কুতুব আহমেদ
গতকাল, অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর ১২ রবিউল আওয়াল ছিল বিশ্বমানবতার অগ্রদূত হজরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিন। একই দিনেই তিনি পরলোক গমন করেন। ফলে, মুসলিন সম্প্রদায়ের মানুষের কাছে এই দিনটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। দিনটিকে ঈদে মিলাদুন্নবী দিবস হিসাবে পালন করেন মুসলিম সম্প্রদায়ের লক্ষ লক্ষ মানুষ।
প্রতি বছরের মতো এবছরেও কলকাতার বিভিন্ন স্থানে অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে পালিত হল বিশ্বনবী দিবস। বিশেষ করে মুসলিম অধ্যুষিত পার্ক সার্কাস, মেটিয়াবুরুজ, খিদিরপুর, গার্ডেনরিচ, তপসিয়া, রাজাবাজার সহ আরও একাধিক অঞ্চলে বিশ্বনবীর জন্মদিনকে স্মরণ করে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিশ্বনবী দিবস উপলক্ষে কলকাতায় আয়োজিত ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প
বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এইসব শোভাযাত্রায় অংশ নেন সংশ্লিষ্ট অঞ্চলের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও স্থানীয় মসজিদে নামাজ পড়তে আসা ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
কলকাতার তপসিয়া অঞ্চলের নুরে মুহাম্মদী জামা মসজিদের পেশ ইমাম মওলানা মুহাম্মদ মুশারফ হুসাইন সাহেব বলেন, "মহানবী সা. শুধু মুসলমানদের জন্যই নয়, মানবতার জন্যও শান্তির বাণী নিয়ে এসেছিলেন। সারা বিশ্বে মানবতার বাণী ছড়িয়ে দিয়েছেন তিনি সমগ্র বিশ্বের মানুষ হজরত মুহাম্মদ সা-কে আজ নবী হিসাবে মান্যতা দিয়েছেন। তাই আমাদের সকলকেই মহানবী সা-এর পথ অনুসরণ করতে হবে, তাঁর বাণী ও নীতি ছড়িয়ে দিতে আমরা আমাদের জীবন উৎসর্গ করতেও প্রস্তুত ।"
বিশ্বনবী দিবস উপলক্ষে কলকাতায় আহার বিতরণের একটি ছবি
নখোদা মসজিদের পেশ ইমাম মওলানা মুহাম্মদ শফিক কাশেমী বলেন, "মহানবী হজরত মুহাম্মদ সা. এমন একজন মানুষ, যাঁর জীবনদর্শন বিশ্বের সকল মানুষের জন্য আদর্শ হতে পারে। আজ তাঁর জন্ম এবং ওফাত দিবস। এই দিনটি আমাদের কাছে হয়ে উঠুক সৌভ্রাতৃত্ব ও বিশ্বশান্তির দিন। মানুষের মাঝে বিশ্বনবীর মানবতার আদর্শ জাগরুক হোক।"
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রাজ্যের নানা স্থানেও এদিন ধুমধামের সঙ্গে পালিত হয়ে গেল ঈদে মিলাদুন্নবী।