কুতুব আহমেদ
নদীয়া জেলার শ্রীধাম শান্তিপুর জনপদটি বরাবরই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির পীঠস্থান হিসাবে পরিচিত। মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের গুরু অদ্বৈত আচার্যের জন্মস্থান যেমন এই শান্তিপুর ধাম, তেমনই বক্তিয়ার খিলজির আগমনেও ইতিহাসের পাতায় স্থান করে নিয়েছে ছোট্ট এই মফস্বল শহরটি। এই শহরের একদিকে যেমন আছে বাংলার সুবিখ্যাত শ্যামচাঁদ মন্দির, তারই সঙ্গেই রয়েছে বেশ কয়েকশো বছরের পুরনো তোপখানা মসজিদ।
মোটকথা ঐতিহাসিক দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই শহর। বিশেষত হিন্দু এবং মুসলমান দুই সম্প্রদায়ের মানুষ বহু শতাব্দী ধরে পাশাপাশি বাস করছেন শান্তিপুরে। কবি কৃত্তিবাস ওঝা, কবি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত, কবি মোজাম্মেল হক, কবি করুণানিধান বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বাংলার প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী স্যার আজিজুল হকের স্মৃতিধন্য এই শান্তিপুর শহর।
শান্তিপুরের অত্যন্ত গর্বের বস্তু হল এখানকার তাঁতের শাড়ি। অসামান্য ঐতিহ্যের অধিকারী শান্তিপুরী তাঁতের শাড়ি রাজ্য এবং দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও সুনাম অর্জন করেছে। এইসব শাড়ি বিকিকিনির জন্য শান্তিপুরে রয়েছে দুটি বিশাল হাট। যাদের পোষাকি নাম 'বঙ্গর হাট' ও 'ঘোষ মার্কেট।'
জে.এম.বাজারের কর্ণধার জাহাঙ্গীর মল্লিক
শান্তিপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে অথবা শান্তিপুরের ডাকঘর বাসস্ট্যান্ড থেকে ঠিক পশ্চিমদিকে সূত্রাগড় অঞ্চলের অবস্থান। আবার মতিগঞ্জ মোড় বা কালনা থেকে ভাগীরথী নদী পার হয়েও সুত্রাগড়ে যাওয়া যায়। এই সূত্রাগড়ের প্রাণকেন্দ্রেই বহু যুগ ধরে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে হাট দুটি। তবে জনপ্রিয়তার নিরিখে ঘোষ মার্কেট তাঁত কাপড়ের হাটের চাহিদা উত্তরোত্তর বেড়েই চলেছে। এর অন্যতম প্রধান কারণ হল জে.এম.বাজার। ঘোষ মার্কেটের সেকেন্ড ফ্লোরে অবস্থিত দুটি বিশাল কাউন্টার নিয়ে তৈরি হয়েছে জে.এম.বাজার। নানা ধরনের রকমারি শাড়িতে ঠাসা কাউন্টারের অন্দরমহল। ফলে এই জে.এম.বাজারের টানে বাংলার নানা প্রান্ত থেকে যেমন মানুষ ছুটে আসেন এখানে, তেমনই আসেন দেশের অন্যান্য রাজ্যেরও বহু মানুষ। জে.এম.বাজারের কর্ণধার জাহাঙ্গীর মল্লিক। সদালাপী এবং অত্যন্ত দিলখোলা মিশুকে মানুষ তিনি। তাঁর নামের আদ্যক্ষর দিয়েই দোকানের নাম রেখেছেন তিনি। সুন্দর ব্যবহার দিয়ে খুব সহজেই মানুষের মন জয় করে নিতে পারেন জাহাঙ্গীর মল্লিক, এটি তাঁর মহৎ গুণ।
কিন্তু এটা বললে জাহাঙ্গীর মল্লিক সম্পর্কে প্রায় কিছুই বলা হয় না। তাঁর সম্পর্কে লিখতে গেলে অনেক কালি খরচ করতে হবে। তবে সংক্ষেপে বলতে গেলে এইটুকু বলতে হয় যে, বর্তমানে জাহাঙ্গীর মল্লিকের দৌলতে কয়েক হাজার মানুষ প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে করেকর্মে খাচ্ছে। গোদা বাংলায় বলা যায়, বেশ কয়েক হাজার মানুষ তাঁদের দৈনন্দিন জীবিকা নির্বাহ করছেন জাহাঙ্গীর মল্লিকের প্রত্যক্ষ সহযোগিতায়।
ছোট্ট একটা উদাহরণ দিলে ব্যাপারটা আরও পরিষ্কার হবে। জে. এম. বাজারের পক্ষ থেকে এক হাজার টোটোচালককে নিযুক্ত করা হয়েছে হাটের দিনগুলোতে শান্তিপুর রেলস্টেশন থেকে যাত্রীদের নিয়ে আসার জন্য। আর এই টোটো ভাড়ার সমস্ত ব্যয়ভার বহন করেন মানবদরদী সমাজসেবী জাহাঙ্গীর মল্লিক। এর ফলে যাত্রীদের আসার খরচ যেমন বেঁচে যাচ্ছে, তেমনই টোটোচালকরা সরাসরি উপকৃত হচ্ছেন। তাঁদেরকে যাত্রীর জন্য পথ চেয়ে বসে থাকতে হচ্ছে না। মফস্বল শহরের ছোট্ট পরিসরে অর্থনীতিকে সচল রাখার এই উদ্যোগ সত্যিই বাহবা পাবার যোগ্য।
জে. এম. বাজার
২০১৯ সালে জে. এম. বাজার প্রতিষ্ঠা করেন জাহাঙ্গীর মল্লিক। আদপে তিনি বর্ধমান জেলার বুলবুলিতলার বাসিন্দা। কিন্তু শান্তিপুরের সঙ্গে রয়েছে তাঁর নাড়ির যোগ। ২০০৬ সাল থেকে ঘোষ মার্কেটের ছোট্ট চালায় বসে শাড়ি বিক্রি করতেন যে মানুষটি, কালের নিয়মে ভাগ্য পরিবর্তন হয়ে আজ সেই মার্কেটের মধ্যেই বিশাল দুটি কাউন্টারের মালিক তিনি। কঠোর পরিশ্রম, নিষ্ঠা, মেধা এবং সততা নিয়ে মাত্র ৪০ বছর বয়সেই উন্নতির শীর্ষদেশে পৌঁছেছেন তিনি। কিন্তু ভোলেননি নিজের দারিদ্রকে। আর সেই কারণেই বোধহয় সমাজসেবার নেশা পেয়ে বসেছে তাঁকে। মানুষের কষ্ট স্থির থাকতে দেয় না তাঁকে। ফলে সুযোগ পেলেই আর্থিক সহায়তা নিয়ে মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে পড়েন।
বহু ঘাত-প্রতিঘাত পেরিয়ে, বহু চড়াই উৎরাই অতিক্রম করে জাহাঙ্গীর মল্লিক আজ রাজার মতোই সম্পূর্ণ নিজস্ব একটি সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছেন। নিরহংকারী এই মানুষটির উদারতা এবং মহত্ব অবশ্য অন্য জায়গায়। নিজের উন্নতির সাথে সাথে অন্যদের উন্নতির কথাও ভাবেন তিনি। আগেই বলেছি জাহাঙ্গীর মল্লিকের প্রত্যক্ষ এবং পরোক্ষ আর্থিক সহযোগিতায় দিন গুজরান করছেন কয়েক হাজার মানুষ। হাজারখানেক টোটোওয়ালার প্রত্যক্ষ অর্থ উপার্জনের ব্যবস্থা করে দেওয়া কোনও সাধারণ ব্যাপার নয়। তিনি করেছেন। এই তথ্য সত্যিই চমকে দেওয়ার মতো। এর বাইরে আরও কয়েক হাজার মানুষ আর্থিক দিক থেকে তাঁর ওপর পরোক্ষ ভাবে নির্ভরশীল।
ভালো উদ্যোগ ও কনসেপ্ট ক্রিয়েশনের ভাবনা যাঁর মাথায় থাকে, তাঁর সাফল্য কেউ আটকাতে পারে না। জাহাঙ্গীর মল্লিক তার বাস্তব উদাহরণ। জে. এম. বাজারকে তিনি একটা ব্র্যান্ড হিসাবে উপস্থাপন করতে পেরেছেন। প্রিমিয়াম কোয়ালিটির প্রোডাক্ট পেতে গেলে অনেক সময় হয়রানির শিকার হতে হয় মানুষকে। কিন্তু শুধুমাত্র শাড়িকে কেন্দ্র করে জে. এম. বাজার নিজস্ব ব্রান্ডভ্যালু নির্মাণ করতে পেরেছে, পরিচিতি তৈরি করে ফেলেছে অল্প দিনেই। তাছাড়া কাস্টমার যাতে সুষ্ঠু পরিষেবা পান, সেদিকে সজাগ দৃষ্টি রয়েছে জাহাঙ্গীয় মল্লিক এবং তাঁর টিমের। মূলত সিল্কের শাড়ির সম্ভারই জে. এম. বাজারের ঐতিহ্য। প্রোডাকশনের ভেরিয়েশনও মাথা ঘুরিয়ে দেবার মতো।
তবে শুধু সিল্কই নয়, শান্তিপুরের ঐতিহ্য যে তাঁতের শাড়ি, যা একটা সময় হাত তাঁতে বোনা হত, এখন পাওয়ারলুমের তৈরি হয়, সেই সুতির শাড়িরও বিপুল স্টক রয়েছে জে.এম. বাজারে। সত্যি কথা বলতে কী, শান্তিপুরের গর্বের হ্যান্ডলুম শাড়ি আজ প্রায় বিলুপ্তির মুখে। সেই ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন জাহাঙ্গীর মল্লিক। তাঁর হাত ধরেই নতুন করে আবার তৈরি হচ্ছে সুতির শাড়ি। যেখানে সরাসরি কয়েক হাজার মানুষের অন্ন সংস্থানের ব্যবস্থা হচ্ছে। ফলে ওই কয়েক হাজার পরিবারের মানুষের মুখে হাসি ফুটেছে।
জে.এম বাজারের ভেতরের দৃশ্য
জাহাঙ্গীর মল্লিক শুধুমাত্র নিপাট একজন ব্যবসায়ীই নন, একজন সফল উদ্যোগপতিও তিনি। ব্যবসার পাশাপাশি প্রায় হারিয়ে যেতে বসা হাত তাঁতের শাড়ির ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনার যে উদ্যোগ তাঁর, তাকে কুর্নিশ জানাতেই হয়। তাঁর নিজের ভাষায়, "বাঙালিয়ানা মানেই তাঁত শাড়ি। সে পুজো বলুন, ঈদ বলুন বা অন্য কোনও অনুষ্ঠান।"
অত্যন্ত কম খরচে এবং পাইকারি দামে যেভাবে মানুষের হাতে শাড়ি তুলে দিচ্ছে জে. এম. বাজার তাতে খানিকটা অবাকই হতে হয়। তবে জানা গেল এত এত বিপুল শাড়ির যে সম্ভার রয়েছে জে.এম. বাজারে তার সবটাই নিজস্ব প্রোডাকশন। আর এগুলো তৈরি হয় নিজেদের ফ্যাক্টরিতে। এছাড়া বাইরের রাজ্য থেকে যে সব সিল্ক আসে সেসব জায়গাতেও প্রোডাকশন সেটআপ আছে জে.এম. বাজারের। ফলে অত্যন্ত রিজনেবল রেটে শাড়ি বিক্রি করে কাস্টমারের মন সহজেই জয় করে নিতে পেরেছে জে. এম. বাজার। এখানে একটা ব্যাপার বিশেষভাবে উল্লেখ করা প্রয়োজন যে, জে. এম. বাজার প্রধানত হোলসেল প্রোডাক্ট সাপ্লাইয়ের জন্য প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ফলে যাঁরা শাড়ির ব্যবসা করতে চান, তাঁদের জন্য পাইকারি মূল্যের উপযুক্ত মার্কেট হল জে. এম. বাজার।
দুই ভাইয়ের মধ্যে বড় জাহাঙ্গীর মল্লিক। আছেন এক দিদি। মাথার ওপর আছে বাবা-মায়ের ছায়া। বুলবুলিতলা বাজারের অদূরে সিমলন হাইস্কুল থেকে পড়াশোনার পাঠ চুকিয়েছেন জে. এম. বাজারের কর্ণধার জাহাঙ্গীর মল্লিক। এরপর বর্ধমান জেলার হাটগোবিন্দপুর কলেজ থেকে বাণিজ্য শাখায় স্নাতক করেন তিনি। তখন থেকেই টেক্সটাইল ব্যবসার প্রতি গভীর অনুরাগ জন্মায়। একজন উদ্যোগপতি হিসাবে জীবনের পথচলা শুরু করবেন । এমন স্বপ্ন সবসময় অন্তরে লালন করতেন জাহাঙ্গীর মল্লিক। সেই স্বপ্নকে মাথায় রেখেই কলেজ শেষ করার বেশ কয়েক বছর পর রানাঘাটের সরকারি টেক্সটাইল সংস্থা থেকে কোর্স করেন তিনি। ছয় মাসের এই সার্টিফিকেট কোর্সটিই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এরপর তিনি পুরোপুরি মনোনিবেশ করেন টেক্সটাইল শিল্পে। যার ফসল আজকের জে. এম বাজার।
এখনও পর্যন্ত টেক্সটাইলের সবচেয়ে বড় হাব শান্তিপুর। সমগ্র ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে সুতির শাড়ি সিংহভাগ পারচেজ হয় এখান থেকেই। ফলে ব্যবসা করার জন্য উপযুক্ত ক্ষেত্র হিসাবে শান্তিপুরকে বেছে নিতে দু-বার ভাবেননি তরুণ উদ্যোগপতি জাহাঙ্গীর মল্লিক। তাছাড়া আগেই উল্লেখ করেছি, প্রথম থেকেই শান্তিপুরের সঙ্গে তাঁর একটা নিবিড় যোগ ছিল। পিছিয়ে পড়া সংখ্যালঘু বাঙালি মুসলিমরা ইদানীং শিক্ষাক্ষেত্রে যথেষ্ট প্রতিভার স্বাক্ষর রেখে চলেছে। ব্যবসার ক্ষেত্রেও তাদের অংশগ্রহণ উল্লেখ করার মতো। এই পথেই এগিয়ে আসছেন অনেক তরুণ মুসলিম উদ্যোগপতি। জাহাঙ্গীর মল্লিক তাঁদেরই একজন। আর পাঁচজন সংখ্যালঘু তরুণ-তরুণীর জন্য তিনি অনুপ্রেরণা হতে পারেন, এ কথা হলফ করে বলাই যায়।
জে.এম বাজারের ভেতরের দৃশ্য
তাঁর যুক্তি, স্ট্রাগলের পাশাপাশি কনসেপ্ট ক্যাপাবিলিটি থাকলে যে কেউ অনায়াসে সামনের সারিতে এগিয়ে আসতে পারেন। চিন্তা-ভাবনায় দূরদর্শিতার ছাপ যদি না থাকে, তবে তাঁর পক্ষে এগিয়ে যাওয়া অসম্ভব বলে মনে করেন বিশিষ্ট এই উদ্যোগপতি। আগামী দিনে ব্যবসাকে আরও বিস্তৃত করার লক্ষ্যে এবং আরও বহু মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করে দিতে নিয়ত সচেষ্ট রয়েছেন সংখ্যালঘু বাঙালি মুসলিমের প্রতিনিধিত্বকারী স্থানীয় এই ব্যক্তিত্ব। তাঁর ছোটভাই নিজেও টেক্সটাইল ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। বিশেষ করে কটন ফ্যাবরিক হিসাবে পরিচিত গেঞ্জি এবং লেগিনসের যে কাপড়, কালার সবটাই তাঁদের নিজস্ব ফ্যাক্টরিতে প্রসেসিং হয়। বুলবুলিতলা বাজারে রয়েছে এই প্রসেসিংয়ের বিরাট ফ্যাক্টরি।
সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির শহর শান্তিপুর। মানুষে মানুষে মহা মিলনের ক্ষেত্রভূমি শান্তিপুর। হিন্দু-মুসলিম দুই সম্প্রদায়ের সহাবস্থান শান্তিপুরের ঐতিহ্যকে তুলে ধরেছে বিশ্বমঞ্চে। জাহাঙ্গীর মল্লিক নিজেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একজন উজ্জ্বল প্রতিভূ। মানুষে মানুষে ভেদাভেদে বিশ্বাসী নন তিনি। সর্বধর্ম সমন্বয়ের মহান বাণী তাই শোনা যায় তাঁর মুখে। মানবপ্রেম তাঁর রক্তে। মানুষের প্রতি ভালোবাসার সেই আভিজাত্যকে বহন করেই বছরের একটা দিন ঘোষ মার্কেট তাঁত কাপড়ের হাটের সমস্ত কর্মী,হাটের কাজে যুক্ত কর্মচারী এবং টোটোচালকদের একযোগে ভুরিভোজের ব্যবস্থা করেন উদারপ্রাণ এই মানুষটি। হিন্দু-মুসলিম নির্বিশেষে এই ভুরিভোজে অংশগ্রহণ করেন কয়েক হাজার মানুষ। যার সম্পূর্ণ খরচ বহন করেন জাহাঙ্গীর মল্লিক।
শান্তিপুর নিয়ে, শান্তিপুরের ঐতিহ্যবাহী তাঁতের শাড়ি নিয়ে বিশেষ পরিকল্পনা রয়েছে জাহাঙ্গীর মল্লিকের। আসলে তাঁতের শাড়ির ঐতিহ্যকে টিকিয়ে রাখার পণ করেছেন যে তিনি। এমন মহৎ হৃদয় মানুষকে পেয়ে ধন্য শান্তিপুরবাসীও। তাঁর স্বপ্ন, শান্তিপুরের তাঁতের শাড়ির বিস্তৃতি হোক বিশ্বজুড়ে। হাজার হাজার মানুষের রুটিরুজির সংস্থান হয় এই টেক্সটাইল শিল্পকে কেন্দ্র করে। ফলে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং আদান-প্রদানের মাধ্যমে একটা মিলনের সেতু গড়ে উঠছে। আর সেই সেতু নির্মাণের গুরুদায়িত্ব পালন করছেন জে. এম. বাজারের কর্ণধার জনাব জাহাঙ্গীর মল্লিক।
তিনি চান আরও অনেক মানুষ যুক্ত হোক এই শিল্পের সঙ্গে। প্রত্যক্ষ অথবা পরোক্ষভাবে তাঁদের জন্য রুজিরুটির ব্যবস্থা করবেন তরুণতুর্কি জাহাঙ্গীর মল্লিক। এই মুহূর্তে জে.এম বাজারের দুটো কাউন্টারে হিন্দু-মুসলিম মিলিয়ে প্রায় জনা ২৫ কর্মী কাজ করছেন। তাঁদের সবাইকে নিয়ে নীরব পথচারী জাহাঙ্গীর মল্লিক এগিয়ে চলেছেন স্বপ্ন ছোঁয়ার অভিলাষে।