'মিসাইল-ম্যান'থেকে অনুপ্রানিত! দরিদ্র সেবায় নিজেকে বিলিয়ে দিতে চান সদ্য ডাক্তারি পাস করা আবদুল রাকিব

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 19 h ago
ডা.আবদুল রাকিব
ডা.আবদুল রাকিব
 
কুতুব আহমেদ / কলকাতা

ডা.আবদুল রাকিব পশ্চিমবঙ্গের নদিয়া জেলার অন্তর্গত শান্তিপুর জনপদের কারিকর পাড়া নামে এক অখ্যাত অঞ্চলের ভূমিপুত্র। শুধুমাত্র এইটুকু বললে একটা ঝাপসা ছবি উঠে আসে আমাদের চোখের সামনে। তবে সেই ছবিই আরও স্পষ্টায়িত হবে,যখন একে একে এই প্রান্তবাসীর জীবন সম্পর্কে আমরা জানব। "স্বপ্ন সেটা নয়, যেটা মানুষ ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে দেখে। স্বপ্ন সেটাই, যেটা পূরণের প্রত্যাশা মানুষকে ঘুমাতে দেয় না। "ড. এ.পি.জে. আবদুল কালাম। 'মিসাইল-ম্যান' থেকে অনুপ্রানিত হয়ে এই বাস্তবধর্মী জীবনবাদী কথাটি বলেছিলেন  আমাদের দেশের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি তথা 'মিসাইল-ম্যান' ড. কালাম। তাঁর 'উইং অফ ফায়ার' গ্রন্থ থেকে  জীবন পরিচালনার পাথেয় হিসাবে আরও অসংখ্য রসদ খুঁজে পান ডা. আবদুল রাকিব। 
 
ডা. আবদুল রাকিব এই বছর বীরভূম জেলার রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতাল থেকে ডাক্তারি পাস করে বেরিয়েছেন। প্রশ্ন উঠতে পারে প্রতিবছরই তো অসংখ্য ছেলেমেয়ে ডাক্তার হয়ে নিজেদের কেরিয়ার শুরু করছেন। তাহলে আবদুল রাকিবের ক্ষেত্রে বিশেষত্ব কী? অবশ্যই বিশেষত্ব আছে। নাহলে এতটা ভণিতা করার প্রাসঙ্গিকতা থাকত না। এবার বলি সেই কথা।
 
ডা.আবদুল রাকিব
 
শান্তিপুর জনপদের কারিকর পাড়া একটি প্রত্যন্ত অঞ্চল। এই অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ পেশায় তত্ত্বাজীবী। দিন আনা দিন খাওয়া সংসারের ভার লাঘব করতে অনেকেই বাংলার বাইরে বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে পাড়ি জমায়। কেউ কেউ হয়তো ভিন দেশে কাজ করে সংসারের হাল ফেরানোর বাসনায় মগ্ন আছে। প্রান্তসীমার মানুষগুলো গায়ে গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বাস করছেন। দারিদ্র্যদীর্ণ মানুষগুলোর কাছে দৈনন্দিন চাওয়া-পাওয়ার মধ্যে ফারাক বিস্তর। ঠিক এমনই এক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন ডা. আবদুল রাকিব। দাঁতে দাঁত চেপে মাটি কামড়ে পড়ে থাকার যে লড়াই তিনি চালিয়ে গেছেন, আমাদের মতো ছাপোষা মানুষের কাছে দৃষ্টান্ত হিসাবে তা যথেষ্ট।
 
আবদুল রাকিবের বাবা আলি কদর কারিকর পাড়ার একটি মসজিদে ইমামতি পেশার সংঙ্গ যুক্ত আছেন। কিন্তু ছেলেকে ডাক্তারি পড়ানোর জন্য যে অসাধ্য সাধন তিনি করেছেন, তা আর পাঁচটা সাধারণ গল্পের মতো নয়। মাথার ঘাম পায়ে ফেলে, রক্ত জল করা অমানুষিক পরিশ্রমে ছেলের স্বপ্নকে সাকার হতে সহযোগিতা করেছেন তিনি। কিন্তু একটি মুহূর্তের জন্যও মুখের হাসি মিলিয়ে যেতে দেননি। এমন একজন গর্বিত পিতার ভুবনজয়ী সন্তান ডাক্তার আবদুল রাকিব। তাঁর ছোটবেলাটা কেটেছে শান্তিপুরেই তীব্র দারিদ্রের সঙ্গে লড়াই করতে করতে। এবং সেই লড়াইয়ে জয়ী হয়ে ইতিহাস তৈরি করেছেন তিনি। তিন-চারশো বছরের পুরনো জনপদ কারিকর পাড়ার ইতিহাসে প্রথম ডাক্তার হয়ে নজির গড়েছেন আবদুল রাকিব। এই গৌরবের ভাগিদার যেমন কারিকর পাড়া অঞ্চলের প্রতিটি মানুষ, তেমনই বকলমে পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু সমাজও। আর সেই শ্লাঘা নিয়েই গর্বিত আবদুল রাকিব বলতেই পারেন পরম করুণাময় আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের দয়া এবং তাঁর ইচ্ছের জোরই আজ তাঁকে এই জায়গায় পৌঁছে দিয়েছে।
 
