রাজ্যে ১০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে কোকার চাষ করা হবে

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 3 d ago
প্ৰতিনিধিত্বমুলক ছবি
প্ৰতিনিধিত্বমুলক ছবি
গুয়াহাটি

কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনার লক্ষ্যে অসমে কোকের উৎপাদন বাড়ানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। ব্রহ্মপুত্র ও বরাক উপত্যকার বিভিন্ন অঞ্চলের উর্বর সমভূমি,ঐতিহ্যগতভাবে তাদের বিভিন্ন ধানের মতো ফসলের জন্য পরিচিত, এখন কোকা চাষের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করা হয়। অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই অঞ্চলগুলিকে কোকার প্রধান স্থান হিসাবে চিহ্নিত করেছেন। 

অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা শাখার ডিন সঞ্জয় কুমার চেতিয়া রাজ্যের মধ্যে সম্পদ সংগ্রহ প্রকল্প এবং শিল্প সংযোগের উপর নির্ভর করে ১০ হাজার হেক্টরেরও বেশি জমিতে কোকা চাষের সম্ভাবনা প্রকাশ করেছেন। ইতিমধ্যে,তেতেলিয়া অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস কোম্পানি লিমিটেড এবং দিয়া ফাউন্ডেশন কোকা চাষের জন্য বিভিন্ন জেলার শত শত কৃষককে যুক্ত করে উৎপাদন প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। 

অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত জাতীয় কোকা কনক্লেভ উত্তর-পূর্বাঞ্চলে কোকার অব্যবহৃত সম্ভাবনা অন্বেষণের জন্য অংশীদারদের একত্রিত করে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিয়েছে। এই সম্মেলনের মাধ্যমে,প্রথম পর্যায়ে ১০০০ হেক্টর জমিতে কোকা চাষের একটি উচ্চাভিলাষী লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়। 

আফ্রিকা থেকে কোকা আমদানির উপর ভারতের নির্ভরতা কমাতে এই পদক্ষেপকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কাজু ও কোকা উন্নয়ন সঞ্চালকের কর্তা ডঃ ফেমিনা দৃঢ় সহযোগিতা ও গুণগত মানের রোপণ সামগ্রীর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।  

অসম কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় এবং সিএইউ ইম্ফলে ইতিমধ্যেই এই ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। মিজোরামের কৃষি মন্ত্রী পি সি ভানলালরুয়াটা কৃষকদের জীবিকা বৃদ্ধির জন্য উচ্চ ফলনশীল কোকা জাতের গুরুত্বের কথা তুলে ধরে কোকা-ভিত্তিক অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে সম্মিলিত পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।  

অসমের এই কোকা উৎপাদন যাত্রায় অংশ নেওয়ার এবং রূপান্তরকারী উন্নয়নের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। এটি কৃষিক্ষেত্রের ভবিষ্যৎকে নতুন রুপে রাজ্যের অর্থনৈতিক শ্রীবৃদ্ধিতে অবদান রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।