নয়া দিল্লি
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আমন্ত্রণে শীঘ্রই ভারত সফরে আসবেন ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভলোদিমির জেলেনস্কি। ভারতের মধ্যে থাকা ইউক্রেনের রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার পুলিচস্কে এই কথা জানিয়েছেন।
ইউক্রেনের স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে দেশটির রাষ্ট্রদূত সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী জেলেনস্কিকে ভারত সফরের জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। দুই দেশই সফর সংক্রান্ত কাজ করছে। শীঘ্রই জেলেনস্কি ভারতের উপস্থিতি নিশ্চিত।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন যে, মস্কোর সঙ্গে সম্পর্কের কারণে কিয়েভ ভারতকে শান্তি আলোচনার এক গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার হিসেবে গ্রহণ করে এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সমাপ্তি ঘটাতে ভারতের আরও বেশি জড়িত থাকার আহ্বান জানায়। রাশিয়ার সঙ্গে হওয়া রাজনৈতিক আলোচনায় নিশ্চিতভাবে ইউক্রেনের শান্তি প্রতিষ্ঠার প্রক্রিয়ায় ভারতের আরও বেশি জড়িত হওয়ার আমরা আশা করছি।
পুলিচস্কে বলেছেন যে, সংঘাত সম্পর্কিত ভারতের অবস্থান শান্তিপূর্ণ সমাধানের জন্য কিয়েভের দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে মিল রয়েছে। ভারত ইউক্রেনে শান্তি প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সকল অংশীদার এবং রাশিয়ান ফেডারেশনের সঙ্গে শান্তি ও আলোচনাকে সমর্থন করে। ভারত "নিরপেক্ষ নয়" কিন্তু দৃঢ়ভাবে শান্তি ও আলোচনার পক্ষে আছে এমন মন্তব্যের কথা প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছেন বলে উল্লেখ করেছেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন যে, ২০২৩ সাল থেকে ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে সম্পর্ক উন্নত হয়েছে এবং দুই দেশই ভবিষ্যতের কৌশলগত অংশীদারিত্বের সম্ভাবনা খুঁজছে। ভারত ও ইউক্রেনের মধ্যে ভবিষ্যতের কৌশলগত অংশীদারিত্ব নিয়ে ঘোষণার বিষয়ে তিনি বলেন, "আমার বিশ্বাস রাখুন, আমাদের সেই সম্ভাবনা রয়েছে।"
তিনি আরও বলেন যে, গত এক বছরে ভারত ইউক্রেনের সঙ্গে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত হয়েছে এবং জাতিসংঘে একাধিকবার প্রধানমন্ত্রী মোদী ও প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির সাক্ষাৎ হয়েছে। বিস্তৃত কূটনৈতিক প্রচেষ্টার প্রসঙ্গে মন্তব্য করে পুলিচস্কে বলেন, মস্কোর দৃষ্টিভঙ্গি এবং পশ্চিম থেকে প্রাপ্ত সমর্থনের উপর নির্ভর করে কিয়েভ আলোচনা করার জন্য উন্মুক্ত রয়েছে।
গত সপ্তাহে, দেশের ৭৯তম স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও ভারতবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। বিশেষ করে রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধের অবসানে এবং বিশ্বশান্তির প্রচেষ্টায় ভারত একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন।