কালীপুজো-দীপাবলিতে সুরক্ষা বাড়াতে আজ আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে হতে চলেছে কলকাতা পুলিশের এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 1 Months ago
কালীপুজো-দীপাবলিতে সুরক্ষা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
কালীপুজো-দীপাবলিতে সুরক্ষা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
শান্তিপ্রিয় রায় চৌধুরী/ কলকাতা 

এবার কালীপুজো-দীপাবলিতে সুরক্ষা বাড়াতে তৎপর হয়েছে কলকাতা পুলিশ। এনিয়ে আজ বিকেল চারটে থেকে আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক। বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভর্মা, শহরের সব থানার অফিসার-ইন-চার্জ (ওসি), পদস্থ পুলিশ আধিকারিকরা এবং কলকাতার নামী কালীপুজো কমিটিগুলির প্রতিনিধিরা।

লালবাজার সূত্রে খবর, এবার শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে। 

পদক্ষেপ গুলো কি:

 
শব্দবাজি রুখতে এবার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা হয়েছে। 

প্রতিটি থানাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, এলাকায় অবৈধ বাজি বিক্রি ও ফাটানো রুখতে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি চালাতে। 

শব্দমাত্রা নিয়ন্ত্রণে মাইক ব্যবহারের সময়সীমা কঠোরভাবে মানতে হবে — রাত ১০টার পর কোনওভাবেই লাউডস্পিকার বাজানো যাবে না।

বৈঠকের মূল আলোচ্য বিষয়: 


শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণ, দূষণ রোধ, আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা, এবং প্রতিমা বিসর্জন সংক্রান্ত নিয়মাবলি তা নিয়ে আলোচনা।

জানা গিয়েছে, শহরের সংবেদনশীল এলাকাগুলিতে বাড়ানো হবে পুলিশ মোতায়েন, চালানো হবে ড্রোন নজরদারি, এবং মোবাইল প্যাট্রল ভ্যানের সংখ্যা বৃদ্ধি করা হবে। এছাড়াও, কলকাতা পুরসভা, রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, সিইএসসি এবং দমকল দফতরের প্রতিনিধিরাও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন, যাতে উৎসব চলাকালীন সমন্বিতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া যায়।

পুলিশ সূত্রে খবর, দীপাবলি ও কালীপুজোর সময় শহরে সবচেয়ে বেশি শব্দবাজি ফাটানো হয় এবং নিষিদ্ধ বাজির ব্যবহারের অভিযোগও আছে । তাই এবার থেকেই শুরু হচ্ছে বিশেষ টহলদারি টিম, যারা রাতভর শহরের বিভিন্ন এলাকায় টহল দেবে। কোনও অভিযোগ পেলে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এনিয়ে লালবাজারে প্রস্তুতি এখন তুঙ্গে। শহরের বিভিন্ন এলাকায় সচেতনতা শিবির চলছে, বাজি ফাটানো ও শব্দদূষণ নিয়ে সাবধান করে দিতে লাগানো হচ্ছে পোস্টার ও ব্যানার। এছাড়া পুলিশের পক্ষ থেকে বিশেষ হেল্পলাইন নম্বর ও থাকবে, যাতে সাধারণ মানুষ অভিযোগ জানাতে পারেন। 

এবারের কালীপুজো ও দীপাবলি যাতে নিরাপদ, দূষণমুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ উৎসব হয় সেটাই চায় কলকাতা পুলিশ।