শ্রীনগর
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়া বৃহস্পতিবার ভিডিও বার্তার মাধ্যমে কাশ্মীরের ডাল লেকে প্রথমবারের মতো আয়োজিত খেলো ইন্ডিয়া জলক্রীড়া উৎসবের উদ্বোধন করেন। তিনি বলেন, সরকার ভারতের ক্রীড়াক্ষেত্রকে বৈশ্বিক শক্তিকেন্দ্রে পরিণত করতে চায়।
তিন দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠান ২৩ আগস্ট শেষ হবে। ২৮টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল থেকে ৫০০-র বেশি ক্রীড়াবিদ পাঁচটি প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন।
রোয়িং, ক্যানোয়িং ও কায়াকিং–এ মোট ২৪টি পদকের জন্য প্রতিযোগিতা হবে। অন্যদিকে শিকারা স্প্রিন্ট, ড্রাগন বোট রেস ও ওয়াটার স্কিইং প্রদর্শনী খেলা হিসেবে অনুষ্ঠিত হবে।
মাণ্ডবীয়া বলেন, “আজ যখন ক্রীড়াবিদরা উৎসাহ ও উদ্দীপনা নিয়ে কাশ্মীরের ডাল লেকে ইতিহাস রচনার উদ্দেশ্যে নেমে পড়বেন, তখন দৃশ্যটি শুধু ক্রীড়াপ্রেমীদের রোমাঞ্চিত করবে না, বরং বিশ্বকে উপস্থাপন করবে ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’-এর এক শক্তিশালী চিত্র।”
তিনি আরও বলেন, ২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদী প্রধানমন্ত্রী হয়ে বিজেপি সরকার গঠনের পর থেকেই আমাদের লক্ষ্য ছিল ভারতকে বৈশ্বিক ক্রীড়াশক্তি করে তোলা।
“খেলো ইন্ডিয়া গেমসের আওতায় আমরা দেশজুড়ে বিভিন্ন ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শুরু করেছি। আমরা গর্বিত যে জম্মু ও কাশ্মীরে খেলো ইন্ডিয়া জলক্রীড়ার সূচনা করতে পেরেছি। খেলো ভারত নীতি (জাতীয় ক্রীড়া নীতি)-র মাধ্যমে আমরা চাই খেলাধুলা জাতির সংস্কৃতির অংশ হয়ে উঠুক। ‘হর ঘর খেল, ঘর ঘর খেল’ (প্রতিটি ঘরে খেলাধুলা)– এই লক্ষ্য নিয়ে গত ১১ বছর ধরে আমরা ধারাবাহিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি।”
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী আরও জানান, গত সপ্তাহে সংসদে জাতীয় ক্রীড়া শাসন বিল পাস হয়েছে। “এর মাধ্যমে আমরা শুধু ক্রীড়াক্ষেত্রে নয়, ক্রীড়া শাসনেও ঐতিহাসিক সংস্কারের পথে এগিয়েছি।”
অনুষ্ঠানে উপস্থিত কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী রক্ষা খাড়সে বলেন, দেশের ক্রীড়া সংস্কৃতির উন্নয়ন প্রধানমন্ত্রী মোদীর স্বপ্ন। “আমার মনে হয়, এই ধরনের গেমস এবং শীতকালীন ক্রীড়া উৎসব অসাধারণ সুযোগ তৈরি করছে।”