বালি পাচার মামলায় কলকাতা-সহ একাধিক জায়গায় ইডি-র তল্লাশি

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 24 d ago
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি
কলকাতার :
 
কলকাতা,গোপীবল্লভপুর-সহ রাজ্যের ২২টি জায়গায় একযোগে তল্লাশি চলছে। তদন্তকারীদের নজরে একাধিক বালি খাদানের মালিক এবং তাঁদের অফিস। শুধু তাই নয়,বেশ কয়েকটি বিমা সংস্থার অফিসেও এদিন সকাল থেকে তল্লাশি চলছে। তদন্তকারীদের দাবি,বালি পাচারের মোটা অঙ্কের টাকা বিমায় বিনিয়োগ করা হত। এই বিষয়ে আরও সূত্রে পৌঁছতে এদিন সকাল থেকে কোমর বেঁধে তল্লাশি অভিযানে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

বালি পাচার মামলায় কলকাতার একাধিক জায়গায় হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। সোমবার ভোর থেকে তল্লাশি চলছে ঝাড়গ্রাম জেলার গোপীবল্লভপুরে শেখ জহিরুল শেখ নামের এক ব্যক্তির বাড়িতেও। ইডি সূত্রে খবর, রবিবার মধ্যরাতেই রাজ্যের নানা দিকে রওনা দেন তদন্তকারীরা। সঙ্গে ছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানেরা।

সোমবার ভোরে প্রায় একই সময়ে প্রতিটি জায়গায় তল্লাশি অভিযান শুরু হয়। তল্লাশি চলছে উত্তর ২৪ পরগনা, নদিয়ার বেশ কয়েকটি স্থানেও। ইডি সূত্রের খবর, কলকাতায় বেহালার একটি ঠিকানায় তল্লাশি চলছে। তল্লাশি চলছে রিজেন্ট কলোনির একটি ঠিকানাতেও।

তদন্তকারীদের দাবি, বালি তোলার ক্ষেত্রে যে লরিকে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে, সেই গাড়ির নম্বর দিতে হতো। কিন্তু অভিযোগ, একই নম্বর ব্যবহার করেই একাধিক লরিতে চলত এই বালি পাচার। কার্যত অনেক ক্ষেত্রেই তা প্রশাসনের বোঝার বাইরে ছিল। আপাতদৃষ্টিতে দেখলে স্বাভাবিকভাবেই মনে হত, অনুমতি পাওয়া লরিই বালি তুলছে। কিন্তু সেই নম্বরকে ব্যবহার করে আদতে একাধিক লরিকে ব্যবহার করেই চলত এই বালির দুর্নীতি। যদিও স্থানীয়দের দাবি, এই ঘটনার সঙ্গে প্রশাসনের একাংশের যোগসাজশ রয়েছে। এখানেই শেষ নয়, বালি তোলার ক্ষেত্রে অনুমতি পত্রে কিউআর কোড দেওয়া হত। অভিযোগ, সেই কিউআর কোডকেও জাল করা হত। আর এই অবৈধভাবে বালি তোলার ফলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে বলে বারবার সরব হয়েছেন স্থানীয় মানুষজন। কিন্তু এরপরেও এই দুর্নীতি চলছিল বলে অভিযোগ।