গুয়াহাটি
আজ হিন্দু ধর্মের অন্যতম বৃহৎ উৎসব গণেশ চতুর্থী পালিত হচ্ছে। এই দিনটিকে ঘিরে সারা ভারতজুড়ে উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা যাচ্ছে, গুয়াহাটিও এর ব্যতিক্রম নয়। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণেশ পূজার নানা আচার-অনুষ্ঠান ও রীতিনীতি পালিত হচ্ছে। মন্দিরগুলো সুশোভিত করা হয়েছে, ভক্তদের ভিড় এবং ধর্মীয় অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও চলতে থাকছে।
ইতিমধ্যেই গুয়াহাটির বিভিন্ন গণেশ মন্দির রঙিন আলো ও ফুল দিয়ে সজ্জিত হয়েছে। মহানগরীর রাজপথে প্যান্ডেল নির্মাণ, প্রসাদ বিতরণ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রস্তুতিও চোখে পড়ছে।
অন্যদিকে, ফটাশিল আমবাড়িতে উত্তর-পূর্ব ভারতের সবচেয়ে বড় গণেশ মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে। এই বিশাল গণেশ মূর্তিটির উচ্চতা ৪১ ফুট ৯ ইঞ্চি। ডঃ বি. আর. আম্বেদকর যুব ক্লাব এবং তেলুগু অ্যাসোসিয়েশনের যৌথ উদ্যোগে আয়োজিত পূজার মূল আকর্ষণ এই মূর্তিটি, যা ‘অপারেশন সিঁদুর প্যান্ডেল’-এর আদলে নির্মিত একটি বিশেষ প্যান্ডেলে স্থাপন করা হয়েছে।
"অপারেশন সিঁদুর প্যান্ডেল’ গুয়াহাটিবাসীর জন্য এক অনন্য এবং স্মরণীয় উৎসব অভিজ্ঞতা। আয়োজকদের মতে, এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য ধর্মীয় ও সামাজিক ঐক্য এবং সম্প্রীতির বার্তা ছড়িয়ে দেওয়া।এই উদ্যোগের মাধ্যমে আয়োজক সংস্থাদ্বয় শুধু ফটাশিল আম্বারির নিউ কলোনির বাসিন্দাদেরই নয়, আশপাশের সকল এলাকার মানুষকেও একত্রিত করার লক্ষ্য নিয়েছে। পুরো প্যান্ডেলের থিম বা বিষয়বস্তু হলো ‘ঐক্য ও সামাজিক সম্প্রীতি’, যার মাধ্যমে তারা সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের বার্তা ছড়িয়ে দিতে চায়।
আয়োজকদের এক সদস্য বলেন, “এই পূজা অনুষ্ঠানের জন্য মোট বাজেট প্রায় ১৩ থেকে ১৪ লক্ষ টাকার মধ্যে হবে বলে অনুমান করা হয়েছে। প্যান্ডেল নির্মাণ থেকে শুরু করে প্রতিমা, আলোকসজ্জা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সবকিছুর ক্ষেত্রেই আমরা উচ্চমান বজায় রাখার চেষ্টা করছি।”
এই উৎসব উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ভক্তিমূলক সংগীত এবং প্রসাদের ব্যবস্থাও করা হবে বলে জানা গেছে। উদ্যোক্তারা আশাবাদী যে, এই উৎসব কেবল একটি ধর্মীয় উদযাপন নয়, বরং এটি সামাজিক ঐক্য ও সম্প্রীতির এক মঞ্চ হিসেবেও বিবেচিত হবে।