নয়াদিল্লি
অবিরাম বর্ষণে উত্তর ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকা কার্যত থমকে গেছে। টানা বৃষ্টির ফলে দিল্লি-এনসিআর-এ যমুনার জল বিপদসীমা ছুঁয়ে ফেলেছে, ফলে আবাসিক মহল্লায় ঢুকে পড়েছে বন্যার জল। শহরের গুরুত্বপূর্ণ রাস্তাঘাট ডুবে গিয়ে যান চলাচল ব্যাহত, বহু ঘরবাড়ি ভেসে গেছে। সাধারণ মানুষ কার্যত অচলাবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন।
পাশাপাশি, পাঞ্জাবে পরিস্থিতি ভয়াবহ। “সাম্প্রতিক কালের সবচেয়ে বড় বন্যা” বলে দাবি করেছেন স্থানীয় প্রশাসন। এ পর্যন্ত রাজ্যে অন্তত ২৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং কয়েক হাজার মানুষ ঘরছাড়া। উত্তরাখণ্ড ও জম্মু-কাশ্মীরেও টানা মেঘভাঙা বৃষ্টি ও ধারাবাহিক ক্লাউডবার্স্টে আকস্মিক বন্যা দেখা দিয়েছে। বহু মানুষ নিখোঁজ, মৃতের সংখ্যা ক্রমশ বাড়ছে।
রাজধানী দিল্লি ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠছে কারণ লাগাতার ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া হচ্ছে। এতে নদীর জলস্তর দ্রুত বাড়ছে এবং নতুন করে বিপদ তৈরি হচ্ছে বলে আশঙ্কা করছে প্রশাসন।
এদিকে, আবহাওয়া দফতরের (IMD) পূর্বাভাস আরও দুশ্চিন্তার। অন্তত আগামী সাত দিন বৃষ্টির থেকে কোনো বিরাম মিলবে না বলে জানানো হয়েছে। ফলে পরিস্থিতি কতটা ভয়ঙ্কর রূপ নেবে, তা নিয়ে আতঙ্কে বাসিন্দারা।