লন্ডনে অপ্রবাসবিরোধী প্রতিবাদ: “আমাদের দেশ ফেরত চাই” শ্লোগানে উত্তাল রাজধানী

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 18 d ago
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি
 
লন্ডন

শনিবার লন্ডনের হৃদয়স্থলে এক বিপুল প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে ‘ইউনাইট দ্য কিংডম’ নামক আন্দোলনের আওতায় প্রায় ১,৫০,০০০ জন প্রতিবাদকারী একত্রিত হন। তাঁরা ‘আমাদের দেশ ফেরত চাই’ শ্লোগান দিয়ে তাদের অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
 
এই প্রতিবাদ কর্মসূচি আয়োজিত হয় চরমপন্থী নেতা টমি রবিনসনের উদ্যোগে। প্রতিবাদে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিল মূলত ইংল্যান্ডের লাল-সাদা সেন্ট জর্জের পতাকা ও যুক্তরাজ্যের জাতীয় পতাকা ইউনিয়ন জ্যাক।বর্তমানে যুক্তরাজ্যে বাড়তে থাকা অপ্রবাসবিরোধী মনোভাব এই প্রতিবাদের পেছনে প্রণোদনা হিসেবে কাজ করেছে। বিশেষ করে আশ্রয়প্রার্থীদের জন্য হোটেলগুলোতে ক্ষুদ্র প্রতিবাদ কর্মসূচি ইতোমধ্যে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
 
প্রতিবাদকারীরা “আমরা আমাদের দেশ চাই”, “নৌকা থামাও”, “তাদের ফিরিয়ে পাঠাও” এবং “পর্যাপ্ত হয়েছে, আমাদের সন্তানদের রক্ষা করো” শীর্ষক প্ল্যাকার্ড ধারণ করেন। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা কীর স্টার্মারকে কটূক্তিপূর্ণ ভঙ্গিতে গাইতে থাকেন এবং “টমি”, “কাদের রাস্তা? আমাদের রাস্তা”, “ইংল্যান্ড” শ্লোগান আওয়াজ করেন।
 
রবিনসনসহ অন্যান্য বক্তারা বক্তব্য দেন যে, ‘গ্রেট রিপ্লেসমেন্ট’ (বড় বদলি) তত্ত্বের ভিত্তিতে ইউরোপীয় জনজাতির স্থান গ্রহণ করছে অন্য জনগোষ্ঠী। তাঁরা বলেছিলেন, “অসংযত অভিবাসন ব্রিটেনকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে”।
 
সমাবেশে সংগীত পরিবেশনের সময় গাওয়া হয়, “পশ্চিম বিশ্বের ইমেজ কে কেন মধ্যপ্রাচ্যের মতো দেখাচ্ছে” এমন কথাবলি। প্রতিবাদকারীরা মুলত মুসলিম ব্রাদারহুড, ইসলামিক স্টেট এবং ফিলিস্তিনের পতাকা প্রদর্শন করেন। পরে সবাই মিলে সেই পতাকাগুলোকে উলঙ্গ করে ভেঙে ফেলেন, যা প্রচণ্ড সাড়া জাগায়।
 
একজন প্রতিবাদকারীর প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, “কেন শ্বেতাঙ্গ মানুষকে অবজ্ঞা করা হয় যখন আমাদের থেকেই সব খরচ চালানো হয়?” অন্য একটি প্ল্যাকার্ডে ছিল, “কল সেন্টার: ইংরেজিতে কথা বলো।”
 
সমাবেশ শেষ হলেও অপ্রবাসবিরোধী আন্দোলনের উত্তাপ থামেনি। দেশের রাজনৈতিক পরিমণ্ডলে অভিবাসন নিয়ে বিতর্ক আরও জোরালো হচ্ছে, যেখানে দুই পক্ষের মধ্যে মতবৈচিত্র্য এবং উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই প্রতিবাদের প্রভাব ভবিষ্যতে যুক্তরাজ্যের নীতিনির্ধারণ ও সামাজিক কাঠামোর ওপর কীভাবে পরিলক্ষিত হবে, তা সময়ই বলবে।