কলকাতা:
লিওনেল মেসির সফর ঘিরে যে উৎসবের আবহ তৈরি হওয়ার কথা ছিল, মুহূর্তে রূপ নেয় চরম বিশৃঙ্খলায়। শনিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে মেসির উপস্থিতিকে কেন্দ্র করে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় স্টেডিয়াম চত্বর। এই ঘটনায় মূল আয়োজক শতদ্রু দত্তকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। রবিবার তাঁকে বিধাননগর মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দেন। শনিবারই বিমানবন্দর থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
যুবভারতী-কাণ্ডে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভারতীয় ন্যায় সংহিতার (BNS) একাধিক ধারায় শতদ্রু দত্ত-সহ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ১৯২, ৩২৪ (৪)(৫), ৩২৬ (৫), ১৩২, ১২১ (১), ১২১ (২), ৪৫ এবং ৪৬ ধারা।অভিযোগের তালিকায় রয়েছে হিংসায় উস্কানি, আঘাত, সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি, সরকারি কাজে বাধা দেওয়া এবং সরকারি কর্মীদের হেনস্থা। পাশাপাশি, এমপিও আইন ও পিডিপিপি আইনের অধীনেও পৃথক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। পুলিশের বক্তব্য, আইনশৃঙ্খলা ভেঙে পড়ার পেছনে যাঁরা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে দায়ী, তাঁদের ভূমিকাই খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আগেই তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন। তিনি প্রকাশ্যেই উদ্যোক্তাদের দায়ী করেন। অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি অসীম কুমার রায়ের নেতৃত্বে এই তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব ও মুখ্যসচিবও রয়েছেন।
রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে পৌঁছান তদন্ত কমিটির সদস্যরা। স্টেডিয়ামে স্পোর্টস দফতরের সচিবও উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। সেখানে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখা এবং প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য শোনার পাশাপাশি আয়োজকদের ভূমিকা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থার ঘাটতি নিয়েও আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।