"ত্রিকূটা পাহাড়ে ভূমিধস, বন্ধ বৈষ্ণো দেবী যাত্রা"

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 1 d ago
ত্রিকূটা পাহাড়ে ভূমিধস
ত্রিকূটা পাহাড়ে ভূমিধস

নয়াদিল্লি

অবিরাম বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হলো জম্মু-কাশ্মীর। মঙ্গলবার বিকেলে ত্রিকূটা পাহাড়ে বৈষ্ণো দেবী মন্দিরের পথে ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনায় কমপক্ষে ৩০ জন প্রাণ হারিয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ১৪ জন। নিহতদের মধ্যে ৭ জন তীর্থযাত্রীও রয়েছেন।

ভূমিধসের পর জম্মু-কাশ্মীরের রিয়াসি জেলায় অবস্থিত এই বিখ্যাত মন্দিরের যাত্রা স্থগিত রাখা হয়েছে। কর্মকর্তাদের মতে, বিকেল ৩টার দিকে পাহাড়ের ঢাল ভেঙে বড় বড় পাথর দ্রুত নীচে নামতে শুরু করে। অধকুয়ারির কাছে ইন্দ্রপ্রস্থ ভোজনালয়ের সামনে উদ্ধার অভিযান চলছে। কাটরা থেকে পাহাড়ে অবস্থিত মন্দিরে যাওয়ার ১২ কিলোমিটার দীর্ঘ পথে প্রায় অর্ধেকের জায়গায় এই ভূমিধস ঘটে।

মন্দিরে ওঠার দুটি রুটের মধ্যে হিমকোটি ট্রেকপথ সকাল থেকেই বন্ধ ছিল। তবে পুরোনো রুটে যাত্রা চলছিল দুপুর পর্যন্ত। কিন্তু বৃষ্টির দাপটে শেষে সেটিও বন্ধ করতে হয় প্রশাসনকে।

মা বৈষ্ণো দেবী সাইন বোর্ড টুইট করে জানিয়েছে, "অধকুয়ারিতে হওয়া ভূমিধসের ঘটনায় ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১৪ জন আহত হয়েছেন। উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।"
 
শিলা, গাছ ও মাটি ধসে আটকে পড়াদের মধ্যে ছিলেন পাঞ্জাবের মোহালির কিরণ। তাঁকে কাটরার একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। কিরণ বলেন, "দর্শন শেষে পাহাড় থেকে নামছিলাম। হঠাৎ মানুষজন চিৎকার শুরু করে। দেখি বড় বড় পাথর গড়িয়ে পড়ছে। কোনোরকমে নিরাপদ জায়গায় যাওয়ার চেষ্টা করি, কিন্তু তবুও আঘাত পেলাম।"
 
আরেক তরুণী বলেন, "আমরা পাঁচজনের একটি দল ছিলাম, এর মধ্যে তিনজন আহত হয়েছে।"
 
টানা তিনদিন ধরে অবিরাম বর্ষণে জম্মুর বিভিন্ন জায়গায় ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। এর আগে ডোডা জেলায় ভূমিধসে চারজনের মৃত্যু হয়েছিল।
 
মঙ্গলবার টানা তৃতীয় দিনের মতো প্রবল বর্ষণের কারণে জম্মু-কাশ্মীরের বহু এলাকায় স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত হয়েছে। কর্মকর্তারা জানান, আকস্মিকভাবে মোবাইল ও ইন্টারনেট পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। টেলিকম অপারেটরদের মতে, কল করা সম্ভব হয়নি, মোবাইল ডেটা পরিষেবা বন্ধ হয়ে গেছে, এমনকি ল্যান্ডলাইন ও ফাইবার নেটওয়ার্কও অচল হয়ে পড়ে। ফলে গ্রাহকরা দিনের পর দিন কোনো সিগন্যাল পাননি। একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যোগাযোগ ব্যবস্থা পুনরুদ্ধারের জন্য জরুরি ভিত্তিতে প্রযুক্তিগত দল পাঠানো হয়েছে।