কলকাতা
বঙ্গোপসাগরে ফের নিম্নচাপ! ঘূর্ণিঝড় ‘মোন্থা’-র প্রভাব কাটতে না কাটতেই ফের একবার উদ্বেগের আবহ তৈরি হয়েছে পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগরে। আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, বঙ্গোপসাগরের পূর্ব-মধ্যাঞ্চল এবং সংলগ্ন মায়ানমার উপকূলে নতুন করে একটি নিম্নচাপ অঞ্চল তৈরি হয়েছে। তার জেরেই সমুদ্র এখন প্রবল উত্তাল, সঙ্গে বইছে ঘণ্টায় ৩৫ থেকে ৪৫ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া।
এই অবস্থায় মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যাওয়ার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আগামী ৫ নভেম্বর পর্যন্ত। আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, নিম্নচাপটি আপাতত মায়ানমার ও বাংলাদেশের উপকূলের কাছাকাছি অবস্থান করছে। ফলে পশ্চিমবঙ্গে এর সরাসরি প্রভাব পড়ার আশঙ্কা নেই। আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে এই নিম্নচাপ অঞ্চল উত্তর-উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে মায়ানমার-বাংলাদেশ উপকূলের কাছে পৌঁছে যাবে বলে অনুমান।
তবে প্রান্তিক প্রভাব হিসেবে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কিছু এলাকায় বুধবার ও বৃহস্পতিবার বিক্ষিপ্ত বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। উত্তরবঙ্গের ক্ষেত্রেও সোমবার দার্জিলিং ও কালিম্পঙের দু’একটি জায়গায় সামান্য বৃষ্টি হতে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। অন্যত্র রাজ্য জুড়ে আবহাওয়া মূলত শুষ্কই থাকবে।
তাপমাত্রার দিক থেকেও হালকা পরিবর্তন লক্ষ্য করা গেছে। কলকাতায় সোমবার সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ২৩.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের চেয়ে এক ডিগ্রি বেশি। রবিবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৮.২ ডিগ্রি, যা স্বাভাবিকের চেয়ে প্রায় তিন ডিগ্রি কম। তবে উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গে আগামী পাঁচ দিনে তাপমাত্রায় তেমন কোনো বড় ওঠানামা হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
অতএব, আপাতত রাজ্যে বড় কোনও আবহাওয়া-সংক্রান্ত দুর্যোগের সম্ভাবনা না থাকলেও বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ নজর কাড়ছে আবহবিদদের। নতুন করে সাগরে গতি বাড়ানো এই নিম্নচাপ ভবিষ্যতে আরও শক্তি সঞ্চয় করবে কি না, সেদিকেই এখন নজর সকলের।