বিপ্লব তীর্থ প্রবর্ত্তক সঙ্ঘে এসে নিজের মাটিকেই যেন খোঁজার চেষ্টা করলেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 1 d ago
প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল
প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল
 
দেবকিশোর চক্রবর্তী / চন্দননগর 

তিনি দেশের প্রধানমন্ত্রীর অর্থ উপদেষ্টা। স্বাভাবিকভাবেই তাঁর জন্য নির্ধারিত থাকে কিছু প্রশাসনিক প্রোটোকল। সে সবের কোন বালাই নেই। ভাগীরথী নদীর পশ্চিম পাড়ের ঐতিহাসিক শহর চন্দননগরে এসে তিনি যেন নিজের মাটিকেই খোঁজার চেষ্টা করলেন। তিনি সঞ্জীব সান্যাল। এক আদ্যপান্ত দেশপ্রেমিক। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাস নিয়ে লিখেছেন বেশ কয়েকটি বই। বর্তমানে দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা।
 
একদা ফরাসি ঔপনিবেশিক চন্দননগর শহরের অন্যতম প্রধান বিপ্লব তীর্থ ছিল প্রবর্ত্তক সঙ্ঘ। বাংলার প্রায় সকল বিপ্লবীদের পদধূলি ধন্য হয়েছে এই আশ্রম। নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু থেকে শুরু করে রাসবিহারী বসু, দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন,  ঋষি অরবিন্দ, মহাত্মা গান্ধী, উল্লাস কর দত্ত, কানাইলাল দত্ত, মাখনলাল ঘোষাল, শচীন সান্যাল প্রমুখ শতাধিক বিপ্লবী। আধ্যত্ম্যবাদের সঙ্গে সশস্ত্র বিপ্লবকে একই সূত্রে বেঁধেছিলেন আশ্রমের সঙ্ঘ গুরু মতিলাল রায়। 
 
 
এই প্রবর্ত্তক আশ্রমেই এক সময় ইংরেজদের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ব্রত নিয়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন বিপ্লবী শচীন সান্যাল। এই শচীন সান্যাল ছিলেন দেশের বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যালের আপন দাদু। শুক্রবার দুপুরে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে আশ্রমের মাটিতে পা দিয়েই যেন ইতিহাস খোঁজার চেষ্টা করলেন ভারত সরকারের এই আমলা। আশ্রমের এ প্রান্ত থেকে ও প্রান্ত ঘুরে হাতড়ে বেড়ালেন পরাধীন ভারতবর্ষের সেই রোমাঞ্চকর দিনগুলির মৌন মুখর ইতিহাস। 
 
আওয়াজ দ্য ভয়েসকে এদিন তিনি জানালেন, "ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। ভবিষ্যতের স্বার্থে গুছিয়ে রাখতে হয় ইতিহাসের গৌরবময় দলিল। পরাধীন ভারতবর্ষ স্বাধীন হয়েছিল অগুণতি বিপ্লবীর রক্তের বিনিময়ে। সেই ইতিহাস এবং ঐতিহ্যকে আমাদের সংরক্ষণ করতে হবে। আর সেই কাজে অবশ্যই আমি পাশে থাকব।" 
 

সময় সরণি ধরে অনেকটাই ভগ্ন প্রায় হয়েছে বিপ্লব তীর্থ প্রবর্ত্তক সঙ্ঘ। এই আশ্রমকে সংস্কারের জন্য সমস্ত রকম সাহায্যের প্রতিশ্রুতি দিলেন তিনি। যাবার আগে বলে গেলেন, "আবার আসবো, আসতে তো হবেই।"

 
সংঘ সচিব প্রদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় শুনিয়ে গেলেন একের পর এক মৌন মুখর ইতিহাস। সেই ইতিহাসের নিবিষ্ট শ্রোতা হয়েই ঝটিকা সফরে এসে ফিরে গেলেন এক নিপাট বাঙালি সঞ্জীব সান্যাল।