ব্রুকসাইডে কবি প্রণাম: শিলঙে রবীন্দ্রনাথের আগমন শতাধিক বছর পরে স্মরণে অনুষ্ঠান

Story by  atv | Posted by  Sudip sharma chowdhury • 1 Months ago
শিলঙে রবীন্দ্রনাথের আগমন শতাধিক বছর পরে স্মরণে  অনুষ্ঠান
শিলঙে রবীন্দ্রনাথের আগমন শতাধিক বছর পরে স্মরণে অনুষ্ঠান
গুয়াহাটি ঃ
 
শিলং শহরের ঐতিহাসিক রিলবং অঞ্চলে অবস্থিত ব্রুকসাইড বাংলোত আজ এক আবেগঘন মুহূর্তে পালিত হবে ‘ব্রুকসাইডে কবি প্রণাম’ অনুষ্ঠান। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শিলঙে পদার্পণের ১০৬ বছর পূর্তি উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ১৯১৯ সালে শিলঙে তিন সপ্তাহ অবস্থান করেছিলেন। সেই সময় তাঁর বসবাসের স্থান ছিল ব্রুকসাইড বাংলো, যা রথীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেঃসি ডের কাছ থেকে ভাড়া নিয়েছিলেন। এখানে থাকাকালীন কবিগুরু একাধিক কবিতা ও গদ্যরচনা করেন এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মগ্ন হন।

আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন শিলঙের সাহিত্যিক, গবেষক, সাংবাদিক, স্থানীয় সংস্কৃতি কর্মী এবং বিশিষ্ট নাগরিকরা। কবির প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও প্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শুরু  কর্মসূচি।
 
পরবর্তীতে পাঠ করা হবে কবিগুরুর লেখা শিলঙ অনুপ্রাণিত কবিতা ও গীতিকবিতা। পরিবেশিত হবে রবীন্দ্রসংগীত।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জানান, “ব্রুকসাইড কেবল একটি বাংলো নয়, এটি শিলঙের সাহিত্যিক ইতিহাসের এক উজ্জ্বল সাক্ষ্য। একে রাষ্ট্রীয় ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা হিসেবে সংরক্ষণের দাবি জানাই।”মালবিকা বিশারদ শিলং এর রবীন্দ্র প্রেমীদের পক্ষ থেকে দাবি করেন ।

অনুষ্ঠানের অন্যতম আয়োজক লেখক ও গবেষক মালবিকা বিশারদ বলেন, “এই বাংলোর পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে রবীন্দ্র-স্মৃতি। আমাদের প্রজন্মের দায়িত্ব হল এই ঐতিহ্যকে পুনরুজ্জীবিত করা।”

উল্লেখ্য, কিছুদিন ধরেই এই বাংলোকে সংস্কৃতির ঐতিহাসিক কেন্দ্র হিসেবে ঘোষণার দাবি উঠেছে। পর্যটকদের জন্য বাংলোটি আংশিক উন্মুক্ত হলেও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এর অবস্থা দিনদিন অবনতির দিকে যাচ্ছে।

আজকের এই শ্রদ্ধার্ঘ্য অনুষ্ঠান যেন সেই দাবি নতুন করে জোরালো করল।