জয়পুর
রাজস্থানের জয়পুরের কোটপুতলির বাসিন্দা অমিত সেহরা পেশায় ছিলেন এক সাধারণ সবজি বিক্রেতা। প্রতিদিনের জীবনে কঠোর পরিশ্রমই ছিল তাঁর মূল ভরসা। কিন্তু ভাগ্য হঠাৎই এমনভাবে পাল্টে গেল, যা আজ সারা রাজ্যজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
ঘটনাটি শুরু হয় যখন অমিত তার বন্ধু মুকেশের সঙ্গে ঘুরতে যান পাঞ্জাবে। ভাটিন্ডায় একটি লটারি দোকানের সামনে ভিড় দেখে তাঁরও ইচ্ছে হয় ভাগ্য পরীক্ষা করার। কিন্তু তখন তাঁর পকেটে টিকিট কেনার মতো টাকা ছিল না। তিনি এক মুহূর্ত দেরি না করে বন্ধুর কাছ থেকে এক হাজার টাকা ধার নেন এবং দুটি টিকিট কেনেন, একটি নিজের নামে, আরেকটি স্ত্রীর নামে।
অল্প কিছুদিন পর রাজস্থানে ফিরে এসে অমিত জানতে পারেন, তাঁর কেনা টিকিটই “পাঞ্জাব স্টেট লটারি, দীপাবলি বাম্পার ২০২৫”-এর প্রথম পুরস্কার জিতেছে, মূল্য ১১ কোটি টাকা! সাধারণ সবজি বিক্রেতা রাতারাতি হয়ে উঠলেন নতুন কোটিপতি।
তবে অমিতের উদারতা ও সততার গল্প আরও বেশি অনুপ্রেরণাদায়ক। যে বন্ধুর কাছ থেকে তিনি এক হাজার টাকা ধার নিয়েছিলেন, সেই বন্ধুকে তিনি শুধু টাকা ফেরতই দিচ্ছেন না, দিচ্ছেন এক কোটি টাকা কৃতজ্ঞতার নিদর্শন হিসেবে। এমনকি মুকেশের দুই কন্যার নামে ৫০-৫০ লক্ষ টাকা করে জমা রাখার সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তিনি।
অমিত বলেন, “এটা ঈশ্বরের আশীর্বাদ। আমি কখনও ভাবিনি এত বড় কিছু পাব। এই অর্থ দিয়ে আমি আমার সন্তানদের ভালো শিক্ষা দেব, পরিবারের জন্য একটি ঘর বানাব, আর বন্ধুর প্রতি কৃতজ্ঞতা চিরকাল মনে রাখব।”
সবজি বিক্রেতা অমিত সেহরার এই গল্প শুধু ভাগ্য নয়, সততা, বিনয় এবং মানবিকতার এক বিরল উদাহরণ হয়ে উঠেছে।