UNESCO ওয়ার্ল্ড কালাচারাল হেরিটেজের লিস্টে এবার দীপাবলিও, ট্যুইট করে শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর
নয়া দিল্লি ঃ
বছর চারেক আগে ২০২১ সালে বাংলার দুর্গাপুজো পেয়েছিল ইউনেসকো-র World Cultural Heritage-এর তকমা। এ বার ভারতের অন্যতম বড় উৎসব দীপাবলিও পেল সেই তকমা। দিল্লিতে চলছে UNESCO-র ইন্টারগভার্নমেন্টাল কমিটির ২০তম সম্মেলন। ডিসেম্বরের ৮ তারিখ থেকে শুরু হয়েছে এই সম্মেলন। চলবে ১৩ তারিখ পর্যন্ত। কালচারাল হেরিটেজ বা সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে চিহ্নিত করার জন্যেই চলছে এই সম্মেলন।
বুধবার, ১০ ডিসেম্বর দীপাবলিকে এই তালিকাভুক্ত করা হলো। কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শেখাওয়াত-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন। তিনি বলেন, ‘দীপাবলি আসলে আলোর উৎসব। এই উৎসব আলো, আশা এবং নতুন শুরুর পথ দেখায়।’
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী একটি এক্স পোস্টে জানান, ‘দীপাবলি আমাদের সংস্কৃতির সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে দীপাবলির স্বীকৃতি এই উৎসবকে বিশ্বে আরও জনপ্রিয় করবে।
UNESCO-র তরফে জানানো হয়েছে, দীপাবলি আলো, নতুন কিছুর শুরু এবং অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে শুভ শক্তির জয়ের প্রতীক। জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে মানুষ এই উৎসবে যোগ দেন। শুধু আধ্যাত্মিক কারণেই নয়, এই উৎসবে তৈরি হয় রঙ্গোলি, রঙিন প্রদীপ, যা ভারতের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতীক।
এই উপলক্ষে দিল্লিতে আয়োজন হয়েছিল অকাল দীপাবলির। দিল্লির লালকেল্লাএই উৎসবের প্রধান ভেন্যু। উচ্চপদস্থ আধিকারিক, সরকারি কর্তাব্যক্তিরা আসেন। এখানেই আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, প্রদীপ প্রজ্জ্বলন এবং দীপাবলির সঙ্গে জড়িত নানান উৎসব অনুষ্ঠানের প্রদর্শনী।
দীপাবলির আমেজ বজায় রাখতে রাজধানীর সমস্ত বড় এবং গুরুত্বপূর্ণ বিল্ডিংগুলিতে আলো জ্বালিয়ে রাখার নির্দেশ দিয়েছিল সরকার। এ ছাড়াও পাবলিক প্লেসে প্রদীপ জ্বালানোর এবং ইলেকট্রিক আলো দিয়ে সুন্দর করে সাজানোর নির্দেশও দিয়েছিল সরকার। দেখে যেন মনে হয়, এখন দীপাবলি চলছে।এই দীপাবলির আয়োজনের ফলে এ বছর World Cultutal Heritage-র তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হওয়ার সুযোগ বাড়বে বলেই আশা।