গান্ধী ও শাস্ত্রীর জয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর শ্রদ্ধাঞ্জলি

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 16 h ago
গান্ধী ও শাস্ত্রীর জয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর শ্রদ্ধাঞ্জলি
গান্ধী ও শাস্ত্রীর জয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর শ্রদ্ধাঞ্জলি
 
নয়া দিল্লি, ২ অক্টোবর

আজ জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধী ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্মজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী তাঁদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এদিন তিনি জানান, তাঁর সরকার গান্ধীজির আদর্শকে সামনে রেখে একটি আত্মনির্ভর ও উন্নত ভারতের স্বপ্ন পূরণে অবিচলভাবে কাজ করে চলেছে।
 
প্রধানমন্ত্রী মোদী ‘এক্স’ (পূর্বে টুইটার) এ লিখেছেন, “গান্ধী জয়ন্তী প্রিয় বাপুর অসাধারণ জীবনকে প্রণাম করার দিন, যাঁর ভাবনা মানব ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করেছিল। তিনি দেখিয়েছিলেন কীভাবে সাহস ও সরলতা এক মহান পরিবর্তনের মাধ্যম হতে পারে।”
মোদী আরও বলেন, বাপু সেবা ও করুণার শক্তিতে বিশ্বাস করতেন, যা জনগণকে ক্ষমতায়নের জন্য অপরিহার্য। পাশাপাশি তিনি ভারতের দ্বিতীয় প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীকেও স্মরণ করেন, যাঁর জন্মদিনও ২ অক্টোবর।
 
তিনি উল্লেখ করেন, “শাস্ত্রীজি ছিলেন এক অসাধারণ রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর সততা, বিনয় এবং দৃঢ় সংকল্প ভারতকে শক্তিশালী করেছিল। তিনি ‘জয় জওয়ান, জয় কিসান’ স্লোগান দিয়ে দেশবাসীর মধ্যে দেশপ্রেমের অগ্নিশিখা প্রজ্বলিত করেছিলেন। আজও তিনি আত্মনির্ভর ও শক্তিশালী ভারতের নির্মাণে আমাদের প্রেরণা।”
দেশবাসীকে স্বদেশি দ্রব্য গ্রহণেরও আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তব্য, গান্ধীজি ও শাস্ত্রীজিকে শ্রদ্ধা জানানোর সবচেয়ে বড় উপায় হলো স্বদেশিকে গ্রহণ করা।
 
তিনি বলেন, “স্বদেশিই আত্মনির্ভর ও উন্নত ভারতের ভিত্তি।”
 
উল্লেখ্য, মহাত্মা গান্ধীর জন্ম ১৮৬৯ সালে গুজরাটে। সত্য ও অহিংসার পথ অবলম্বন করে তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামকে নতুন দিশা দিয়েছিলেন এবং সমগ্র বিশ্বকে প্রভাবিত করেছিলেন।
 
অন্যদিকে, লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর জন্ম ১৯০৪ সালে উত্তর প্রদেশে। জওহরলাল নেহরুর মৃত্যুর পর তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হন। তাঁর সততা ও দক্ষ নেতৃত্বের জন্য তিনি সর্বত্র পরিচিত। তাঁর আমলেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ভারত সফল নেতৃত্বের পরিচয় দেয়।