এই যে মুকুটে জয়ের পালক, এই যে কপালে আঁকা বিজয়ের নিশান, এ তো কোনও সামান্য ব্যাপার নয়। ডা. আবদুল রাকিব সেই বিরল প্রজাতির মানুষ, যিনি এসব অর্জন করেছেন অনলস দক্ষতায়, নিরলস পরিশ্রমে, কঠোর অধ্যবসায়ের মধ্যে দিয়ে। এম বি.বি.এস পড়া এবং এম.বি.বি.এস. ডিগ্রি অর্জন, এই দুইয়ের মধ্যে ফারাক শত যোজন। কিন্তু একবার ডিগ্রি হাসিল হয়ে গেলেই আমাদের সমাজে তাঁর কদর বেড়ে যায়। আবদুল রাকিবের ক্ষেত্রেও এর কোনও ব্যতিক্রম ঘটেনি। ডিগ্রি পাবার আগে পর্যন্ত তিনি ছিলেন দূর গ্রহের বাসিন্দা। কিন্তু ডাক্তার হবার শংসাপত্র হাতে পেতেই চেনা-অচেনা মানুষ এসে প্রশংসায় ভরিয়ে দিচ্ছেন তাঁকে। এ এক অদ্ভুত লীলাখেলা এই পৃথিবীর।
 
পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত শান্তিপুর মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন ডা. আবদুল রাকিব। তার আগে প্রাথমিকের পাঠ সম্পন্ন করেন সুত্রাগড় কন্যাপাঠশালা প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে। মাধ্যমিক পাস করে ভর্তি হন সংখ্যালঘু বাঙালি মুসলিমদের প্রাণের প্রতিষ্ঠান আল-আমীন মিশনে। নদিয়া জেলার চাপড়া অঞ্চলে আল-আমীন মিশনের একটি শাখা আছে। সেখানেই ঠাঁই হয় আবদুল রাকিবের। একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগে দুর্দান্ত রেজাল্ট করেন তিনি। এরপর শুরু হয় নিটের কোচিং। কোচিং নেবার জন্য ভর্তি হন আল-আমীন মিশনেরই নিউটাউনের নিট কোচিং সেন্টারে। এই সময়টা ছিল ডা. আবদুল রাকিবের জীবনের টার্নিং পয়েন্ট।
 
ডা. আবদুল রাকিব তাঁর বাড়িতে
 
একদিকে দারিদ্রের সঙ্গে যুঝতে যুঝতে নাজেহাল অবস্থা পিতা আলি কদরের, অন্যদিকে স্বপ্ন পূরণের তাগিদে পুত্র আবদুল রাকিবের বিনিদ্র রজনী যাপন। এই কঠিন সময়কে অনায়াসে পেরিয়ে এসেছেন তাঁরা, এ কথা বলা ভুল হবে। বরং দারিদ্রের সঙ্গে প্রাণপনে লড়াই করতে করতেই জীবনের লক্ষ্যে পৌঁছেছেন ডা. আবদুল রাকিব। 
 
নিটে প্রথম বছরেই ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে সুযোগ পেলেও ডাক্তারি পড়ার জন্য সে বছর নিটের স্কোর খুব একটা ভালো ছিল না তাঁর। তবে দ্বিতীয় বছরেই ভাগ্য খুলে গেল। পেয়ে গেলেন ডেন্টালে। বর্ধমান মেডিকেল কলেজে। কিন্তু দন্ত চিকিৎসক হওয়া না-পসন্দ ডা. আবদুল রাকিবের। ফলে অপেক্ষা শুরু হল তাঁর। মাস খানেকের মধ্যেই দ্বিতীয় রাউন্ডের আপগ্রেডেশনের মাধ্যমে এমবিবিএস কোর্সে রামপুরহাট মহকুমা হাসপাতালে ডাক্তারি পড়ার সুযোগ এল। সালটা ছিল ২০১৯। টানা পাঁচ বছর অ্যাকাডেমিক পিরিয়ডের পর এক বছর ইন্টার্নশিপ। পুরোপুরি ডাক্তার হয়ে বেরিয়ে এলেন আবদুল রাকিব। শংসাপত্র নেবার সেই বিশেষ দিনটিতে তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন গর্বিত পিতা-মাতা।
 
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, আবদুল রাকিবদের ব্যাচটিই রামপুরহাট মেডিকেল কলেজের প্রথম ডাক্তারি পাস করা ব্যাচ। ফলে তাঁদেরকে ঐ কলেজের 'পাইয়োনিয়ার' ব্যাচ বলা হয়। এই শ্লাঘা শুধু তাঁদেরই নয়, রামপুরহাট মেডিকেল কলেজ কর্তৃপক্ষের ক্ষেত্রেও সমানভাবে প্রযোজ্য।
 
ডা. আবদুল রাকিবারা দুই ভাইবোন। তিনিই বড়। একমাত্র বোন বিবাহিতা। বর্তমানে মেডিসিনের ওপর এম.ডি করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি। সেই মর্মে পরীক্ষাও দিয়েছেন। তবে এর মধ্যেই বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা বা নার্সিংহোম থেকে তাঁর ডাক আসছে চেম্বার করার জন্য। যদিও এই মুহূর্তে তিনি এসব নিয়ে বেশি ভাবতে চান না। বরং পড়াশোনার দিকেই মনোনিবেশ করতে চান। তবে পাড়ার মানুষের জন্য সংক্ষিপ্ত পরিসরে চিকিৎসা পরিষেবা দিয়ে চলেছেন মানবিক হৃদয়ের অধিকারী ডা. আবদুল রাকিব। 
 
কারিকর পাড়ার ছোট্ট পরিসরের মধ্যেই নয়, সমগ্র বাঙালি মুসলিম সমাজের কাছেই ডা. আবদুল রাকিব আজ শ্রদ্ধার পাত্র, ভালোবাসার মানুষ। ফলত পরবর্তী প্রজন্মের কাছেও তিনি আইডল হিসাবে গ্রহণযোগ্য হয়ে উঠবেন সে কথা বলাই বাহুল্য। সেই ঐতিহ্যের ধারক এবং বাহক হিসাবেই পরবর্তী প্রজন্মের জন্য তাঁর বার্তা, "আমি কোথা থেকে উঠে এসেছি সেটা বিবেচ্য নয়। আমি কী হতে চাই সেটাই আসল। ফলে সবসময় নিজের লক্ষ্যে স্থির থাকতে হবে। পরিবেশ, পরিস্থিতি কোনও বাধা নয়, মনের ইচ্ছাটাই সব। তাই সমস্ত প্রতিকূলতাকে জয় করে এগিয়ে যেতে হবে। দরিদ্র ঘরে জন্ম নিয়েছি বলে আমি সেভাবেই থেকে যাব, এটা কোনও কাজের কথা নয়। আল্লাহ সবাইকে মেধা দিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন। কে কীভাবে সেই মেধাকে কাজে লাগাচ্ছে, ইউটিলাইজ করছে, তার ওপরেই সফলতা নির্ভর করে।"
 
ডা. আব্দুল রকিবের অনুপ্রেরণা ড. এপিজে আবদুল কালাম (ফাইল)
 
দারিদ্র কথাটা শুনলেই একটা অস্থিরতা গ্রাস করে আমাদের কল্পনায় বাঁচতে চাওয়া মননকে। কিন্তু দারিদ্রের সঙ্গে নিত্য সহবাস যাদের, তাদের কাছে নতুন করে দারিদ্রের সংজ্ঞা দেওয়াটা বোকামি। দারিদ্রের আঁতুড়ঘরে জন্ম আবদুল রাকিবের। মাত্র সাতাশ বছরের জীবনে বহুরূপে তিনি প্রত্যক্ষ করেছেন দারিদ্রকে। সেই দারিদ্রের করাল থাবা এই কিছুদিন আগে পর্যন্তও তাঁদের সংসারে বহাল তবিয়তে ছড়ি ঘুরিয়েছে। কিন্তু ভয় পেয়ে পিছু হঠেননি তিনি। বিশেষ করে  বাবা-মায়ের নিরন্তর সমর্থন এবং দোয়া তাঁর সঙ্গে ছিল। আর ছিল জীবনের প্রতিটি বাঁকে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের রহমত, যা কিছুতেই ভুলতে চান না কৃতজ্ঞ আবদুল রাকিব।
 
ছোটবেলা থেকেই উদয়াস্ত পরিশ্রম করতে দেখেছেন বাবাকে। সেদিক থেকে একটা জেদ ছিলই যে তাঁকে সুপ্রতিষ্ঠিত হতেই হবে। তাছাড়া পারিপার্শ্বিক কিছু বিষয় এবং পরিস্থিতি তাঁর জেদকে বাড়িয়ে দেয় শতগুণ। সেসব প্রসঙ্গ এখন অতীত। তবুও মনে পড়লেই তা এখনও পীড়া দেয় আবদুল রাকিবকে। তবে বাবার অনর্গল মোটিভেশন তাঁর জন্য সবসময় সঞ্জীবনীর কাজ করত।
 
চলার পথে অনেক বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছেন ডা. আবদুল রাকিব। সামাজিক ক্ষেত্রেও নানা বাধা এসেছে তাঁদের পরিবারের ওপর। কিন্তু সে সবের কোনও তোয়াক্কা করেননি তিনি। নিজেকে  সমাজেরই একটা অংশ মনে করেন সবসময়। ফলে তাঁর বা তাঁর পরিবারের সঙ্গে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনাগুলো ভুলে যেতে চান তিনি। সমাজের মানুষের জন্য কাজ করতে চান। অদূর ভবিষ্যতে শান্তিপুর অঞ্চলেই গড়ে তুলতে চান একটি চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান, যেখানে অত্যন্ত স্বল্প মূল্যে অথবা কার্যক্ষেত্রে সম্পূর্ণ বিনা মূল্যে দরিদ্র মানুষরা পরিষেবা পাবেন। তিনি আশা করেন এই কর্মযজ্ঞে তাঁর অঞ্চলের মানুষ তাঁকে দু-হাত তুলে সমর্থন করবেন।
 
ছোটবেলা থেকেই ক্রিকেট খেলার প্রতি অনুরক্ত আবদুল রাকিব। এম.বি.বি.এস পড়তে পড়তেই কলেজের ক্রিকেট টিমের হয়ে খেলেছেন তিনি। মূলত ব্যাটার-কিপার হিসাবেই দলে স্থান করে নেন। রাজ্যের মেডিকেল কলেজগুলোর মধ্যে 'ইন্টার কলেজ লিগে' ২০২৪ সালে এন.আর.এস মেডিকেল কলেজের সঙ্গে খেলায় চ্যাম্পিয়ন হয় তাঁদের টিম।
 
সমরেশ কুণ্ডু ছিলেন আবদুল রাকিবের প্রথম দিককার সায়েন্স টিচার। যাঁর আগ্রহ এবং তাগিদেই বিজ্ঞানের প্রতি ঝোঁক বাড়ে তাঁর। বলতে গেলে সমরেশ স্যারই আবদুল রাকিবের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছেন অনেকটা। সেই মানুষটার কথা অকপটে স্বীকার করতে চান তিনি। সেইসঙ্গে মনে করেন, জীবনে ভালো বন্ধু থাকাটা খুব জরুরি। আসিফ মণ্ডল নামে এমনই এক বন্ধুর কথাও নির্দ্ধিধায় উচ্চারণ করেন আবদুল রাকিব। যিনি নিজেও এন.আব.এস মেডিকেল কলেজ থেকে ইন্টার্নশিপ করছেন।
 
প্রতীকী ছবি 
 
আবার ফিরে আসি ড. এ.পি.জে আবদুল কালামের কথায়। যাঁর অমূল্য বাণী বহু মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে। উদ্বুদ্ধ করেছে ডা. আবদুল রাকিবকেও। স্বপ্ন পূরণের প্রত্যাশা তাই তাঁকে রাতের পর রাত ঘুমাতে দেয়নি। আঘাতে আঘাতে জর্জরিত করেছে। আর শুধুই বলেছে যেন, তোমাকে পারতেই হবে। তুমি পারবেই।
 
পেরেছেন আবদুল রাকিব। দারিদ্রকে জয় করে মরুভূমিতে ফুল ফুটিয়েছেন তিনি। প্রত্যন্ত কারিকর পাড়ার রুখা মাটিতে জল সিঞ্চন করেছেন তিনি। তাঁর ফোটানো ফুলের সুবাসে ভরে গেছে এই শুষ্ক জনপদের প্রতিটি কোণ। আর তারই মাঝখানে বসে অনর্গল বলে চলেছেন তিনি, "আমাদের সমাজ পরিবর্তনের চাবিকাঠি হল শিক্ষা। এই সমাজকে পরিবর্তন করতে গেলে শিক্ষা ছাড়া গতি নেই। অশিক্ষার কারণেই কাজ করে না আমাদের বিবেক। শিক্ষা মানুষের মধ্যে যে চেতনা তৈরি করে, তা তাদের খারাপ কাজ করতে বাধা দেয়।"
 
না এসব কোনও আপ্তবাক্য নয়, ঘোর বাস্তব। যে বাস্তবটা চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছেন কারিকর সমাজের দীর্ঘ শতাব্দীর ইতিহাসে একমাত্র ডাক্তারি পাস করা আবদুল রাকিব।