আওয়াজ দ্যা ভয়েস / মুম্বাই
ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল (WGC)-এর সর্বশেষ রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৫ সালে রেকর্ডভাঙা উত্থান দেখা সোনা (Gold Investment) আগামী ২০২৬ সালেও শক্তিশালী পারফরম্যান্স বজায় রাখতে পারে। রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা, ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনা এবং নমনীয় মুদ্রানীতির কারণে সোনায় বিনিয়োগ কমার বদলে আরও বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
রিপোর্ট মতে, সারা বিশ্বের বিনিয়োগকারীরা যে অস্থির অর্থনৈতিক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এগিয়ে চলেছেন, ২০২৬ সালেও সেই পরিস্থিতি একই রকম থাকতে পারে বলেই আশঙ্কা। ফলে ধীর অর্থনৈতিক বৃদ্ধি, সহনশীল নীতি এবং জিওপলিটিক্যাল ঝুঁকি সোনাকে জোরালো সমর্থন দিতে পারে। WGC জানায়, “বছরজুড়ে সোনার উত্থানে যে বিনিয়োগের চাহিদা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে, আগামী দিনেও এতে বৃদ্ধির সুযোগ থেকেই যাচ্ছে।”
যদিও বর্তমানে সোনার দাম সীমিত পর্যায়ের মধ্যে উঠানামা করছে, রিপোর্ট বলছে, বিশ্বব্যাপী ঝুঁকির প্রকৃতি বিবেচনা করলে বিনিয়োগকারীরা তাদের পোর্টফোলিওতে সোনাকে নিরাপদ সম্পদ (Safe-Haven Asset) হিসেবে রাখতে থাকবেন। রিপোর্ট আরও ইঙ্গিত করছে, কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলোর চলমান স্বর্ণ ক্রয় এবং সক্রিয় গোল্ড রিসাইক্লিংও দামকে সহায়তা করতে পারে, যদিও নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে এগুলো চ্যালেঞ্জও হয়ে উঠতে পারে।
২০২৫ সাল সোনার জন্য ঐতিহাসিক, সোনা ৫০টিরও বেশি অল-টাইম হাই স্পর্শ করেছে এবং নভেম্বরের শেষে ৬০% এরও বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। ১৯৭১ সালের পর এটি সোনার চতুর্থ সর্বোচ্চ বাৎসরিক রিটার্ন দেওয়ার পথে রয়েছে। এই অভূতপূর্ব র্যালির প্রধান কারণ ছিল, ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্বল মার্কিন ডলার এবং কম সুদের হার।
ভারতেও গত এক বছরে সোনার দাম ৬৬% এর বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে, এবং বর্তমানে ২৪ ক্যারেট সোনা প্রতি ১০ গ্রাম প্রায় ₹১,৩০,৫৪০ টাকায় লেনদেন হচ্ছে। যা দেশের অভ্যন্তরীণ চাহিদা ও বিনিয়োগকারীদের শক্ত আস্থার পরিচায়ক।
সবমিলিয়ে, বৈশ্বিক অস্থিতিশীলতা, অর্থনৈতিক মন্দার আশঙ্কা এবং ভূ-রাজনৈতিক উত্তেজনার কারণে ২০২৬ সালেও Gold Investment থাকবে একটি শক্তিশালী ও নির্ভরযোগ্য বিকল্প।