গত ১১ বছরে ভারত তার অর্থনৈতিক ডিএনএ বদলে দিয়েছে: প্রধানমন্ত্রী মোদি

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 1 d ago
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওমান–ভারত ব্যবসা ফোরামে ভাষণরত
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ওমান–ভারত ব্যবসা ফোরামে ভাষণরত

মাস্কাট

বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেন, ভারত ও ওমানের মধ্যে প্রস্তাবিত কমপ্রিহেনসিভ ইকোনমিক পার্টনারশিপ অ্যাগ্রিমেন্ট (CEPA) দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে নতুন আত্মবিশ্বাস ও গতি দেবে। তিনি গত ১১ বছরে ভারতের গৃহীত অর্থনৈতিক সংস্কারের কথা তুলে ধরে বলেন, এসব সংস্কারের ফলে ভারত বিশ্বের অন্যতম প্রতিযোগিতামূলক বাজারে পরিণত হয়েছে।

এখানে অনুষ্ঠিত ভারত–ওমান বিজনেস ফোরামে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মোদি বলেন, ভারত শুধু নীতিই পরিবর্তন করেনি, বরং তার “অর্থনৈতিক ডিএনএ”-ও রূপান্তরিত করেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, “গত ১১ বছরে ভারত শুধু নীতি বদলায়নি, ভারত তার অর্থনৈতিক ডিএনএ বদলে দিয়েছে।” এ প্রসঙ্গে তিনি পণ্য ও পরিষেবা কর (GST) এবং দেউলিয়া ও দেউলিয়াত্ব আইন (IBC)-এর মতো সংস্কারের উদাহরণ দেন।

তিনি বলেন, GST ভারতকে একটি একীভূত জাতীয় বাজারে পরিণত করেছে, আর IBC আর্থিক শৃঙ্খলা এনেছে, স্বচ্ছতা বৃদ্ধি করেছে এবং বিনিয়োগকারীদের আস্থা জোরদার করেছে।

দুই দেশের ঐতিহাসিক ও সভ্যতাগত সম্পর্কের কথা তুলে ধরে মোদি বলেন, আরব সাগর দীর্ঘদিন ধরে ভারত ও ওমানকে সংযুক্তকারী এক সেতুর ভূমিকা পালন করে আসছে। তিনি বলেন, “মাণ্ডভি থেকে মাস্কাট পর্যন্ত আরব সাগর একটি শক্তিশালী সংযোগকারী সেতু। এটি আমাদের সম্পর্ক, সংস্কৃতি ও অর্থনীতিকে আরও দৃঢ় করেছে।”

CEPA-কে “ভবিষ্যতের নকশা” আখ্যা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটি বাণিজ্য ত্বরান্বিত করবে এবং বিভিন্ন খাতে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি করবে। তিনি আরও বলেন, “আজ আমরা এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিচ্ছি, যা ভবিষ্যতে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।”

মোদি আরও উল্লেখ করেন যে ভারত–ওমান কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। তিনি বলেন, এটি শুধু একটি উদযাপন নয়, বরং সামুদ্রিক বাণিজ্য ও পারস্পরিক আস্থার যৌথ ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার এক শক্ত ভিত্তি।

প্রধানমন্ত্রী মোদি বুধবার দুই দিনের সফরে মাস্কাটে পৌঁছান। জর্ডান ও ইথিওপিয়া সফরের পর এটি তাঁর তিন দেশ সফরের শেষ পর্ব। ওমানের সুলতান হাইথাম বিন তারিকের আমন্ত্রণে এই সফর অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যার লক্ষ্য অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সহযোগিতার ওপর জোর দিয়ে ভারত–ওমান কৌশলগত অংশীদারিত্বকে আরও শক্তিশালী করা।