“গণেশোৎসবে মুম্বাই: মুসলিম ঢাকিদের বাজনায় উৎসবে মিলনসুরের আবহ”

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 6 h ago
গনেশোৎসবে ঢাক হাতে মুসলিম ঢাকি (ফাইল চিত্র)
গনেশোৎসবে ঢাক হাতে মুসলিম ঢাকি (ফাইল চিত্র)
 
অপর্ণা দাস 
 
গণেশ চতুর্থীর উৎসব মানেই ভক্তি, আড়ম্বর আর আনন্দ-উল্লাসের মেলবন্ধন। এ বছরও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। তবে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হয়ে উঠেছে মুসলিম ঢাকি ও বাদ্যযন্ত্রীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ। মুম্বাই শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গণেশ মণ্ডপ ও শোভাযাত্রায় দেখা গেল তাদের ঢাকের বাজনা, যার তালে ভক্তরা নেচে উঠলেন। ঢাক-ঢোলের তালে তালে শহরের রাস্তাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে মিলনসুরের বার্তা।
 
শহরের বিভিন্ন প্রান্তে গণেশ প্রতিমার শোভাযাত্রায় দেখা গেছে, ঢাক-ঢোল বাজিয়ে তাল মেলাচ্ছেন মুসলিম যুবকেরা। লালবাগ থেকে গিরগাঁও পর্যন্ত বিভিন্ন গণেশ মণ্ডপে দেখা গেছে মুসলিম বাদ্যযন্ত্রীদের উচ্ছ্বাসময় পারফরম্যান্স। তাদের হাতে বাজানো ঢোলের ঝংকারে একদিকে যেমন ভক্তরা নেচে উঠেছেন, তেমনই উৎসবে যোগ হয়েছে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির নতুন মাত্রা।
 
 
তিন প্রজন্ম ধরে এ পেশার সঙ্গে যুক্ত অনেক পরিবার জানিয়েছেন, গণেশোৎসব শুধু তাদের জীবিকার উৎস নয়, বরং মিলনমেলার অংশীদার হওয়ার এক বিশেষ অনুভূতি দেয়। “আমরা ঘরে গণেশ পূজা করি না, কিন্তু রাস্তায় যখন ঢোল বাজাই, মনে হয় আমরাও এই আনন্দের অঙ্গ। ভক্তদের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাজানোটা আমাদের কাছেও ভক্তিরই এক রূপ,” বললেন একজন ঢাকিবাদক।
 
গণেশ মণ্ডপগুলির আয়োজকরাও জানাচ্ছেন, ঢাকিদের অংশগ্রহণ ছাড়া উৎসব অসম্পূর্ণ। “ঢাকের তালে গণেশোৎসবের আসল আবহ তৈরি হয়। কে বাজাচ্ছেন সেটা বড় কথা নয়, আনন্দ আর ঐক্যের সুরটাই আসল,” মন্তব্য করলেন লালবাগের এক মণ্ডপ কমিটির সদস্য।
 
মুম্বাইয়ের রাস্তায় এই দৃশ্য যেন আরও একবার প্রমাণ করে দিল, এখানে উৎসব মানেই মিলনমেলা, যেখানে হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ মুছে একসাথে মিশে যায় ভক্তি, সঙ্গীত আর সম্প্রীতির সুরে।