সুদীপ শর্মা চৌধুরী/গুয়াহাটি
বিশ্বজুড়ে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে মাইক্রোপ্লাস্টিক দূষণ। রক্ত, ফুসফুস, এমনকি গর্ভবতী নারীর প্লাসেন্টাতেও এখন মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার উপস্থিতি ধরা পড়েছে, যা মানবস্বাস্থ্যের জন্য ভয়াবহ সংকেত।
তবে সম্প্রতি এক গবেষণা নতুন আশার দিক দেখিয়েছে। ল্যাবরেটরি পর্যায়ের এক পরীক্ষায় দেখা গেছে, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার খাদ্যাভ্যাসে প্রচলিত ফল তেঁতুল শরীর থেকে মাইক্রোপ্লাস্টিক বের করে দিতে সহায়তা করতে পারে।
গবেষকদের মতে, তেঁতুলে থাকা কিছু প্রাকৃতিক যৌগ বা compound মাইক্রোপ্লাস্টিক কণার সঙ্গে যুক্ত হয়ে সেগুলিকে পাচনতন্ত্রের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দিতে পারে। যদিও এই ফলাফল এখন পর্যন্ত শুধুমাত্র পরীক্ষাগারে পাওয়া গেছে, বিজ্ঞানীরা মনে করছেন এটি মানবদেহে মাইক্রোপ্লাস্টিক কমানোর এক প্রাকৃতিক ও সহজ উপায় হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদি ভবিষ্যতে মানবদেহে পরীক্ষায় এই ফলাফল প্রমাণিত হয়, তবে তেঁতুল হতে পারে “ন্যাচারাল ডিটক্স” উপাদান, যা ওষুধ বা অস্ত্রোপচার ছাড়াই শরীরকে মাইক্রোপ্লাস্টিকের ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে পারে।
বর্তমানে বিজ্ঞানীরা মানবদেহে এই প্রভাব যাচাই করতে আরও গবেষণার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তেঁতুলের এই সম্ভাব্য গুণাগুণ যদি প্রমাণিত হয়, তবে এটি বিশ্বজুড়ে খাদ্যতালিকায় নতুন বিপ্লব আনতে পারে।
একসময় শুধু টক স্বাদের জন্য পরিচিত তেঁতুল, ভবিষ্যতে হয়তো মানবদেহের “প্রাকৃতিক ক্লিনার” হিসেবে জায়গা করে নেবে, এমনটাই আশা করছেন গবেষকরা।