বাংলাদেশে হত্যার জেরে উত্তাল দিল্লি, দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 5 d ago
বাংলাদেশে হত্যার জেরে উত্তাল দিল্লি, দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
বাংলাদেশে হত্যার জেরে উত্তাল দিল্লি, দূতাবাসের সামনে বিক্ষোভ
নয়াদিল্লি ঃ
 
ভিএইচপি-র নেতৃত্বে বিক্ষোভকারীরা দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় এবং ব্যারিকেড ভেঙে দেয়। তারা বাংলাদেশে হিন্দু যুবক দিপু চন্দ্র দাসের গণপিটুনিতে হত্যার বিচার দাবি করে।বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি)-র বিক্ষোভকারীরা দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং ব্যারিকেড ভেঙে দেয়।
 
তারা বাংলাদেশে হিন্দু যুবক দিপু চন্দ্র দাসের গণপিটুনিতে হত্যার প্রতিবাদ করছিল। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের কাছে ভারী নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল।অন্যদিকে,বাংলাদেশ ভারতের তিনটি জায়গায়,দিল্লি, শিলিগুড়ি এবং আগরতলার ভিসাকেন্দ্র বন্ধ রাখার কথা জানিয়ে দেয় ঢাকা।

বিক্ষোভকারীরা বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের কাছে জবাবদিহি দাবি করে, কেউ কেউ ন্যায়বিচার এবং সংখ্যালঘুদের সুরক্ষার দাবি জানায়। বিক্ষোভকারীরা দিল্লির বাংলাদেশ হাইকমিশনের বাইরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে এবং ভবনের দিকে মিছিল করার চেষ্টা করে। তারা পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে ফেললেও পুলিশ ও আধাসামরিক কর্মীদের বহুস্তরীয় নিরাপত্তা বেষ্টনীতে আটকে যায়। 

সর্বভারতীয় হিন্দি বাঙালি সংগঠন, ভিএইচপি এবং বজরং দলের সদস্যরা দুর্গাবাই দেশমুখ সাউথ ক্যাম্পাস মেট্রো স্টেশনের কাছে একটি বিক্ষোভে অংশ নিয়েছিল। তারা বাংলাদেশের হিন্দুদের নিরাপত্তা নিয়ে স্লোগান তোলে। বিক্ষোভকারীদের বিশাল ভিড় নিরাপত্তার ব্যারিকেড ঠেলে দেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তেজনা বেড়ে যায়।
 
বিক্ষোভকারীরা "ভারত মাতা কি জয়", "ইউনুস সরকারের হুঁশ ফিরুক ", এবং "হিন্দু হত্যা বন্ধ করো" স্লোগান দিচ্ছিল। একজন বিক্ষোভকারী চিৎকার করে বলেন যে হিন্দুরা বিপদে আছে এবং এই দেশ ভগবান রামের। তিনি বলেন, "হিন্দুদের হত্যা করা হচ্ছে। এই দেশ ভগবান রামের। এই দেশ ভগবান কৃষ্ণের। আমরা এখানে কাউকে হত্যা করি না, কিন্তু আমাদের বোন ও মেয়েদের সম্মান বিপন্ন।"

এই বিক্ষোভের উদ্দেশ্য ছিল ১৮ ডিসেম্বর ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপু চন্দ্র দাসের মর্মান্তিক গণপিটুনি ও হত্যার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করা।এদিকে এসব ঘটনার পর মঙ্গলবার সকালে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করা হয়।
 
কূটনৈতিক সূত্র জানায়, নয়াদিল্লি, কলকাতা ও অন্যান্য স্থানে বাংলাদেশ মিশনগুলোর সামনে উদ্ভূত পরিস্থিতি এবং নিরাপত্তা ঝুঁকি নিয়ে বাংলাদেশের উদ্বেগ জানাতে তাকে ডাকা হয়। এ সময় বাংলাদেশি কূটনৈতিক স্থাপনাগুলোর নিরাপত্তা জোরদার করার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তুলে ধরা হয়।