"ইসরায়েলি হামলার পর কাতার আমীরের সঙ্গে মোদির আলোচনা: শান্তি ও সংলাপের পক্ষে জোরালো বার্তা"

Story by  atv | Posted by  Aparna Das • 2 d ago
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও  কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ( ফাইল)
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি ( ফাইল)
 
নয়া দিল্লী

ভারত ও কাতারের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে এবং সম্প্রতি দোহায় ইসরায়েলি হামলার পর মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে মঙ্গলবার এক গুরুত্বপূর্ণ টেলিফোনালাপ করেন। এই আলোচনা চলাকালীন প্রধানমন্ত্রীর উদ্বেগের কেন্দ্রবিন্দু ছিল কাতারের সার্বভৌমত্বের প্রতি সংঘটিত আঘাত এবং শান্তিপূর্ণ সমাধানের গুরুত্ব।

প্রধানমন্ত্রী মোদি টুইটারে প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে বলেন, “কাতারের আমীর শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানির সঙ্গে কথা হয়। দোহায় হামলার ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা দৃঢ়ভাবে কাতারের সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের নিন্দা করছি। ভারতের অবস্থান শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধানের প্রতি অটল।”
 
এফ আই ও-র বরাতে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রী মোদি কাতারের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, যা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় অবদান রাখছে। বিশেষ করে গাজায় নিরস্ত্রীকরণ ও বন্দিদের মুক্তি সম্পর্কিত মধ্যস্থতা কার্যক্রমে কাতারের ভূমিকা প্রশংসনীয় বলে তিনি মন্তব্য করেন।
 
আমীর শেখ তামিম মোদির এই সহানুভূতি ও সংহতির কথায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। দুই নেতাই ভারত-কাতার কৌশলগত অংশীদারিত্বের উন্নয়নে একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন এবং পারস্পরিক সম্পর্ক আরও মজবুত করার প্রত্যয়ে একমত হন।
 
গতকাল মন্ত্রকের মুখপাত্রও জানিয়েছিলেন, “ভারত এই পরিস্থিতি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। আমরা দৃঢ়ভাবে কূটনৈতিক সংলাপ ও সংযমের প্রতি আহ্বান জানাই যাতে মধ্যপ্রাচ্যের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা অক্ষুন্ন থাকে।”
 
উল্লেখ্য, শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভারতের রাষ্ট্র ভ্রমণে এসেছিলেন। সেই সময়ে দুই দেশের মধ্যে 'দ্বিপাক্ষিক কৌশলগত অংশীদারিত্ব স্থাপনের চুক্তি' স্বাক্ষরিত হয়েছিল। এর মাধ্যমে আরও ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার আশ্বাস প্রদান করা হয়েছিল।
 
এই প্রেক্ষাপটে ভারতের পক্ষ থেকে কাতারের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্থন এবং প্রতিবেশী অঞ্চলে শান্তি প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত হওয়া গভীর গুরুত্ব বহন করছে।