শান্তি প্রিয় রায়চৌধুরী:
প্রিমিয়ার ডিভিশনে উঠে এল কোল ইন্ডিয়া। সোমবার প্রথম ডিভিশনের সুপার সিক্সের ম্যাচে বিধাননগর মিউনিসিপ্যাল স্পোর্টস অ্যাকাডেমিকে ১-০ গোলে হারিয়ে আগামী মরশুমে প্রিমিয়ার ডিভিশনে খেলার ছাড়পত্র পেয়ে গেল এই অফিস দলটি। জয়সূচক গোলটি করেন প্রভাত তেলি।
১৯৯৩ সালে প্রথমবার কলকাতা লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছিল কোল ইন্ডিয়া। সেই থেকে ঘরোয়া লিগের সর্বোচ্চ ডিভিশনে খেলার সুযোগ হয়নি তাদের।এই অফিস দলের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন মোহনবাগানের সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সুখেন সেনগুপ্তের মতো তারকা প্রাক্তনরা।
কোল ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর সত্যজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, “সেই ১৯৯৩ সাল থেকে কলকাতা লিগে খেলছে কোল ইন্ডিয়া। তারপর থেকে একবার আমরা নেমে গিয়েছিলাম দ্বিতীয় ডিভিশনে। গতবার সেখান থেকে প্রথম ডিভিশনে উঠে এসেছিলাম। এবার সেখান থেকে প্রিমিয়ারে উঠে এল দল। আশা করব এভাবেই এগিয়ে যাবে কোল ইন্ডিয়া।”
কোচ সন্দীপ নন্দী
ডার্বি হারতেই ইস্টবেঙ্গলে ‘গৃহযুদ্ধ’, পদত্যাগ করলেন কোচ সন্দীপ নন্দী।আইএফএ শিল্ডে মোহনবাগানের কাছে ফাইনালে হারের পরেই গৃহযুদ্ধ ইস্টবেঙ্গলে। লাল-হলুদের গোলকিপার কোচ সন্দীপ নন্দী পদত্যাগ করেছেন। জানা গেছে, ডার্বি হারের পরেই গোলকিপিং এবং গোলকিপিং কোচ নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিয়েছিলেন ইস্টবেঙ্গলের হেড কোচ অস্কার ব্রুজো। দেবজিৎকে নামানো নিয়ে বলেছিলেন, “দেবজিৎকে নামানোর সিদ্ধান্তটা ভুল ছিল। গিলকেই মাঠে রাখা উচিত ছিল।” হেড কোচের মুখে এমন কথা শুনে অবশ্য চর্চা শুরু হয়েছিল। ফাইনালে হারের পর প্রকাশ্যে কোনও ফুটবলার বা সহকারী কোচকে কাঠগড়ায় তুলছেন হেড কোচ, এমন উদাহরণ বিরল। এর ফলে ডার্বির মাত্র দু’দিন পরেই পদত্যাগ করলেন সন্দীপ।
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, সুপার কাপ খেলতে ইস্টবেঙ্গল স্কোয়াডের সঙ্গে গোয়া পৌঁছে গিয়েছিলেন সন্দীপ। সেখানে গিয়ে ডার্বির সিদ্ধান্তের জন্য অস্কারের কাছে ক্ষমা চেয়েছিলেন সন্দীপ। কিন্তু অস্কার উলটে সন্দীপকে অযোগ্য বলে অপমান করেছিলেন। এই অসম্মান সহ্য করতে না পেরেই পদত্যাগ করেন সন্দীপ। সঙ্গে সঙ্গে সন্দীপ গোয়া থেকে ফিরে আসেন কলকাতায়। উল্লেখ,মাত্র তিন মাস আগে সন্দীপকে কোচ করেছিল লাল-হলুদ ব্রিগেড। কিন্তু তিনি তাঁর প্রিয় ক্লাব থেকে অসম্মান নিয়ে বিদায় নিলেন।