শতানন্দ ভট্টাচার্য
ভারতের মুখ উজ্জল করেছেন অসমের মাদ্রাসা পড়ুয়া আইনজীবি হাফিজ ইলিয়াস হুসেইন আনসারী। লণ্ডনের ইউনিভার্সিটি অফ পোর্টসমাউথ থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে প্যরালিগাল অফিসারের পদে আসীন হলেন মুসলিম এই যুবক। ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩৭ লক্ষ টাকার বেতন পাবেন তিনি।
ইলিয়াসের সাফ কথা জীবনে পড়াশুনায় সফল হতে গেলে সামাজিক মাধ্যমের মধ্যে সময় নষ্ট না করে লেখাপড়ায় মনোনিবেশ করা। তাঁর মতে শুধুমাত্র সস্তা মনোরঞ্জনের জন্যে সামাজিক মাধ্যমের সাইটগুলো দেখা ঠিক নয়। এতে মানসিক বিকৃতি ঘটে এবং পড়াশুনাসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে মনোনিবেশ করা যায়না। তিনি বলেন সামাজিক মাধ্যমে অতিরিক্ত সময় অতিবাহিত করে নিজের জীবন বিপন্ন করা ছাড়াও অনেক মানসিক ও শারীরিক রোগও সৃষ্টি হয়। তাই তিনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের সাইটগুলো এড়িয়ে যেতে পরামর্শ দিয়েছেন।
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
দক্ষিণ অসমের বরাক উপত্যকার বিভিন্ন মাদ্রাসায় পড়াশুনা করেন তিনি। এরপর উচ্চশিক্ষা লাভের জন্যে দেশের নানা প্রান্তে ঘুরে বেড়ান। ইউনিভার্সিটি অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি মেঘালয় থেকে তিনি স্বর্ণ পদক পেয়ে আইনে ডিগ্রী নেন এবং পরে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী নেন। এরপর ব্যারিস্টারি পড়ার জন্য সুদূর লন্ডনে পাড়ি দেন রাজ্যের বঙ্গাইগাঁওয়ের কৃতি সন্তান আইনজীবি হাফিস ইলিয়াস হুসেইন আনসারী । তিনি এখন অসমের গৌরব।
দক্ষিণ লণ্ডনের হ্যাম্পশায়ারের ইউনিভার্সিটি অব পোর্টসমাউথ থেকে আইনে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করে অসম তথা দেশকে গর্বিত করেছে এন হাফিজ ইলিয়াস । তার এই অনন্য সাফল্য রাজ্যের সহ বরাকের শিক্ষানুরাগী মহলে খুশির জোয়ার বইছে । লণ্ডন প্রবাসী অসমের নাগরিকরা নিজের দেশ ও রাজ্যের মাদ্রাসা পড়ুয়ার অর্জন সন্তোষ ব্যক্ত করেছেন।
আনসারীর মতে কিছু করার ইচ্ছা শক্তি আর কঠোর পরিশ্রম করার স্পৃহা থাকলে যেকোন অসাধ্য সাধন অসম্ভব নয় বলে সোজা মন্তব্য আনসারীর। ভারত তথা বরাকের যেসব কৃতি সন্তান লন্ডনে রয়েছেন তাদের এক মিলন অনুষ্ঠানে সম্প্রতি আনসারিকে সংবর্ধনাও জন্য হয়। ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিলেন শ্রীভূমি জেলার নিলামবাজারের ছায়াদুর রহমান।
বর্তমানে তিনি পূর্ব লন্ডনের ভোগানে প্রতিষ্ঠিত রয়েছেন। অসম সন্তানের এধরনের সফলতায় সেখানকার প্রবাসী বাঙালী মুসলমানরা সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।