বিশ্বকর্মা পূজোর ঘোষিত সরকারি ছুটি না মেনে ফের সংঘাতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 15 d ago
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়
দেব কিশোর চক্রবর্তী

শিল্প দেবতা বিশ্বকর্মা পুজো উপলক্ষে সরকারি ছুটি ঘোষণা করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ঘোষণা অনুযায়ী সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বুধবার বন্ধ ছিল। পূর্ব ঘোষিত সূচি অনুযায়ী ১৭ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছুটি মানলেও খোলা ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। কার্যত সংঘাতের পথে গিয়ে বিশ্বকর্মা পুজোয় ছুটির অনুমোদন দিলেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে।

সম্প্রতি রাজ্য সরকারের তরফ থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জানানো হয়, ১৭ সেপ্টেম্বর বুধবার সরকারি ছুটি। অর্থাৎ রাজ্যে স্কুল এবং উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও সেদিন বন্ধ থাকার কথা। কিন্তু সরকারের এই বিজ্ঞপ্তি অগ্রাহ্য করেই বিশ্বকর্মা পুজোর দিন বিশ্ববিদ্যালয় খোলা রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দত্ত দে। শুধু তা-ই নয়, বুধবার স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় পর্যায়ের ভর্তির কাউন্সেলিংও রাখা হয়েছিল। ‌
 
    বিশ্ববিদ্যালয় ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য শান্তা দে আওয়াজ দ্যা ভয়েস'কে বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয় কোনওদিন ছুটি থাকত না। অর্থ দফতর ও উচ্চশিক্ষা দফতর যে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে, তা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে পাঠানো হয়নি। স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় হিসাবে আমাদের প্রতিষ্ঠান আজ খোলা ছিল।” রাজ্যের অর্থ দফতরের তরফে ছুটি দেওয়ার নির্দেশিকা জারি করা হয়েছিল। অর্থ দফতরের সঙ্গে সাযুজ্য বজায় রেখে বিভিন্ন স্বশাসিত সংস্থা বা যাদবপুর, রবীন্দ্রভারতী, প্রেসিডেন্সির মতো স্বশাসিত বিশ্ববিদ্যালয় নিজেদের মতো করে নির্দেশিকা জারি করে দেয়। ব্যতিক্রম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

তবে সম্প্রতি নবান্নের তরফ থেকে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা রয়েছে, ছুটির যে ক্যালেন্ডার তৈরি হয় সেখানে আগেই বিষয়টির উল্লেখ রয়েছে। বিজ্ঞপ্তির তারিখ ২০২৪ সালের ২২ নভেম্বর। আর এখানেই প্রশ্ন উঠছে, সম্প্রতি রাজ্য সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের যে চাপানউতর চলছে তার প্রতিফলন এ বার এসে পড়ল সরকারি ছুটিতে‌ও। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরেও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টিচার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সনাতন চট্টোপাধ্যায় বলেন, “এই সিদ্ধান্তে আমাদের অসন্তোষ থাকলেও আমরা এই বিষয়টি নিয়ে এখনই কোন‌ও মন্তব্য করতে চাইছ না।”সরকারি ক্যালেন্ডারে এই ছুটি আগে থেকে থাকলেও, তাকে কার্যত উপেক্ষা করে বুধবার স্নাতকোত্তরের দ্বিতীয় পর্যায়ের কাউন্সেলিং রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কোনওও মন্তব্য করতে চাননি।