অপারেশন সেন্দুরের সময় পাকিস্তানের যুদ্ধবিরতির আকুতি, জাতিসংঘে ভারতের কড়া জবাব

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 5 d ago
পেটাল গাহলটে
পেটাল গাহলটে
নয়াদিল্লি:
 
অপারেশন সেন্দুর চলাকালীন ভারতের প্রবল সামরিক অভিযানে চাপে পড়ে পাকিস্তান সরাসরি যুদ্ধবিরতির জন্য ভারতের কাছে অনুরোধ জানিয়েছিল। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে শুক্রবার ভারতের তরফে এই তথ্য উত্থাপন করে পাকিস্তানের সন্ত্রাসবাদপুষ্ট বিদেশনীতি ও দ্বিচারিতা নিয়ে কড়া সমালোচনা করেন জাতিসংঘে ভারতের স্থায়ী মিশনের প্রথম সচিব পেটাল গাহলটে।

তিনি বলেন, “পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী এক অর্থহীন নাটক মঞ্চস্থ করলেন, যেখানে আবারও তাদের সন্ত্রাসবাদের প্রতি নীতিগত পক্ষপাত স্পষ্ট হয়ে উঠল।”ভারতের দাবি, ২২ এপ্রিল পহলগামে পর্যটকদের ওপর লস্কর-ই-তৈবা সংশ্লিষ্ট সংগঠন রেজিস্টেন্স ফ্রন্টের আক্রমণের পর ভারত ‘অপারেশন সেন্দুর’ শুরু করে, যার লক্ষ্য ছিল পাকিস্তান ও পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা সন্ত্রাসবাদী পরিকাঠামো।

ভারত জানায়, পাকিস্তান ১০ মে-তে তাদের সেনার মাধ্যমে সরাসরি যুদ্ধবিরতির অনুরোধ জানায়, কারণ ভারতীয় বাহিনী পাকিস্তানের একাধিক বিমানঘাঁটিতে ব্যাপক ধ্বংস চালিয়েছিল।

এছাড়াও, ভাইরাল হওয়া ছবিতে দেখা যায় যে, লস্কর-ই-তৈবার নেতা হাফিজ আব্দুল রউফ নিহত জঙ্গিদের জন্য মুরিদকেতে প্রার্থনার আয়োজন করেন, যেখানে পাকিস্তান সেনার সদস্যরাও উপস্থিত ছিল। এতে প্রমাণ মেলে যে পাকিস্তানের রাষ্ট্রযন্ত্রই সন্ত্রাসবাদীদের পৃষ্ঠপোষক।

পাক প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, সাতটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কিন্তু ভারত কটাক্ষ করে জানায়, “যদি পুড়ে যাওয়া হ্যাঙ্গার ও ধ্বংসপ্রাপ্ত রানওয়েকে ‘জয়’ বলে, তবে পাকিস্তানকে এই জয় উপভোগ করার জন্য স্বাগত।”

ভারত আবারও স্পষ্ট জানিয়ে দেয় যে, দিল্লি ও ইসলামাবাদের মধ্যকার সমস্ত সমস্যা দ্বিপাক্ষিকভাবে সমাধানযোগ্য এবং তাতে কোনও তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপের জায়গা নেই।

জাতিসংঘে ভারতের বক্তৃতায় বলা হয়, পাকিস্তান একদিকে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করার নাটক করে, অথচ ওসামা বিন লাদেনকে এক দশক আশ্রয় দেয়। এমনকি স্বীকারও করেছে যে তারা দশকের পর দশক ধরে সন্ত্রাসবাদী ঘাঁটি পরিচালনা করেছে।

ভারতের বার্তা পরিষ্কার— সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াইতে কোনও আপস নয়, এবং কোনও বাহ্যিক শক্তি নয়, বরং দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান সম্ভব।