গুয়াহাটি ঃ
সেন্ট্রাল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন (CBI) গুয়াহাটিস্থ ন্যাশনাল হাইওয়েজ অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (NHIDCL)-এর নির্বাহী পরিচালক ও আঞ্চলিক আধিকারিক-কে ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার সময় গ্রেফতার করেছে। অভিযুক্ত এই ঘুষ নিয়েছিলেন এক বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধির কাছ থেকে।
CBI গোপন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে নির্বাহী পরিচালক ও আঞ্চলিক আধিকারিক, এবং একটি বেসরকারি সংস্থার দুই প্রতিনিধির বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে। এরপর ১৪ অক্টোবর ২০২৫-এ ঘুষ লেনদেনের জন্য ফাঁদ পেতে, CBI অভিযুক্ত নির্বাহী পরিচালক এবং এক বেসরকারি ব্যক্তিকে হাতে-নাতে ধরে ফেলে, যখন ওই সরকারি আধিকারিক ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নিচ্ছিলেন।
এই টাকা নেওয়া হচ্ছিল একটি বেসরকারি সংস্থাকে অনুকূল এক্সটেনশন অফ টাইম (EOT) এবং কাজের সমাপ্তি সনদ (Completion Certificate) দেওয়ার বিনিময়ে। উক্ত কাজটি ছিল NH-37-এর ডিমো থেকে মরান বাইপাস পর্যন্ত ফোর লেন প্রকল্প সহ আরও কিছু চুক্তির অধীনে।
CBI দেশের বিভিন্ন প্রান্তে অভিযুক্তদের সাতটি অফিস ও বাসভবনে তল্লাশি চালায়। অভিযুক্ত সরকারি কর্মচারীর বাসভবন থেকে ২.৬২ কোটি নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়েছে।গ্রেফতারকৃত অভিযুক্তের নাম: মৈষ্নাম রিতেন কুমার সিং, নির্বাহী পরিচালক এবং আঞ্চলিক কর্মকর্তা, জাতীয় মহাসড়ক ও অবকাঠামো উন্নয়ন কর্পোরেশন লিমিটেড (NHIDCL), আঞ্চলিক অফিস, গুয়াহাটি অন্যজন হলেন বিনোদ কুমার জৈন, মেসার্স মোহন লাল জৈন, কলকাতার প্রতিনিধি ।
তদন্তে আরও জানা গেছে, ওই সরকারি কর্মচারী ও তার পরিবারের নামে ৯টি জমি ও ২০টি ফ্ল্যাট রয়েছে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে। এছাড়াও, অভিযুক্তের নামে বহুমূল্য গাড়ি কেনার দলিলও উদ্ধার হয়েছে।
বর্তমানে অভিযুক্তের স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির যাচাই-বাছাই চলছে।গ্রেফতার হওয়া দুই অভিযুক্তকে আজ গুয়াহাটি CBI কেস সংক্রান্ত বিশেষ আদালতে পেশ করা হবে।