ত্রিপুরায় নজিরবিহীন উদ্যোগ: পিতার স্মরণে মুসলিম যুবকের হরিনাম সংকীর্তনে অর্ঘ্য দান

Story by  Nurul Haque | Posted by  Aparna Das • 1 d ago
পিতার স্মরণে  মুসলিম যুবক মল্লিক মিয়ার হরিনাম সংকীর্তনে অর্ঘ্য দান
পিতার স্মরণে মুসলিম যুবক মল্লিক মিয়ার হরিনাম সংকীর্তনে অর্ঘ্য দান
 
নুরুল হক / আগরতলা

নিজের প্রয়াত পিতার স্মরণে এলাকার হরিনাম সংকীর্তনে একদিনের অর্ঘ্য দান করলেন মুসলিম যুবক। ধর্মীয় সম্প্রীতির এই নজির দেখা গেল ত্রিপুরার প্রত্যন্ত কাঞ্চনপুর দশদা বাজারে। দশদা বাজারে বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে বাৎসরিক হরিনাম সংকীর্তন।
 
১১ দিনব্যাপী কীর্তনের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে সনাতনী হিন্দু সম্প্রদায়ের পাশাপাশি শামিল হয়েছেন এলাকার জনজাতি এবং মুসলিম সম্প্রদায়ের লোকজন। হিন্দুদের ধর্মীয় এই হরিনাম সংকীর্তনে একদিনের অর্ঘ দান করেছেন এলাকার যুবক মল্লিক মিয়া। পেশায় বেসরকারি কর্মচারী ২২ বছরের যুবক মল্লিক মিয়া হরিনাম সংকীর্তন কমিটির হাতে চাল সহ একদিনের অর্ঘ্যের সমস্ত খরচ তুলে দেন।
 

মল্লিক মিয়া বলেন তার বাবা প্রয়াত বাতামিয়ার স্মরণে তিনি এটা করেছেন। তিনি আরো বলেন কাঞ্চনপুর দশদা বাজার এলাকাটি বরাবরই সম্প্রীতির এক মিলনস্থল হিসেবে পরিচিত। এখানে জাতি -জনজাতি, হিন্দু ,বৌদ্ধ খ্রিস্টান সহ কিছু পরিবার মুসলিম লোকজন রয়েছেন। বিভিন্ন সম্প্রদায়ের বসবাস হলেও এই এলাকাতে কোনদিন কোন সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা ঘটেনি। বরং সর্ব ধর্মের লোকেরা একে অপরের ধর্মীয় সোহার্দ এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে চলেন।
 
মুসলিমদের ঈদ অনুষ্ঠানে হিন্দু খ্রিস্টান এবং অন্যান্য জাতির লোকেরা অংশগ্রহণ করেন। একইভাবে হিন্দু এবং খ্রিস্টানদের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে মুসলিমরা শামিল হন। বাজারের হরিনাম সংকীর্তনেও সর্বধর্মের লোকেরা সমবেত হন এবং সবাইকে মহা প্রসাদ বিতরণ করা হয়। এইজন্য এই হরিনাম সংকীর্তনে বাবার স্মরণে অর্ঘ্য দেওয়ার মধ্য দিয়ে তিনি আল্লাহর শরণাপন্ন হওয়ার চেষ্টা করেছেন বলে জানিয়েছেন।
মল্লিক মিয়া উদ্যোগে আনুষ্ঠিত হরিনাম সংকীর্তনের একটি ছবি
 
অন্যদিকে হরিনাম সংকীর্তন কমিটির সম্পাদক তথ বিশিষ্ট সাংবাদিক বিকাশ দাস মল্লিক মিয়ার এই উদ্যোগের ভূয়সি প্রশংসা করেছেন । বিকাশ দাস বলেন মল্লিক মিয়ার মত লোকেরা সমাজের দিশারী। ধর্মের ঊর্ধ্বে কিভাবে জনসেবার মানসিকতা নিয়ে কাজ করা যায় এবং সম্প্রীতিকে রক্ষা করা যায় মল্লিক মিয়া তার উদাহরণ