শান্তিপ্রিয় রায় চৌধুরী/ কলকাতা
আর কয়েকটা দিন। ১০ অক্টোবর থেকে বাংলার ফুটবলকে দেখা যাবে এক নতুন রূপে। কারণ ওই দিন থেকে আইএফএ শুরু করছে 'বেঙ্গল সুপার লিগ'।
সঠিক পরিকাঠামো, প্রশিক্ষনের অভাবে হারিয়ে যাচ্ছে বাংলার অনেক প্রতিভাবান ফুটবলার। কিন্তু সেই সমস্যার সমাধান নেই। দীর্ঘদিন ধরেই বাংলার ফুটবলের এই দুরবস্থা চলছে। ৭০-৮০ দশকে জেলাগুলো থেকে কলকাতার ক্লাব গুলোতে ফুটবলার সাপ্লাই করে হতো। কিন্তু সে সাপ্লাই লাইন বন্ধ হয়ে গেছে। সেদিকে লক্ষ্য রেখে আইএফএ এই নতুন উদ্যোগ বেঙ্গল সুপার লিগ। আইএফ এর এই উদ্যোগ জেলার ফুটবলকে যেমন উজ্জীবিত হবে, তেমনি কলকাতা ফুটবল প্রাণ ফিরে পাবে।
প্রতীকী ছবি
শুধু আইএফএ নয়, আই এফএর এই উদ্যোগে আছে শ্রাচী স্পোর্টস এবং জ়ি স্পোর্টস। এই তিনজনের উদ্যোগেই শুরু হচ্ছে বেঙ্গল সুপার লিগ। বেঙ্গল সুপার লিগের এই টুর্নামেন্টে মোট আটটি দল অংশ নেবে। আটটি জোনে ভাগ করা হবে জেলাগুলিকে।
৮ দলের এই প্রতিযোগিতায় হবে ৬১ টি ম্যাচ। দু'মাস ধরে জেলার চারটি স্টেডিয়ামে আয়োজিত হবে বেঙ্গল সুপার লিগের ম্যাচগুলো। হোম ও অ্যাওয়ে ভিত্তিতে খেলা হবে। দলগুলো প্রতিটি দলের সঙ্গে দু'বার করে খেলবে। প্রতিটা দলে থাকবে ২৫ জন করে ফুটবলার। ড্রাফট বা অকশনের মাধ্যমে ফুটবলার পুল থেকে বেছে নিয়ে দল তৈরি করবে ফ্র্যাঞ্চাইজ়িগুলো।
৮টি জোন হবে এই রকম -
* প্রথম জোনে থাকবে জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং কালিম্পং।
* দ্বিতীয় জোনে থাকবে মালদহ, মুর্শিদাবাদ, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর।
* তৃতীয় জোনে থাকবে পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান, বীরভূম।
* চতুর্থ জোনে থাকবে উত্তর ২৪ পরগনা এবং নদিয়া।
* পঞ্চম জোনে থাকবে হাওড়া, হুগলী।
* ষষ্ঠ জোনে থাকবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম।
* সপ্তম জোনে থাকবে পূর্ব এবং পশ্চিম মেদিনীপুর।
* অষ্টম জোনে থাকবে দক্ষিণ ২৪ পরগনা।
প্রতীকী ছবি
আইএফএ সচিব অনির্বাণ দত্ত বলেছেন, ‘‘ জেলার ফুটবলকে উজ্জীবিত করাই আমাদের লক্ষ্য। কারণ জেলার ফুটবলকে উজ্জীবিত করতে পারলেই কলকাতা ফুটবল উপকৃত হবে। দীর্ঘদিন ধরেই কলকাতা ফুটবল জেলার ফুটবলারকে পাচ্ছে না। অথচ জেলার মানুষদের ফুটবল নিয়ে আগ্রহ বেশি। জেলাগুলোর দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেই অবশ্যই উপকৃত হবে কলকাতার ফুটবল। তাই জেলাগুলোর ফুটবলকে উজ্জীবিত করতেই এই বেঙ্গল সুপার লিগ শুরু হল।" রাহুল বলেন, ‘‘আমাদের মূল লক্ষ্য জেলাগুলি থেকে ফুটবলের নতুন প্রতিভা খুঁজে আনা। আশা করি, বেঙ্গল সুপার লিগ আমাদের সেই লক্ষ্য পূরণ করবে, সেই সঙ্গে বাংলার ফুটবলকে সমৃদ্ধ করবে।’’
এদিকে জেলার খেলাগুলিকে প্রচারের আলোয় আনার জন্য আইএফএ খেলাগুলি ‘জ়ি বাংলা সিনেমা’ চ্যানেলে সম্প্রচারের ব্যবস্থা করেছে।