ভারতে বাংলাদেশের ১,২০০ টন ইলিশ রপ্তানির অনুমতি

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 23 d ago
মাছের রানী ইলিশ মাছ
মাছের রানী ইলিশ মাছ
ঢাকা

দুর্গাপূজার আগে ভারতে ১,২০০ টন  ইলিশ মাছ রপ্তানির অনুমতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ।বাংলাদেশের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সোমবার গভীর রাতে এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, সরকার ২০২৫ সালে দুর্গাপূজা উপলক্ষে শর্তসাপেক্ষে ভারতে ১,২০০ (এক হাজার দুইশ) মেট্রিক টন ইলিশ রপ্তানি করার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

আগ্রহী রপ্তানিকারকদের কাছ থেকে ২০২৫ সালের ১১ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত অফিস চলাকালীন সময়ে আবেদনপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে যে, আবেদনের সাথে অবশ্যই রপ্তানিকারক সংস্থার হালনাগাদ বাণিজ্য লাইসেন্স, ইআরসি, আয়কর শংসাপত্র, ভ্যাট শংসাপত্র, বিক্রয় চুক্তি, মৎস্য বিভাগের লাইসেন্স সহ প্রাসঙ্গিক নথি থাকতে হবে।

সরকার হিলসার ন্যূনতম রপ্তানি মূল্য কেজি প্রতি ১২.৫০ মার্কিন ডলার নির্ধারণ করেছে।  উল্লেখ্য, যাঁরা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের আগে আবেদন করেছিলেন, তাঁদেরও নতুন করে আবেদন জমা দিতে হবে।

এর আগে ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ সালে প্রায় ৪৫-৫০ টন ওজনের বাংলাদেশের 'পদ্মা হিলসা' র প্রথম চালান শুক্রবার সকালে পশ্চিমবঙ্গে এসে পৌঁছেছিল।  এর আগমনের পর, কর্মকর্তারা এটিকে দুর্গাপূজার আগে একটি বহু প্রত্যাশিত আমদানি হিসাবে প্রশংসা করেছিলেন।
 
বাংলাদেশে গত বছরের উৎপাদনের তুলনায় প্রায় ৩০ শতাংশ কম- ছোট ইলিশ চালানের খবরের সাথে আমদানিকারকরা দাবি করেছেন যে সরবরাহ কেবল তখনই উন্নত হতে পারে যদি প্রতিবেশী দেশের জেলেরা আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বড় আকারের মাছ পাঠাতে  পারে।

ভারতে ইলিশ রপ্তানির ওপর নিষেধাজ্ঞা কমানোর পাশাপাশি বাংলাদেশের মুহম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও প্রতি কেজি ইলিশ রপ্তানির মূল্য ২.৫ মার্কিন ডলার বৃদ্ধি করেছে।

তিনি বলেন, 'গত বছর এক কেজি হিলসের রপ্তানি মূল্য ছিল ১০ ডলার এবং এ বছর তা বাড়িয়ে ১২.৫ ডলার করা হয়েছে।  এখন, আমাদের গত বছরের ৪৩৯ টাকার পরিবর্তে ১,১০০ টাকায় এক কেজি ইলিশ কিনতে হবে।বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ভারতে মোট ২,৪২০ টন ইলিশ রপ্তানি করে।

হাওড়া পাইকারি মাছের বাজারে হিলসা মাছের পাইকারি দাম বর্তমানে কেজি প্রতি ১,৪০০ থেকে ১,৬০০ টাকা।  উন্নত স্বাদের জন্য পরিচিত এই মাছটি পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্ত অতিক্রম করে হাওড়া বাজারে পৌঁছেছিল, যেখানে এটি কলকাতা ও তার আশেপাশের বিভিন্ন খুচরো বাজারে বিতরণ করা হয়েছিল।

২০১২সালের জুলাই থেকে বাংলাদেশ ইলিশ রপ্তানি নিষিদ্ধ করলেও ২০১৯সাল থেকে দুর্গাপূজার সময় ভারতে রপ্তানির জন্য বিশেষ অনুমতি দিয়েছে।