শতানন্দ ভট্টাচার্য
অসমের হাইলাকান্দি জেলার কাটলিছড়ার মহিলা অপরাজিতা আচার্য সম্প্রতি মুম্বাইয়ে অনুষ্ঠিত প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের মেলবন্ধনকারী লাভ বন্দিশ ব্লিস অনুষ্ঠানে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রশংসায় ভাসলেন এবং সম্মানিত হলেন ক্রিয়েটিভ এক্সেলেন্স এওয়ার্ডে। সুদূর মুম্বাই থেকে এই প্রতিবেদকের সাথে কথা বলতে গিয়ে অপরাজিতা আচার্য অর্থাৎ রিতা আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেন, জন্মভূমির কথা অবশ্যই বলতে হয় এতবড় সফলতার পর।
হাইলাকান্দি, কাটলিছড়া থেকে বারবার শুভেচ্ছাবার্তা পাচ্ছেন এবং এখানকার মানুষের এত ভালবাসা তাঁকে মুগ্ধ করেছে। তিনি জানান অনেক সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠন যেমন "ড্রিমস" তাঁকে অভিনন্দন বার্তা পাঠিয়েছে। ড্রিমসের কর্ণধার গৌতম গুপ্ত জানান সঙ্গীত এমন এক জিনিষ যে মানুষকে মানসিক শান্তি দেয়, সঙ্গীত ভালবাসেনা এরকম মানুষ নেই তাই অপরাজিতা আচার্য মানুষের হৃদয়ে রয়েছেন। হাইলাকান্দির মহিলার এই সাফল্যে সংস্কৃতিকর্মীদের মধ্যে সন্তুষ্টি এসেছে।
গত ২০ ডিসেম্বর মুম্বাইয়ের কোলাবায় ন্যাশনাল গ্যালারি অফ আর্টের সভাকক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে অপরাজিতা আচার্যকে সম্মাননা প্রদান করা হয় যেখানে বলিউডের প্রোডিউসার বনি কাপুরসহ উপস্থিতি ছিলেন অনেক খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব।
আসলে অপরাজিতা আচার্য কিরানা ঘরানার পন্ডিত মনিপ্রসাদজির উত্তরসূরি সুচেতা ভট্টাচার্যের কাছে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীতের সাধনা করে দীর্ঘদিন থেকে মুম্বাইয়ে বসবাস করছেন এবং সেখানে সঙ্গীত শেখাচ্ছেন শিষ্যদের। তাঁর সাম্প্রতিক সাফল্য বিশেষকরে উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত জগতে পুরস্কৃত হওয়া অনেক বড় ব্যাপার। এনিয়ে অপরাজিতা আচার্য জানান তাঁর সাফল্যের পেছনে রয়েছে প্রয়াত পিতা সমীর আচার্যের আশীর্বাদ আর অনুপ্রেরণা।
"পিতার আদর্শ, উপদেশ আর উনার আশীর্বাদ আজ আমাকে একটা নির্দিষ্ট জায়গায় নিয়ে এসেছে এবং আমি আমার পিতা মাতাকে স্মরণ করেই কোনো কাজ শুরু করি, তাদের আশীর্বাদের ফল আজকের এই সাফল্য", বলেন অপরাজিতা। তিনি এই পুরস্কার পিতা ও ঠাকুমা স্মৃতি আচার্যকে উৎসর্গ করেছেন বলে জানান। তিনি তাঁর জেঠু অজিত কুমার ভট্টাচার্যের কথাও স্মরণ করেন।
অনুষ্ঠানে অপরাজিতা আচার্যের গুরু সুচেতা ভট্টাচার্য "রাতকি পেহলু মে" নামে একটি মিউজিক এলবাম রিলিজ করেন যেখানে ডঃ বিমান শইকিয়ার সাথে গানও গেয়েছেন। বর্তমানে মুম্বাইয়ে সঙ্গীত শিক্ষার জগতে এক বিখ্যাত নাম অপরাজিতা আচার্য, জানালেন তাঁরই এক গুণমুগ্ধ।