ফিজি প্রধানমন্ত্রী সিতিভেনি রাবুকা ও ভারতের কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার
নয়াদিল্লি
ফিজি প্রজাতন্ত্রের প্রধানমন্ত্রী সিতিভেনি লিগামামাদা রাবুকা তাঁর স্ত্রী সুলুয়েতি রাবুকাকে সঙ্গে নিয়ে রবিবার নয়াদিল্লিতে চারদিনের সরকারি সফরে পৌঁছেছেন।
বিমানবন্দরে তাঁকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী সুকান্ত মজুমদার। এ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল এক্স-এ লেখেন, “ফিজির প্রধানমন্ত্রী সিতিভেনি রাবুকাকে আন্তরিক অভ্যর্থনা জানাই। দিল্লিতে তাঁর এই প্রথম সফর দুই দেশের বহুমুখী অংশীদারিত্বকে আরও মজবুত করবে।”
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতি অনুযায়ী, ২৪ থেকে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত চলবে রাবুকার সফরসূচি। সফরের প্রথমেই দিল্লিতে এক মন্ত্রিসভার সদস্যের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। ২৫ আগস্ট রাজঘাটে মহাত্মা গান্ধীর সমাধিতে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করার পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে হায়দরাবাদ হাউসে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন। এর পর হবে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর ও যৌথ সংবাদ সম্মেলন। একই দিনে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর সঙ্গেও সাক্ষাৎ করবেন তিনি।
২৬ আগস্ট রাবুকা ভারতীয় বিশ্ব বিষয়ক পরিষদ (ICWA)-এর আয়োজনে সাপ্রু হাউসে একটি বক্তৃতা দেবেন। ২৭ আগস্ট নয়াদিল্লি থেকে তিনি নিজ দেশে ফিরবেন।
এই সফরের মাধ্যমে সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারত ও ফিজির মধ্যে হওয়া উচ্চপর্যায়ের কূটনৈতিক বিনিময় আরও জোরদার হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, ভারতের সঙ্গে ফিজির সম্পর্ক শুরু হয় ১৮৭৯ সালে, যখন চুক্তিভিত্তিক শ্রমিক বা ‘গিরমিটিয়া’দের আখচাষের জন্য সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। ১৮৭৯ থেকে ১৯১৬ সালের মধ্যে প্রায় ৬০,৫৫৩ জন ভারতীয় ফিজিতে পাড়ি জমান। পরে ভারতীয় ব্যবসায়ী ও অন্যান্য পেশাজীবীরাও সেখানে বসতি স্থাপন করেন। ১৯২০ সালে ওই শ্রমচুক্তি ব্যবস্থা বাতিল হয়। স্বাধীনতার (১৯৭০) আগে থেকেই ফিজিতে ভারতের কমিশনার ছিলেন (১৯৪৮ থেকে), যা স্বাধীনতার পর হাই কমিশনার পদে উন্নীত হয়।