নয়াদিল্লিঃ
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক অসমের ফরেনার্স ট্রাইবুনালগুলোকে নির্দিষ্ট শিবিরে সন্দেহভাজন অবৈধ বিদেশিদের সরাসরি আটকের নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে। এর আগে এক কাৰ্যবাহী আদেশের মাধ্যমে এই ক্ষমতা প্রয়োগ করা হয়েছিল।
ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল একটি আধা-বিচার বিভাগীয় সংস্থা যা সিদ্ধান্ত নেয় যে কোনও ব্যক্তি অসমে অবৈধ নাগরিক নাকি বিদেশী। এখন পর্যন্ত কাৰ্যনির্বাহী আদেশের মাধ্যমে অবৈধ নাগরিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক দ্য ইমিগ্রেশন অ্যান্ড ফরেনার্স অর্ডার, ২০২৫-এর মাধ্যমে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালকে এই ক্ষমতা দিয়েছে। ২রা সেপ্টেম্বর জারি করা এই আদেশটি ফরেনার্স (ট্রাইবুনেলস) অর্ডার, ১৯৬৪-কে প্রতিস্থাপন করে এবং ফরেনার্স ট্রাইবুনেলগুলিকে একটি আটক আদেশ জারি করার ক্ষমতা দেয় যদি এমন কোনও ব্যক্তি যার জাতীয়তা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা হচ্ছে সে ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হতে অক্ষম হয়।
প্রাথমিকভাবে, অসমে ১১টি অবৈধ বিদেশী নির্ধারণ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়েছিল এবং পরবর্তীকালে সুপ্রিম কোর্ট ২০০৫ সালে অবৈধ বিদেশী (ট্রাইবুনেল দ্বারা নির্ধারণ) আইন, ১৯৮৩ বাতিল করার পরে ট্রাইবুনেলে রূপান্তরিত হয়েছিল। বর্তমানে অসমে প্রায় ১০০টি বিদেশি ট্রাইবুনাল কাজ করছে।
পাশাপাশি অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারী নাগরিকদের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করল কেন্দ্রীয় সরকার(Central Government)। প্রত্যেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে এবার তৈরি হতে চলেছে ডিটেনশন সেন্টার(Detention Camps), এমনটাই জানাল কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। অবৈধভাবে ভারতে বসবাসকারীদের নিজের দেশে পাঠানোর আগে এই ডিটেনশন সেন্টারে রাখা হবে বলে জানা গিয়েছে। কোনও সন্দেহভাজনকে এই সেন্টারে পাঠাতে পারবে ফরেনার্স ট্রাইব্যুনাল। এরপর যদি ওই নাগরিক কোনও প্রমাণ দাখিল করতে না পারেন বা আদালত তাঁকে জামিন না দেয় তাহলে তাঁকে ওই ডিটেনশন সেন্টারে রেখে দেওয়া হবে।
সম্প্রতি পাশ হওয়া অভিবাসন ও বিদেশি আইন, ২০২৫-র পরিপ্রেক্ষিতে এই বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আরও জানানো হয়েছে, ভারতের কোনও পর্বতশৃঙ্গে চড়ার জন্য কেন্দ্রের থেকে অনুমতি নিতে হবে বিদেশিদের। পাশাপাশি গুরুতর অভিযোগে দোষীসাব্যস্ত বিদেশিরা ভারতে ঢোকার অনুমতি পাবেন না।বহিরাগতদের নিয়ে নয়া পদক্ষেপ,রাজ্যে রাজ্যে ডিটেনশন সেন্টার তৈরির নির্দেশ কেন্দ্রের ।