ডিমাপুর
অভূতপূর্ব সাহস, অধ্যবসায় ও দলগত মনোবলের পরিচয় দিয়ে ভারতীয় সেনার স্পিয়ার ক্রপস-এর একটি অভিযাত্রী দল সফলভাবে জয় করল মাউন্ট গরিচেন। পূর্ব হিমালয়ের দুর্গম পরিবেশে এই অভিযান শুধু সেনাদের অভিযাত্রী সত্তাকেই নয়, বরং তাদের শৃঙ্খলা, সহনশীলতা ও অদম্য মনোবলকেও সামনে এনেছে।
অভিযানটি আনুষ্ঠানিকভাবে সূচনা হয় ২০ আগস্ট ২০২৫ তারিখে, লিকাবালি মিলিটারি স্টেশন থেকে স্পিয়ারহেড ডিভিশনের জি.ও.সি কর্তৃক পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে। তার আগে, ১৩ আগস্টে অগ্রবর্তী দলটি রওনা দিয়েছিল অনুসন্ধান ও সমন্বয়ের কাজে।
মাউন্ট গরিচেন অভিযান জয়ের পরবর্তী মুহূর্তের একটি ছবি
দলটি মিসামারি, টেংগা এবং সেনগে হয়ে অগ্রসর হয়। সেনগে পর্যন্ত (৯,৫০০ ফুট) চলা অভিযোজন ও প্রশিক্ষণ অভিযাত্রীদের কঠিন আরোহণের জন্য প্রস্তুত করে তোলে। এরপর ০১ সেপ্টেম্বর থেকে মাগো রোড হেড (১২,২০০ ফুট) থেকে শুরু হয় প্রকৃত অভিযাত্রা। মেরাথাং বেস ক্যাম্প, চোকারসুম, ক্যাম্প-১ এবং সামিট ক্যাম্প হয়ে দলটি এগোয়। ভয়ংকর আবহাওয়া, বরফে ঢাকা খাড়া পথ এবং অক্সিজেনস্বল্প পরিবেশকেও জয় করে তারা স্থাপন করে মধ্যবর্তী ক্যাম্প, দড়ি স্থাপন ও বোঝা বহনের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
অবশেষে ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫ তারিখে স্পিয়ার ক্রপস-এর সৈন্যরা ২১,২৮৬ ফুট (৬,৪৮৮ মিটার) উচ্চতার মাউন্ট গরিচেন জয় করে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এটি ছিল তাদের সাহস, দৃঢ়তা এবং গৌরবের প্রতীকী মুহূর্ত।
মাউন্ট গরিচেন অভিযানের সময় ভারতীয় সেনার স্পেয়ার ক্রপস-এর একটি ছবি
অভিযাত্রী দলটি এরপর নির্ধারিত ক্যাম্প ও সড়কপথ হয়ে ফিরে আসে। ০৩ অক্টোবর ২০২৫ তারিখে ডিমাপুরে স্পিয়ার ক্রপস-এর জি.ও.সি, লেফটেন্যান্ট জেনারেল এ.এস পেন্ধারকর (এ.ভি.এস.এম, ওয়াই.এস.এম) তাঁদের আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাগত জানান।
ভারতীয় সেনার তরফে জানানো হয়েছে, মাউন্ট গরিচেন অভিযান ২০২৫ শুধু অভিযাত্রী সত্তারই প্রতীক নয়, বরং এটি সেনাদের শারীরিক সহনশীলতা, মানসিক দৃঢ়তা এবং কঠিন পরিস্থিতিতে কার্যকর সামরিক দক্ষতার এক উজ্জ্বল নিদর্শন।