অসম মন্ত্রিসভা অবৈধ অভিবাসী বিতাড়নের নিয়ম জারি করল, নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য ১০ দিনের সময়সীমা নির্ধারণ

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 3 d ago
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা ( ফাইল)
মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শৰ্মা ( ফাইল)
 
গুয়াহাটি

অসম সরকার এক গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়ে এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা মঙ্গলবার ঘোষণা করেন, অবৈধভাবে অসমে অবস্থানরত বিদেশীদের শনাক্ত ও বিতাড়নের জন্য বিশেষ নিয়মাবলী (SOP) প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নির্দেশিকা “অভিবাসী (অসম থেকে বিতাড়ন) আইন, ১৯৫০” কার্যকর করার মাধ্যমে কার্যকর হবে, যাতে সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের নাগরিকত্ব প্রমাণের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা দেওয়া হয়।
 
মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, সুপ্রিম কোর্টের সংবিধানিক নির্দেশনার ভিত্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, অসম সরকার ১৯৫০ সালের আইন প্রয়োগের পূর্ণ অধিকার রাখে। “এই আইনের আওতায় উপ-কমিশনার কেন্দ্রীয় সরকারের অনুমতি পেয়ে যেকোনো ব্যক্তিকে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে তাদের বিতাড়ন করতে পারবেন। এটি বাস্তবায়নের জন্য মন্ত্রিসভা এখন পর্যন্ত প্রথমবারের মতো কার্যকর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে,” তিনি বলেন।
 
১৯৫০ সালের এই আইনটি ভারতীয় সংসদে পাশ হয় পূর্ব পাকিস্তান (বর্তমানে বাংলাদেশ) থেকে অসমে বেআইনি অভিবাসীর প্রবেশ ঠেকানোর উদ্দেশ্যে। আইনটি অনুযায়ী যাদের অবস্থান সাধারণ জনস্বার্থ অথবা নির্দিষ্ট আদিবাসী সম্প্রদায়ের স্বার্থের বিরুদ্ধে বলে মনে হবে, তাদের অসম থেকে বিতাড়ন করার অধিকার সরকার রাখে।
 
নতুন SOP-এ বলা হয়েছে, উপ-কমিশনার সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে নোটিশ প্রদান করবেন এবং তাকে ১০ দিনের মধ্যে তার নাগরিকত্ব প্রমাণ করার সুযোগ দেওয়া হবে। শুনানির পরে যদি উপ-কমিশনার নিশ্চিত হন যে ব্যক্তি বিদেশি, তাহলে সঙ্গে সঙ্গেই বিতাড়নের আদেশ জারি করা হবে। “পরিচিত বিদেশিকে দেরি না করে অসম থেকে সরিয়ে দেওয়া হবে,” মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা স্পষ্ট করেন।
 
যদি উপ-কমিশনার কোনও কারণে নিশ্চিতভাবে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে না পারেন, তবে বিচারাধীন নিষ্পত্তির জন্য মামলাটি ফরেনার্স ট্রাইব্যুনালের কাছে পাঠানো হবে।
 
এই পদক্ষেপকে মুখ্যমন্ত্রী শর্মা “ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত” বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “এখন থেকে অবৈধ বিদেশীদের শনাক্তকরণ ও বিতাড়ন প্রক্রিয়া অনেক সহজ ও কার্যকর হবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনার আওতায় অসম তার নাগরিকদের অধিকার রক্ষায় দৃঢ় ভূমিকা পালন করবে।”