শান্তি প্রিয় রায়চৌধুরী:
এই মুহূর্তে বাংলার মোহাম্মদ সামির আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। ৩৫ বছর বয়সী ভারতীয় এই পেসার শেষবার ভারতের জার্সিতে খেলেছেন টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপে ২০২৩ সালে। ঘরোয়া ক্রিকেটের সব টুর্নামেন্টেই খেলেছেন, খেলেছেন আইপিএলেও।কিন্তু তার ফিটনেস নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারেনি বিসিসিআই। তাই অস্ট্রেলিয়া সফর থেকে এবারও তিনি বাদ পড়েছেন।
কিন্তু ফিটনেস সমস্যা নিয়ে মোহাম্মদ সামি বলেছেন, "ফিটনেস নিয়ে কোন সমস্যা নেই।ফিটনেস ভালো জায়গায় রয়েছে। খুব স্বচ্ছন্দে ওভার গুলোতে বল করেছি।"
কিন্তু তা সত্ত্বেও অস্ট্রেলিয়া সিরিজের জন্য ভারতীয় দলে জায়গা হয়নি মোহাম্মদ সামির।এরপরই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কি মোহাম্মদ সামির ভারতীয় দলের ক্যারিয়ার শেষ। বাংলার কোচ লক্ষী রতন শুক্লা বলেছেন, "সামিকে যদি ভারতীয় আর প্রয়োজন না হয় তাহলে সরাসরি তাকে জানিয়ে দেয়া হোক।"
ভারতীয় দলে নিজের জায়গা না হওয়া নিয়ে সামি মঙ্গলবার ইডেনে রঞ্জিতে উত্তরাখন্ডের ম্যাচের আগে অনুশীলনের ফাঁকে বললেন, "এতে আমার হাত নেই। এটা নির্বাচক,কোচ ও অধিনায়কের ব্যাপার। আমি নিজেকে তৈরি রেখেছি,অনুশীলণের মধ্যে আছি।"
অনেকে মনে করছেন জাতীয় দলে ফেরার জন্য সামির একমাত্র পথ ঘরোয়া ক্রিকেট এবং সামনের আইপিএলে ভালো খেলে নির্বাচকদের নজর কাড়া। ভালো পারফর্মেন্স করলে নির্বাচকরা তাকে দলে নিতে বাধ্য হবেন।
কিন্তু এখানেও বাধার সৃষ্টি হয়েছে। আইপিএলের সামির আগের মরশুম ভালো যায়নি সানরাইজার্স হায়দরাবাদে। দলে শামি, জাম্পা, হেড, ক্লাসেনের মতো নামিদামি তারকা ক্রিকেটাররা থাকা সত্ত্বেও পয়েন্ট টেবিলের ষষ্ঠ স্থানে শেষ করেছে অরেঞ্জ আর্মি। দলটির চোখ এবার আইপিএলে ভালো কিছু করা। সেই কারণে এখন থেকেই তারা সামির মতো অভিজ্ঞ বোলারের কাছে প্রত্যাশামতো পারফরম্যান্স না পাওয়ায় জন্য এবার তাঁকে দল থেকে বাদ দিতে পারে বলে খবর আছে।
গত মরশুমে ১০ কোটি টাকায় সামিকে কিনেছিল সানরাইজার্স। কিন্তু একেবারেই খারাপ পারফরম্যান্স ছিল তাঁর। ৯ ম্যাচে নিয়েছিলেন মাত্র ৬ উইকেট। ইকোনমি রেট ছিল ১১.২৩। সূত্রের খবর, এহসান মালিঙ্গা ও সিমরনজিৎ সিংয়ের মতো তরুণ তুর্কিদের উপর ভরসা রাখতে চাইছে হায়দরাবাদ।
অস্ট্রেলিয়া সফরের দলে বাদ পড়েছেন। ভবিষ্যতেও সুযোগ পাবেন কিনা এনিয়ে কোনও আশাভরসা নেই। বরং বোর্ডের বিভিন্ন মহলের যা খবর তাতে জাতীয় দলে ফেরার রাস্তা ক্রমশ ক্ষীণ হচ্ছে বাংলার এই পেসারের। এর মধ্যে আবার যদি আইপিএল থেকে বাদ পড়েন তা হলে তাঁর কেরিয়ার নিয়ে প্রশ্ন উঠে যাবে বলে ধারণা ক্রিকেটমহলের।