দেবীপক্ষের শুরুতে লাগু হচ্ছে নয়া জিএসটি, কলকাতায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন

Story by  Sudip sharma chowdhury | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 11 d ago
ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে জিএসটি রিফর্মস সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন
ন্যাশনাল লাইব্রেরিতে জিএসটি রিফর্মস সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন
কলকাতা:

গত ১৫ অগস্ট, স্বাধীনতা দিবসে লালকেল্লায় ভাষণ দেওয়ার সময় জিএসটি-র হার কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি৷ দীপাবলির আগে দেশের মানুষের কাছে এই নিয়ে সুখবর পৌঁছে যাবে বলেও সেদিন জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী৷ তার কয়েকদিনের মধ্যেই জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে কর কমানোর বিষয়টি নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়৷ জানানো হয়।

আট বছর পর জিএসটি-র নতুন সংস্করণের সময় থেকে গোটা দেশে সৃষ্টি হয়েছে অর্থনৈতিক চাপানউতোর। থেকে গেছে অনেক ধোঁয়াশা,অনেক প্রশ্ন। সেই সব বিষয়ে বঙ্গবাসীকে অবগত করতে কলকাতার জাতীয় গ্রন্থাগারে আয়োজিত হয় এক অনুষ্ঠান। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ বৃহস্পতিবার কলকাতায় ‘পরবর্তী প্রজন্মের জিএসটি সংস্কার কমিটি’র সেই অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে জিএসটি কাউন্সিলের ক্ষমতা ও স্বচ্ছতা নিয়ে বক্তব্য রাখেন।
অর্থমন্ত্রী তাঁর ভাষণে প্রধানমন্ত্রীর লালকেল্লার ঘোষণা নিয়ে জনগণের মধ্যে তৈরি হওয়া ভুল ধারণা ভাঙার চেষ্টা করেন। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই ঘোষণা কোনো একক সিদ্ধান্ত ছিল না, বরং জিএসটি কাউন্সিলের একটি আসন্ন বৈঠকের পূর্ব-ইঙ্গিত ছিল। তিনি আরও জানান, ট্যাক্স কমানোসহ অন্যান্য সব গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মন্ত্রীদের গ্রুপের প্রস্তাব এবং সব রাজ্যের সম্মতির পরই চূড়ান্ত হয়। রাজ্যগুলোর রাজস্ব ক্ষতি সংক্রান্ত উদ্বেগ প্রসঙ্গ তুলে ধরেন তিনি।
 
নির্মলা সীতারামন এদিন জানান, জিএসটি (পণ্য পরিষেবা কর)-র নয়া হার লাগু করার ক্ষেত্রে প্রথমে একাধিক মতামত এলেও বাংলার দুর্গাপুজোকে মাথায় রেখেই ২২ সেপ্টেম্বর তারিখটি স্থির করা হয়৷কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী৷ তিনি জানান, ২১ সেপ্টেম্বর মহালয়া পিতৃপক্ষের শেষ এবং দেবী পক্ষের সূচনা। তাই কোনও ভালো কাজের সূচনা করার ক্ষেত্রে এই দিনটি আদর্শ বলেই ২২ সেপ্টেম্বর দেশব্যাপী নয়া কর ব্যবস্থা লাগু করা হবে।
 
একই সঙ্গে সীতারামন বলেন, "বাংলা বরাবর পথ দেখিয়েছে দেশকে। তাই আমি চাই আপনারা দোকানে দোকানে যান, মানুষকে বলুন কীভাবে এই জিএসটি সংস্কার সকলের উপকার করবে।"