মহাষ্টমীতে সন্ধিপুজো ও কুমারী পুজো বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 2 d ago
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
 
কলকাতা 

ষষ্ঠী, সপ্তমী পেরিয়ে আজ দুর্গাপুজোর মহাষ্টমী। দুর্গাপুজোর অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ হল অষ্টমী, যখন দেবী দুর্গার রূপ, দেবী চামুণ্ডাকে মহিষাসুরের সহযোগী অসুরদের পরাজিত করার জন্য  করা হয়। এই দিনে ভক্তরা উপবাস পালন করে, দেবীর নয়টি রূপের পুজো করে এবং অস্ত্র পুজোর আয়োজন করে।
 
মহাস্নান শেষে অষ্টমী পুজো করা হয়। মহাষ্টমীর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ আকর্ষণ হল ‘কুমারীপুজো’। যেখানে একজন কুমারীকে দেবী দুর্গারূপে আরাধনা করা হয়। যেসব বালিকারা বয়:সন্ধিতে পৌঁছায়নি এদিন সকালে তাদের দেবীরূপে পুজো করা হয়। ১৬টি উপকরণ দিয়ে পুজোর সূত্রপাত হয়। শুরুতেই গঙ্গাজল ছিটিয়ে কুমারী মা-কে শুদ্ধ করে তাঁর চরণযুগল ধুয়ে তাঁকে বিশেষ অর্ঘ্য প্রদান করা হয়। অর্ঘ্যের শঙ্খপাত্রকে সাজানো হয় গঙ্গাজল, বেল পাতা, আতপ চাল, চন্দন, পুষ্প ও দূর্বাঘাস দিয়ে। দেবীর গলায় পরানো হয় পুষ্পমাল্য। এরপর অগ্নি, জল, বস্ত্র, পুষ্প ও বাতাস- এই পাঁচ উপকরণ দেওয়া হয় ‘কুমারী’ পুজোতে। বয়স অনুযায়ী এদের নাম হয়ে থাকে সন্ধ্যা, সরস্বতী, ত্রিধামূর্তি, কালিকা, সুভগা, উমা, মালিনী, কুব্জিকা, অপরাজিতা, কালসন্দর্ভা, রুদ্রানি, ভৈরবী, মহালক্ষ্মী, পীঠনায়িকা, ক্ষেত্রঞ্জা ও অম্বিকা। এ ১৬টি নামে এরা বয়স অনুযায়ী পূজিত হয়। যেখানে কুমারী মেয়েদের দেবীর শক্তি হিসেবে সম্মান করা হয়। 
 
অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিস্থলে করা হয় সন্ধি পুজো। মহাষ্টমীর সন্ধ্যায় ১০৮টি প্রদীপ জ্বালিয়ে সন্ধি পুজো করা হয়। কথিত আছে, মহিষাসুর বধের সময় সন্ধির এই ক্ষণেই দেবী দুর্গা চামুণ্ডা বা কালীমূর্তির রূপ ধারণ করেছিলেন। সন্ধি কথার অর্থ হল ‘মিলন’। অষ্টমী তিথির শেষ ২৪ মিনিট ও নবমী তিথির শুরুর ২৪ মিনিট, মোট ৪৮ মিনিটের মধ্যে শেষ করতে হয় সন্ধিপুজো। এই দুই তিথির মহামিলনের সময়কে ‘মহাসন্ধিক্ষণ’ বলা হয়। এই পুজো করার অর্থ হল রাগ, অভিমান সব ভুলে একসঙ্গে থাকা।