর ঘাঁটি হয়ে উঠছে?
আত্মসমর্পণকারী সদস্যরা,ডিবারিয়াস জিরওয়া এবং রিডর লিংদো নংলাইট জানিয়েছেন,তারা শিলং বিস্ফোরণ মামলার অভিযুক্ত স্যামুয়েল ওয়াহলাং পাশিন্তিয়ের প্ররোচনায় বাংলাদেশে প্রবেশ করেন। সেখানে একটি হিন্দু-মুসলিম মিশ্র এলাকায় তাদের রাখা হয় এবং কৃষিকাজে নিয়োজিত করা হয়। আদর্শিক স্বপ্নের বদলে বাস্তবের কঠিন জীবন দেখে তারা হতাশ হয়ে পড়েন এবং শেষ পর্যন্ত পালিয়ে এসে আত্মসমর্পণ করেন।আরও উদ্বেগজনক তথ্য হলো,HNLC এখন অনলাইন চরমপন্থা, এনক্রিপ্টেড মেসেজিং অ্যাপ, এবং সীমান্তপারের লোকেদের ব্যবহার করে নতুন সদস্য সংগ্রহের চেষ্টা করছে। সংগঠনের শীর্ষ নেতৃত্ব বর্তমানে বাংলাদেশের মৌলভীবাজারে অবস্থান করছে বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে।
এই পুনরুত্থান ঘটছে এমন এক সময়ে,যখন বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা চলছে। শেখ হাসিনার সরকার পতনের পর, ULFA-I,NSCN সহ অন্যান্য বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো নতুন জোট গঠনের চেষ্টা করছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে।
কৌশলগত প্রভাব
নিরাপত্তা হুমকি: সীমান্তবর্তী রাজ্যগুলোর স্থিতিশীলতা আবার হুমকির মুখে।
কূটনৈতিক চাপ: ভারতের বাংলাদেশ নীতিতে নতুন করে ভাবনার প্রয়োজন।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা: সীমান্ত নজরদারি ও গোয়েন্দা সমন্বয় জোরদার করা জরুরি।
HNLC সদস্যদের আত্মসমর্পণ যেমন আশার আলো দেখায়,তেমনি এটি একটি সতর্কবার্তা।বাংলাদেশ যেন আবারও সন্ত্রাসের ঘাঁটি না হয়ে ওঠে। উত্তর-পূর্ব ভারতের শান্তি ও উন্নয়নের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে এই ধরনের ঘটনা বড় বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে বলে ওয়াকিবহাল নিরাপত্তার কাজে নিয়োজিত মহল মনে করছে ।