কলকাতা
জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, “কলকাতা ভারতের গৌরবময় অতীতের সাক্ষী, আবার ভবিষ্যতের স্বপ্নপথিকও। ভারত যখন বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দিকে এগোচ্ছে, তখন দমদম ও কলকাতার মতো শহরগুলোই হয়ে উঠবে এই যাত্রার চালিকাশক্তি।”
মেট্রো ও মহানগরের পরিবহন
প্রধানমন্ত্রী কলকাতা মেট্রোর একাধিক নতুন অংশ চালু করেন। এর মধ্যে রয়েছে ১৩.৬১ কিমি নতুন লাইন ও হাওড়া মেট্রো স্টেশনের নিচ দিয়ে নির্মিত সাবওয়ে। নোয়াপাড়া–জয়হিন্দ বিমানবন্দর, সিয়ালদহ–এস্প্ল্যানেড ও বেলেঘাটা–হেমন্ত মুখোপাধ্যায় অংশ চালু হওয়ায় যাত্রীদের যাতায়াত অনেক দ্রুত হবে। যেমন,সিয়ালদহ থেকে এস্প্ল্যানেডে পৌঁছতে আর ৪০ মিনিট নয়,মাত্র ১১ মিনিট লাগবে।
নিজে নোয়াপাড়া থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত মেট্রো যাত্রার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে মোদী জানান, যাত্রীরা আধুনিক সুবিধায় খুশি। তাঁর মতে,এই সম্প্রসারণ কলকাতার বিমানবন্দর ও আইটি হাবকে আরও সহজে যুক্ত করবে।
কোনা এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প
তিনি ৭.২ কিমি দীর্ঘ ছয় লেনের উড়ালপথ, কোনা এক্সপ্রেসওয়েরও শিলান্যাস করেন। প্রায় ১,২০০ কোটি টাকার এই প্রকল্প শেষ হলে বন্দরের সঙ্গে সংযোগ বাড়বে, সময় বাঁচবে এবং বাণিজ্য,পর্যটন ও শিল্পে বড় গতি আসবে।
আধুনিক ভারতের ভিশন
মোদী বলেন, “২১শ শতকের ভারতকে চাই ২১শ শতকের পরিবহন ব্যবস্থা। তাই দেশজুড়ে রেল, সড়ক, মেট্রো, বিমানবন্দর, সবই আধুনিকভাবে তৈরি ও একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত করা হচ্ছে।” তিনি জানান, ২০১৪-র আগে যেখানে মাত্র ২৫০ কিমি মেট্রো লাইন ছিল,আজ তা বেড়ে ১,০০০ কিমিরও বেশি, যা বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম নেটওয়ার্ক। কলকাতায়ও প্রায় ১৪ কিমি নতুন লাইন ও সাতটি নতুন স্টেশন যোগ হয়েছে।
রেল পরিষেবায় অগ্রগতি
পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করেন,পশ্চিমবঙ্গ এখন ১০০% রেল বিদ্যুতায়ন সম্পূর্ণ করেছে। পুরুলিয়া–হাওড়া মেমু ট্রেনের দীর্ঘদিনের দাবি পূরণ হয়েছে। রাজ্যে বর্তমানে ৯টি বন্দে ভারত ও ২টি অমৃত ভারত ট্রেন চলছে ।
শেষে তিনি আশ্বাস দেন, “পশ্চিমবঙ্গের উন্নয়নকে কেন্দ্রীয় সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। পরিকাঠামোর এই প্রসারই কলকাতা ও গোটা রাজ্যের সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের ভিত গড়ে তুলছে।”