নয়া দিল্লী
চিনের তিয়েনচিন শহরে অনুষ্ঠিতব্য সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO)-এর শীর্ষ সম্মেলনে এক মঞ্চে দেখা যাবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন, এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং-কে। এই সম্মেলনকে আন্তর্জাতিক মহলে গ্লোবাল সাউথের ঐক্য ও শক্তি প্রদর্শনের মঞ্চ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই সম্মেলনটি মোদীর জন্য বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ, কারণ এটি তাঁর সাত বছরের মধ্যে প্রথম চিন সফর। ২০২০ সালের গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত-চিন সম্পর্কের টানাপোড়েন কিছুটা প্রশমিত হয়েছে, এবং এই সম্মেলন সেই সম্পর্কের নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে।
চিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এবারের SCO সম্মেলন হবে সংগঠনের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় আকারের। এতে অংশ নিচ্ছেন ২০টিরও বেশি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, যার মধ্যে রয়েছেন মধ্য এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার নেতারা।
বিশ্লেষকদের মতে, এই সম্মেলনের মাধ্যমে চিন, রাশিয়া এবং ভারত যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন বৈশ্বিক কাঠামোর বিকল্প তুলে ধরতে চাইছে। বিশেষ করে যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতের রপ্তানির ওপর ৫০% শুল্ক আরোপ করেছেন, তখন এই সম্মেলন রাজনৈতিক বার্তা বহন করছে।
রাশিয়ার দূতাবাস সূত্রে জানা গেছে, সম্মেলনের ফাঁকে ভারত-চিন-রাশিয়া ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের সম্ভাবনা রয়েছে। এই বৈঠকে আঞ্চলিক নিরাপত্তা, অর্থনৈতিক সহযোগিতা এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে আলোচনা হতে পারে।
চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং বলেছেন, “এই সম্মেলন একটি নতুন ধরনের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক গড়ে তোলার গুরুত্বপূর্ণ শক্তি হিসেবে SCO-কে তুলে ধরবে।”
এই সম্মেলন শুধু কূটনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নয়, ভবিষ্যতের বৈশ্বিক নেতৃত্বের রূপরেখা নির্ধারণের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা।