পশ্চিম এশিয়া–আফ্রিকায় ভারতের বিস্তার: প্রধানমন্ত্রী মোদীর জর্ডান,ইথিওপিয়া ও ওমান সফর

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 22 h ago
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
শংকর কুমার

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ১৫ থেকে ১৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চার দিনের সফরে জর্ডান, ইথিওপিয়া ও ওমান যাবেন। আশা করা হচ্ছে, এই সফরের মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য ও আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও দৃঢ় হবে।

ভারতের পশ্চিম এশিয়া নীতির একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হলো জর্ডান ও ওমান। এই দুই দেশই মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে নয়াদিল্লির অন্যতম প্রাচীন কূটনৈতিক বন্ধু। আগামী সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী মোদীর এই দুই দেশ সফরের মাধ্যমে ভারতের সঙ্গে জর্ডান ও ওমানের সম্পর্কের এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। উল্লেখযোগ্য যে, পশ্চিম এশিয়া ও বিশ্বের ভূ-রাজনৈতিক পরিস্থিতির দ্রুত পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটেই প্রধানমন্ত্রী এই সফরসূচি গ্রহণ করেছেন।

এই সফর যেমন শক্তি নিরাপত্তা, বাণিজ্য এবং প্রবাসী ভারতীয়দের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক আরও মজবুত করার আন্তরিক প্রচেষ্টার ইঙ্গিত দেয়, তেমনই জর্ডান ও ওমান—উভয় দেশই নয়াদিল্লির সঙ্গে তাদের অংশীদারিত্বের পরিসর বাড়ানোর পক্ষে অবস্থান নিয়েছে।
 

মধ্যপ্রাচ্য সফরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর একটি দৃশ্য
 
২২ এপ্রিল জম্মু ও কাশ্মীরের পহেলগামে পাকিস্তানি সন্ত্রাসবাদীদের হামলায় ২৬ জন মানুষ নিহত হওয়ার ঘটনায় জর্ডান ও ওমান তীব্র নিন্দা জানায়। জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ (দ্বিতীয়) প্রধানমন্ত্রী মোদীকে ফোন করে নিরীহ মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন। জম্মু ও কাশ্মীরে সংঘটিত এই ভয়াবহ সন্ত্রাসবাদী হামলার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, সব ধরনের সন্ত্রাসবাদ প্রত্যাখ্যান করা উচিত এবং সন্ত্রাসবাদ কখনোই ন্যায়সঙ্গত হতে পারে না।

উল্লেখযোগ্য যে, ২০১৮ সালের পর দ্বিতীয়বারের মতো প্রধানমন্ত্রী মোদী জর্ডান ও ওমান সফরে যাচ্ছেন। তাঁর এই সফর এমন এক সময়ে শুরু হচ্ছে, যখন ওমান নয়াদিল্লির সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে বিশেষ অনুষ্ঠান আয়োজন করছে এবং মাস্কাট ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৭০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। অন্যদিকে, ভারতের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫ বছর পূর্তির প্রেক্ষাপটে এটিই হবে প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম ইথিওপিয়া সফর।
 

জর্ডানের কৌশলগত গুরুত্ব:

উত্তরে সিরিয়া, পূর্বে ইরাক, পূর্ব ও দক্ষিণে সৌদি আরব এবং দখলীকৃত পশ্চিম তীরের ইজরায়েলের সীমান্তে  অবস্থিত ছোট দেশ জর্ডান কৌশলগতভাবে পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলে একটি গুরুত্বপূর্ণ অবস্থান দখল করে আছে।

প্রকৃতপক্ষে, এই অঞ্চলে ভারসাম্য রক্ষায় জর্ডানের ভূমিকা একে ভারতের বৈদেশিক নীতির উদ্দেশ্যের জন্য কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, জর্ডানের সঙ্গে ভারতের প্রতিরক্ষা চুক্তির ফলে লেভান্ত অঞ্চল হয়ে লোহিত সাগর ও পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় ভারতের কৌশলগত প্রভাব বৃদ্ধি পেয়েছে।
 
২০১৮ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ১ মার্চ পর্যন্ত জর্ডানের রাজার ভারত সফরের সময় এই প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এই চুক্তিতে সামরিক প্রশিক্ষণ, প্রতিরক্ষা শিল্প, সামরিক গবেষণা, সামরিক চিকিৎসা পরিষেবা, সাইবার নিরাপত্তা, শান্তিরক্ষা এবং সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে লড়াই সংক্রান্ত বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
 
জর্ডানের রাজা আবদুল্লাহ দ্বিতীয়ের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সাক্ষাৎ

জর্ডান বর্তমানে পশ্চিম এশিয়ার অষ্টম দেশ, যার সঙ্গে ভারত এমন বিস্তৃত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষর করেছে। ভারতের অন্য প্রতিরক্ষা চুক্তিপ্রাপ্ত দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে ওমান, ইউএই, সৌদি আরব, কাতার, কুয়েত, মিশর এবং ইজরায়েল। জর্ডান অঞ্চলটি তার সক্ষম নিরাপত্তা ব্যবস্থার জন্য পরিচিত। পশ্চিম এশিয়ায় সবচেয়ে গুরুতর নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার সংকটের সময়ও জর্ডান রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার এক গুরুত্বপূর্ণ অঙ্ক হিসেবে উপস্থিত থাকে। এটি সম্ভব হয়েছে জর্ডানের উন্নত গোয়েন্দা এবং তথ্য সংগ্রহ ব্যবস্থার কারণে।
 

বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা:

২০২৩-২৪ অর্থবছরে ভারত ও জর্ডানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের পরিমাণ ছিল ২.৮৭৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, এবং ভারতের ওমানের রপ্তানি ছিল ১.৪৪৬৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। জর্ডানে ভারতের প্রধান রপ্তানি পণ্যসমূহের মধ্যে রয়েছে খনিজ ইন্ধন, খনিজ তেল ও তার দ্রবীভূত দ্রব্য, শস্য, মাংস ও প্রক্রিয়াজাত মাংস, জৈব রাসায়নিক পদার্থ, ঔষধ, কফি, চা, মসলা, যানবাহন, তুলা, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জামাদি।

ভারত ও জর্ডান উভয়ই তাদের বাণিজ্যের পরিসর বৃদ্ধি করতে আগ্রহী। ২০২৫ সালের ২৯ এপ্রিল ওমানে অনুষ্ঠিত ভারত-জর্ডান বৈদেশিক অফিস পরামর্শ (FoCs)-এ উভয় পক্ষই অর্থনৈতিক সহযোগিতা আরও বৈচিত্র্যময় করার পাশাপাশি পারস্পরিক বিনিয়োগকে উৎসাহিত করার প্রয়োজনীয়তায় সম্মতি প্রকাশ করে। জর্ডানে ভারতের বিনিয়োগ প্রধানত সার ও বস্ত্রশিল্পে। জর্ডানের ফসফেট ও বস্ত্র খাতে ভারতীয় কোম্পানিগুলি ১.৫ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে।
 

শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতা:

জর্ডানের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষেত্রে শিক্ষা একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম। প্রতি বছর প্রায় ৫০০ জন জর্ডানের শিক্ষার্থী ভারতে অধ্যয়ন করে। ভারতের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের প্রায় ২৫০০ প্রাক্তন শিক্ষার্থী বর্তমানে জর্ডানে আছেন। বৈদেশিক অফিসের আলোচনার পর ভারতীয় কারিগরি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা (ITEC) প্রোগ্রামের অধীনে জর্ডানের জন্য বরাদ্দ আসনের সংখ্যা ৩৭ থেকে বৃদ্ধি পেয়ে ৫০ হয়েছে।

ভারতীয় কলা ও সংস্কৃতি, বিশেষত বলিউড চলচ্চিত্র ও তারকা-অভিনেতারা জর্ডানের পরিবারগুলোর মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয়। জর্ডানের মনোরম ও ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে বহু বলিউড চলচ্চিত্রের শুটিং হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, অক্ষয় কুমার, টাইগার শ্রফ ও পৃথ্বীরাজ সুকুমারের অভিনীত এবং ২০২৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত “বড়ে মিয়া ছোটে মিয়া” ছবিটি জর্ডানে শুট করা হয়েছিল।
 
পহেলগামে সন্ত্রাসবাদী হামলা 
 
বলিউডের ছবির পাশাপাশি জর্ডানে যোগাভ্যাসও অত্যন্ত জনপ্রিয়। মন ও শরীরের মধ্যে সমন্বয় সাধনে গুরুত্ব আরোপ করা এই যোগাভ্যাস জনপ্রিয় করতে ফারাহ কুদসির “নমস্তে জোন” বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে। এই বছরের আন্তর্জাতিক যোগ দিবসে জর্ডানের রাজকুমারী বাছমা বিনত আলীয়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন।

ইথিওপিয়ার গুরুত্ব:

ইথিওপিয়া, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদী সফরের দ্বিতীয় পর্যায়ে ১৬ থেকে ১৭ ডিসেম্বর উপস্থিত হবেন, গ্লোবাল সাউথে ভারতের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশীদার। আফ্রিকান ইউনিয়নের সদর দফতর এবং হর্ণ অব আফ্রিকার প্রধান শক্তি হিসেবে ইথিওপিয়া ১৯৫০ সালে দুই দেশের মধ্যে পূর্ণ কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের পর থেকে ভারতের সঙ্গে উষ্ণ ও সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখেছে।

২০১১ সালের পর এটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদীর প্রথম ইথিওপিয়া সফর। সেই সময়ে যখন আমেরিকা, চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, উপসাগরীয় দেশসমূহ এবং তুর্কি আফ্রিকায় তাদের প্রভাব বাড়াচ্ছে, তখন প্রধানমন্ত্রী মোদী এই সফর করছেন। এই সফর ভারতের আফ্রিকার সঙ্গে সম্পর্ক আরও শক্তিশালী করার ইঙ্গিত দেয়। মোদী ভারতীয় ১০টি পথপ্রদর্শক নীতির মাধ্যমে আফ্রিকার সঙ্গে ভারতের সম্পর্কের নতুন সংজ্ঞা উপস্থাপন করেছেন।
 তাদের নীতির মধ্যে রয়েছে:স্থানীয় ক্ষমতা বৃদ্ধি ও স্থানীয় সুযোগ তৈরি করে আফ্রিকার সম্ভাবনা কাজে লাগানো,
ভারতের বাজারকে মুক্ত রাখা,আফ্রিকার উন্নয়নে ডিজিটাল বিপ্লবের অভিজ্ঞতা বিনিময়,পাবলিক সার্ভিসের বিতরণ উন্নত করা,আফ্রিকায় শিক্ষা সম্প্রসারণ ও ডিজিটাল সাক্ষরতা বৃদ্ধি,কৃষি উন্নয়ন,জলবায়ু পরিবর্তনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা,মহাসাগরকে সকল দেশের জন্য মুক্ত রাখার জন্য আফ্রিকার সঙ্গে কাজ করা ।

ওমানের সঙ্গে বিশ্বাসযোগ্য অংশীদারিত্ব:

প্রধানমন্ত্রী মোদীর তিনটি দেশের সফরের শেষ গন্তব্য হবে ওমান, যা হরমুজ প্রণালী মুখে অবস্থিত। ভারত প্রতিবছর এই কৌশলগত জলপথের মাধ্যমে গুরুত্বপূর্ণ পরিমাণ খারাপ তেল আমদানি করে। ১৭–১৮ ডিসেম্বর সুলতান হাইথাম বিন তারিকের আমন্ত্রণে প্রধানমন্ত্রী মোদী ওমান সফর করবেন এবং ভারতের সঙ্গে মাসকাটের অংশীদারিত্বকে নতুন মাত্রা দেওয়ার প্রত্যাশা করা হচ্ছে।

ওমান একমাত্র উপসাগরীয় দেশ যেখানে ভারতীয় সেনা, নৌসেনা ও বিমানবাহিনী নিয়মিত যৌথ অনুশীলন করে। এই অংশীদারিত্ব কৌশলগত ও নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
 
ভূমধ্যসাগর
 
  ভারত ও ওমান দুদেশ ভারত মহাসাগরের সামুদ্রিক নিরাপত্তা ক্ষেত্রে ঘনিষ্ঠ সহযোগিতা বজায় রেখেছে। দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশ সন্ত্রাসবাদ দমন, সংগঠিত অপরাধ ও জলদস্যু প্রতিরোধে যৌথ পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বর মাসে জি-২০ সম্মেলনের সময়, ভারত ওমানকে বিশেষ বন্ধুত্বের প্রতীক হিসেবে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল।

অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক:

ভারত ও ওমানের মধ্যে অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক অত্যন্ত শক্তিশালী।২০২৩-২৪ অর্থ বছরে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যের মূল্য ছিল ৮.৯৪৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলার।২০২৪-২৫ অর্থ বছরে এটি বেড়ে ১০.৬১৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর এই সফরে দুই দেশ সম্ভাব্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষরের দিকে নজর দিতে পারে। ২০২৪-২৫ অর্থ বছরে ওমান ভারতের ২৯তম বৃহত্তম রপ্তানি বাজার এবং ২৫তম বৃহত্তম আমদানি উৎস হিসেবে স্থান পেয়েছে। তেলের বাইরে ভারতের ওমান রপ্তানি মূলত:খনিজ তেল ও প্রক্রিয়াজাত পণ্য,এলুমিনিয়াম অক্সাইড,চাল, বয়লার, যন্ত্রপাতি ও যান্ত্রিক সরঞ্জাম,বিমান ও মহাকাশযান, বৈদ্যুতিক যন্ত্রপাতি ও সজ্জা উপকরণ,সৌন্দর্য ও মেকআপ প্রস্তুতকরণ, প্লাস্টিক ও তার সামগ্রী, লোহা, ইস্পাত ও সিরামিক।

ওমান থেকে ভারতের আমদানি প্রধানত শক্তি ও শিল্পজাত কাঁচামাল। এতে রয়েছে:খনিজ তেল ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (LNG),ইউরিয়া (fertilizer grade), জৈবিক রাসায়নিক পদার্থ, নির্জল অম্ল ও সালফার,মাটি ও শিল, প্লাস্টারিং উপকরণ, কল, প্রাথমিক প্লাস্টিক, লোহা খনিজ ও আক্রো আদি ।

উপসংহার:

প্রধানমন্ত্রী মোদীর জর্ডান, ইথিওপিয়া ও ওমান সফর এমন সময়ে হয়েছে, যখন পশ্চিম এশিয়া ও আফ্রিকায় দ্রুত ভৌগোলিক-রাজনৈতিক পরিবর্তন, বৃহৎ শক্তির মধ্যে তীব্র প্রতিযোগিতা এবং আঞ্চলিক গতিশীলতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সফরের মাধ্যমে মোদী শুধুমাত্র ভারতের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সদিচ্ছা পুনঃনিশ্চিত করছেন না, বরং ভারতকে কৌশলগত, অর্থনৈতিক ও শক্তি স্বার্থের কেন্দ্রীয় অংশীদার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন।