কলকাতাঃ
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজো। আজ এই উৎসবের দ্বিতীয় দিনে উদযাপিত হবে সপ্তমী। মন্দিরসহ দেশের সব মন্দিরেই আজ সোমবার সকাল থেকে সপ্তমী পূজোর আনুষ্ঠানিকতা শুরু ।
আজ সপ্তমী । সোমবার সকাল থেকেই ঘাটে ঘাটে ভিড় । এদিন,কলা বৌ স্নান করিয়ে,ঘট প্রতিস্থাপনের মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গার সপ্তমী পুজো শুরু হয় । বিভিন্ন বনেদি বাড়ি থেকে পুজো মণ্ডপ মহাসমারোহে শুরু হয়েছে সপ্তমী পুজো ।শাস্ত্র অনুযায়ী, আজ সকালে নবপত্রিকা স্থাপন করা হবে ।সপ্তমী পুজোতে নবপত্রিকা স্নানের একটি বিশেষ তাৎপর্য্য রয়েছে । নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গাকে প্রকৃতি হিসেবে পুজো করা হয় । হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী নবপত্রিকা আসলে দেবী দুর্গার ৯টি রূপ।
সপ্তমী পুজোতে নবপত্রিকা স্নানের একটি বিশেষ তাৎপর্য্য রয়েছে । নবপত্রিকা স্নানের মধ্যে দিয়ে দেবী দুর্গাকে প্রকৃতি হিসেবে পুজো করা হয় । হিন্দু পুরাণ অনুযায়ী নবপত্রিকা আসলে দেবী দুর্গার ৯টি রূপ। দেবীর ৯টি রূপকে একত্রে পুজো করা হয় নবপত্রিকার মাধ্যমে । ৯টি বৃক্ষ নিয়ে পুজো করা হয় । প্রতিটি গাছেই দেবী কোনও না কোনও রূপে অধিষ্ঠান করেন।
কোন কোন গাছের পুজো করা হয়, কোন গাছে কোন রূপে থাকেন দেবী ঃ
১. কলাগাছ- অধিষ্ঠাত্রী দেবী ব্রাহ্মণী,২. কচু- অধিষ্ঠাত্রী দেবী কালিকা,৩.হরিদ্রা বা হলুদ- অধিকাষ্ঠাত্রী দেবী উমা,
৪. জয়ন্তী- অধিষ্ঠাত্রী দেবী কার্তিক ,৫. বিল্ব বা বেল-অধিষ্ঠাত্রী দেবী শিবা ,৬. ডালিম বা বেদানা- অধিষ্ঠাত্রী দেবী রক্তদন্তিকা ,৭. অশোক- অধিষ্ঠাত্রী দেবী শোকরহিতা ,৮. মানকচু-অধিষ্ঠাত্রী দেবী চামুণ্ডা,৯. ধান- অধিষ্ঠাত্রী দেবী লক্ষ্মী ।
পরে একজোড়া বেলসহ শ্বেত অপরাজিতা লতা দিয়ে বেঁধে লালপাড় সাদা শাড়ি জড়িয়ে ঘোমটা পরা বধূর আকার দেওয়া হয়। তারপর তাতে সিঁদুর দিয়ে সপরিবার দেবীপ্রতিমার ডান দিকে দাঁড় করিয়ে পূজো করা হয়। প্রচলিত ভাষায় নবপত্রিকার নাম ‘কলাবউ’।নবপত্রিকা প্রবেশের পর দর্পণে দেবীকে মহাস্নান করানো হয়। দুর্গাপ্রতিমার সামনে একটি দর্পণ বা আয়না রেখে সেই দর্পণে প্রতিফলিত প্রতিমার প্রতিবিম্বে বিভিন্ন উপচারে দেবীকে স্নান করানো হয়।চণ্ডী ও মন্ত্রপাঠের মাধ্যমে পূজো, দেবী-দর্শন,দেবীর পায়ে ভক্তদের অঞ্জলি প্রদান, প্রসাদ গ্রহণের মাধ্যমে দিনব্যাপী চলেবে পূজো।