শতানন্দ ভট্টাচার্য
শিলচরে জুবিন গার্গ স্মৃতি মঞ্চে ১০ দিনের অসম গ্রন্থমেলা জমে উঠেছে। এই গ্রন্থমেলার আয়োজন রয়েছে রাজ্য সরকারের অধীন অসম প্রকাশন পরিষদ।প্রতিদিন মুক্ত মঞ্চে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, নাটক, কবিতা পাঠের আসর ইত্যাদি। আসলে সব বয়সের মানুষই যখন মোবাইল ফোন নিয়ে ব্যস্ত ঠিক তখন বই পড়ার একটা সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে এই গ্রন্থ মেলা। মেলায় উপস্থিত বিশিষ্ট সাংবাদিক সাহিত্যিক অধ্যাপক পার্থ চ্যাটার্জীর বক্তব্য ছিল, "মানুষের নজর মোবাইল স্ক্রীনে চ্যালেঞ্জের মুখে বই"।
মেলা উদ্বোধন করে শিক্ষামন্ত্রী ডঃ রনোজ পেগু বলেছেন মানুষের জীবনে বইয়ের গুরুত্ব অপরিসীম, বই মানুষের পরম বন্ধু, একমাত্র বইই মানসিক সত্তাকে নিয়ন্ত্রিত করতে পারে ফলে বর্তমানে প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে নিমিষে তথ্য সংগ্রহ করার যুগেও গড়ে তুলতে হবে বই পড়ার অভ্যাস। তাঁর সোজা কথা ছিল জোটদিনানবজাতি বেঁচে থাকবে ততদিন থাকবে বই, গুরুত্ব থাকবে বইয়ের, শুধু পাঠকদের ধরে রাখতে হবে।
তিনি শিশুদের বই পড়তে উৎসাহিত করতে আহ্বান জানান এবং বলেন মহা কর্মব্যস্ততার ফাঁকেও শিশুদের মধ্যে বই পড়ার আগ্রহ বাড়াতে উদ্যোগ নিতে হবে অভিবাবকদেরই। শিক্ষামন্ত্রীর কথায় মানসিক শক্তি জোগাতে বইয়ের বিকল্প নেই। তিনি বই আন্দোলন শুরু করার কথা বলেন কারণ মানুষের মধ্যে বিবেক ও মূল্যবোধ একমাত্র বইই সৃষ্টি করতে পারে। বই আন্দোলনের মাধ্যমে তিনি বই কেনা, বই পড়া ও বই উপহার দেওয়ার কথা বলেন।
অসম প্রকাশন পরিষদের সম্পাদক প্রমোদ কালিতা জানান, ২০২৩ সনে প্রথমবারের জন্যে শিলচরে পরিষদ বইমেলার আয়োজন করে। ডিসেম্বরের ১ থেকে ১০ তারিখ অব্দি চলবে এই মেলা। ৩১ টি পাবলিশার ও বুক সেলার উপস্থিত রয়েছে। অসম সরকার বর্তমান বছরকে 'গ্রন্থবর্ষ' হিসেবে ঘোষণা করেছে এবং সেঅনুসারে রাজ্যের আটটি জায়গায় হবে বইমেলা। শিলচর ছাড়া অন্য সাতটি জেলা হচ্ছে লখিমপুর, নলবাড়ি, গুয়াহাটি, যোরহাট, তিনসুকিয়া, বঙ্গাইগাঁও ও মঙ্গলদৈ।