ফের দেশরক্ষায় সর্বোচ্চ বলিদান: কাশ্মীরে তুষারঝড়ে দুই বাঙালি সেনা শহিদ

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 1 Months ago
শহিদ দুই জওয়ান। বাঁদিকে পলাশ ঘোষ ও ডানদিকে সুজয় ঘোষ
শহিদ দুই জওয়ান। বাঁদিকে পলাশ ঘোষ ও ডানদিকে সুজয় ঘোষ
কাশ্মীর ঃ

কাশ্মীরে তুষারধসের কবলে পড়ে মর্মান্তিকভাবে শহিদ হলেন মুর্শিদাবাদের হরিহরপাড়া থানার রুকুনপুর গ্রামের সেনা জওয়ান পলাশ ঘোষ। ভারতীয় সেনাবাহিনীতে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত পলাশ ঘোষ তিন দিন আগে সীমান্ত এলাকায় তুষারধসের ঘটনায় নিখোঁজ হন। নিখোঁজের পর সেনা ও নিরাপত্তা বাহিনী দ্বারা তৎপরভাবে টানা তিন দিন অনুসন্ধান চালানো হয়। শুক্রবার অবশেষে তার নিথর দেহ উদ্ধার করা হয়।
 
সেনা সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার দুপুরে পলাশ ঘোষের মৃতদেহ তাঁর বাড়িতে পৌঁছোবে। পরিবার ও গ্রামের মানুষরা গভীর শোকাহত। দেশরক্ষায় কর্তব্যরত অবস্থায় এমন মর্মান্তিক মৃত্যু পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমেছে। পলাশ ঘোষের পরিবার জানিয়েছে, তিনি ছোটবেলা থেকেই দেশপ্রেমে অনুপ্রাণিত ছিলেন এবং সেনায় যোগদানের মাধ্যমে দেশের সেবা করতে চেয়েছিলেন। তার এই আত্মত্যাগকে স্থানীয়রা স্মরণীয় হিসেবে রাখবেন বলে আশ্বাস দেন গ্রামবাসীরা।
 
অন্যদিকে ভয়াবহ ওই তুষারধসে মৃত্যু হয়েছে বীরভূমের রাজনগরের কুন্ডিরা গ্রামের বাসিন্দা আর এক জওয়ান সুজয় ঘোষেরও। শুক্রবার ভারতীয় সেনাবাহিনীর চিনার কোরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিকূল আবহাওয়ার সঙ্গে লড়াই করে কোকেরনাগের কিশতোয়ার রেঞ্জে জঙ্গি বিরোধী অভিযান চালানো দুই বীর ল্যান্স হাবিলদার পলাশ ঘোষ এবং ল্যান্স নায়েক সুজয় ঘোষ যে সর্বোচ্চ বলিদান দিয়েছেন তার জন্য তাঁদের সম্মান জানাচ্ছে চিনার কোর।"

জানা গিয়েছে গত ৬ ও ৭ অক্টোবরের মাঝ রাতে দক্ষিণ কাশ্মীরের কিশতোয়ার রেঞ্জে মারাত্মক তুষার ঝড়ের কবলে পড়ে গিয়েছিল ভারতীয় সেনার একটি দল। আগে ভাগে ওই এলাকায় জঙ্গিরা লুকিয়ে আছে বলে তথ্য ছিল সেনার কাছে। সেই মতো জঙ্গিদের পাকড়াও করতে অভিযান চালিয়েছিল সেনাবাহিনীর এই দলটি। তবে আচমকা ওই এলাকায় মারাত্মক তুষারঝড় শুরু হওয়ায় ওই দুই সেনা সদস্যের সঙ্গে কোনওভাবে যোগাযোগ করা যাচ্ছিল না। 
 
এরপর তাদের খোঁজে হেলিকপ্টার নিয়ে ওই এলাকায় তল্লাশি অভিযান শুরু করেন কম্যান্ডোরা। এরপর বৃহস্পতিবার প্রথমে এক জনের দেহ পরে গতকাল অর্থাৎ শুক্রবার আরও এক বাঙালি জওয়ানের দেহ উদ্ধার হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর তরফে শহীদ দুই জওয়ানকে যথাযোগ্য সম্মান প্রদানের পর মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে।