রূপম ইসলাম প্রকাশ করলেন ভারতের প্রথম “ফুডসিক্যাল ফিল্ম” সপ্তপদীর গান

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 13 d ago
রূপম ইসলাম
রূপম ইসলাম
 
কলকাতা
 
বিখ্যাত বাঙালি রকস্টার রূপম ইসলাম একটি অভিনব ধারণা নিয়ে হাজির হয়েছেন।ভারতের প্রথম “ফুডসিক্যাল ফিল্ম” যার নাম সপ্তপদীর গান,কলকাতার জনপ্রিয় সপ্তপদী রেস্টুরেন্ট-এর সঙ্গে যৌথভাবে নির্মিত ।

ফুডসিক্যাল ফিল্ম কী?


“ফুডসিক্যাল” শব্দটি খাবার এবং সঙ্গীতনাট্যর সংমিশ্রণ। এটি বাঙালি রান্নার ঐতিহ্যকে সুর,আবেগ ও দৃশ্যের মাধ্যমে উদযাপন করে। চার মিনিটের এই ফিল্মটি শুধুমাত্র একটি ব্র্যান্ড প্রচার নয়,এটি একটি সাংস্কৃতিক শ্রদ্ধাঞ্জলি ।খাবার ও সঙ্গীতকে একত্রিত করে একটি আবেগঘন শিল্পরূপে রূপান্তরিত করে, চার মিনিটের এই ফিল্মটি কলকাতায় এক অন্তরঙ্গ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভক্ত, খাদ্যপ্রেমী, শিল্পী এবং সংবাদমাধ্যমের সামনে উন্মোচিত হয়।
 
‘সপ্তপদীর গান’যার আক্ষরিক অর্থ সপ্তপদীর গান । আসল বাঙালি খাবার এবং আত্মাকে ছুঁয়ে যাওয়া সঙ্গীত।এই সহযোগিতার মাধ্যমে ব্র্যান্ড গল্প বলার এক নতুন ধারার সূচনা হলো ফুডসিক্যাল, যেখানে খাবার হয়ে ওঠে সঙ্গীত,আর সঙ্গীত হয়ে ওঠে স্মৃতি। সপ্তপদীর গান-এর মাধ্যমে বিজ্ঞাপন, শিল্প, ঐতিহ্য এবং উদ্ভাবনের সীমারেখা অপূর্বভাবে মিশে যায়,যা এক আবেগঘন অভিজ্ঞতা তৈরি করে,যা প্রজন্মের পর প্রজন্মকে ছুঁয়ে যায়।
 
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
 
 
এই প্রথমবারের মতো রূপম ইসলাম—যিনি তাঁর প্রগতিশীল বাংলা রক সংগীতের জন্য পরিচিত।রুপম নিজেই লিখেছেন, সুর করেছেন, গেয়েছেন এবং অভিনয় করেছেন, যার কেন্দ্রে রয়েছে  রাশি রাশি খাবারের আমেজ।এতে তুলে ধরা হয়েছে ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবার যেমন: কষা মাংস,সর্ষে ইলিশ,আলু পোস্ত,চিংড়ি মালাইকারি,মিষ্টি দই।রক সঙ্গীতের সঙ্গে তবলা, হারমোনিয়াম-এর মতো বাঙালি বাদ্যযন্ত্রের সংমিশ্রণ। বাংলার চিরন্তন সাংস্কৃতিক অনুভূতিকে অপূর্বভাবে প্রতিফলিত করে,তবুও তার প্রতিটি সুরে রূপমের নিজস্ব ছাপ স্পষ্টভাবে বজায় থাকে।

রূপমের বক্তব্য,“খাবার বাঙালিদের কাছে পবিত্র। এটি শৈশব, রীতি, নন্দ ও দুঃখের সঙ্গে জড়িত।  আমি স্মৃতির কথা গাইতে পেরেছি, রান্নাঘর থেকে ভেসে আসা গন্ধের কথা,একটি বাটিতে পরিবেশিত সর্ষে ইলিশে মিশে থাকা ভালোবাসার কথা ,”  এই গানটি আমার ব্যক্তিগত আবেগের যাত্রা।” রূপম ইসলাম ।
 
এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে রূপম ইসলামকে শুধু একজন গায়ক হিসেবে নয়, একজন বর্ণনাকারী হিসেবেও দেখা যায়—তিনি সপ্তপদীর লাউঞ্জ স্পেস এবং উৎসবের নস্টালজিক দৃশ্যপটের মধ্য দিয়ে হেঁটে যান, স্মৃতির গল্প বলেন।সপ্তপদীর টিম এই চলচ্চিত্রটিকে একটি সাংস্কৃতিক মাইলফলক হিসেবে দেখছে ।